বৃহস্পতিবার- ২৭শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৩ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অফিসের অফিস সহকারী ও নলকূপ মেকানিক্স বিরুদ্ধে নলকূপ গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রায় ১কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ

জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অফিসের অফিস সহকারী ও নলকূপ মেকানিক্স বিরুদ্ধে নলকূপ গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রায় ১কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ

আব্দুল মান্নান, শার্শা(যশোর) সংবাদদাতাঃ শার্শা উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অফিসের অফিস সহকারী ও নলকূপ মেকানিক্স সিরাজুল ইসলাম রনির বিরুদ্ধে নলকূপ গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রায় ১ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ। এছাড়া অফিসের অর্থ তোসরুপ ও একমাস যাবৎ অফিসে অনুপস্থিত থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগে প্রকাশ সাহিদুর রহমান গত ১১ই এপ্রিল/১৯ সালে শার্শা অফিসে অফিস সহকারী হিসেবে যোগদান করে।

দূর্নিতীবাজ অফিস সহকারী নিজেকে একজন ক্ষমতাধর কর্মকর্তা পরিচয়ে অফিসে একক আধিপত্ত বিস্তার করে আর্সেনিক মুক্ত টিউবওয়েল পাওয়ার আসায় প্রতিটি আবেদনকারী গ্রাহককে ১ মাসের মধ্যে আর্সেনিক মুক্ত টিউবওয়েল দেওয়ার কথা বলে সর্বনি¤œ ১৩ হাজার টাকা থেকে ৪০ হাজার টাকা উৎকোচ গ্রহণের অভিযোগ রয়েছে। সাবমার্সিবল পাম্প জলাধার সহ গভীর নলকূপের সরকারী সাবসিডি মূল্য ১০ হাজার টাকা।

অথচ প্রত্যেকের নিকট তেকে সাবমার্সিবল পাম্প জলাধার সহ গভীর নলকূপের মূল্য ১০ হাজার টাকার পরিবর্তে ১৩ হাজার টাকা থেকে ৪০ হাজার টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে সাধারণ গ্রাহকদের। একাধিক অভিযোগকারীর মধ্যে বসতপুর ১নং কলোনী গ্রামের আব্দুল জলিলের পুত্র তবিবর রহমান, চান মিয়ার পুত্র ইউনুস আলী, কবির আহম্মদের পুত্র নজরুল ইসলাম, শওকত আলীর পুত্র আসান উল্লাহ, বাহাদুর সাদ্দামের পুত্র রবিউল ইসলাম, আবুল হোসেনের পুত্র শরিফুল ইসলাম, ধলদাহ গ্রামের সাজ্জাত মোড়লের পুত্র নুর মোহাম্মদ, নুরউদ্দীনের পুত্র মোঃ লিটন, ফারুক মাস্টার, নুর ইসলাম, রেজাউল, ইলাহি বক্স, জমির উদ্দীন, সেলিম, আব্দুল গণি, বিল্লাল হোসেন, আলী হোসেন, ওলিয়ার রহমান, সবির, আঃ আজিজ, নাজিম উদ্দীন, ইউনুস আলী, আবুল খায়ের, মহাসিন সিকদার, আলমগীর সিকদার, আবু হানিফ ও ধলদাহ গ্রামের হাফিজুর রহমান হাফুর কাছ থেকে ৬টি নলকূপ দেওয়ার কথা বলে ৬৬ হাজার টাকা নিয়েছে।

বেনাপোল পৌরসভা ও শার্শার ১১টি ইউনিয়নের ৩শতাধিক নলকূপ আবেদন গ্রাহকদের কাছ থেকে সাবমার্সিবল পাম্প জলাধরসহ গভীর নলকূপ দেওয়ার কথা বলে প্রত্যেকের কাছ থেকে সর্বনি¤œ ১০ হাজার পরিবর্তে ৪০ হাজার পর্যন্ত হাতিয়ে নিয়েছে। শুধু তাই নয় সরকারী নিয়মনিতী উপক্ষো করে টাকার বিনিময়ে প্রত্যেক বাড়ির প্রাচিরের মধ্যে যাতে অন্য বাড়ির কেউ উক্ত টিউবওয়েলের পানি খেতে না পারে। অফিস সহকারী সাহিদুর রহমান ও নলকূপ মেকানিক্স সিরাজুল ইসলাম রনি যোগদান করার পর থেকে যতগুলি সাবমার্সিবল পাম্প জলাধার সহ টিউবওয়েল বসানো হয়েছে সরকারী নিতীমালা বাহির্ভূত। এছাড়া ১১টি ইউনিয়নে দুই শতাধিক সাবমার্সিবল পাম্প জলাধার সহ টিউবওয়েল পাওয়ার জন্য আবেদনকারীদের প্রত্যেকের নিকট থেকে ১৩ হাজার টাকা থেকে ৪০ হাজার টাকা হারে আদায় করে আবেদনকারী গ্রাহকদের টিউবওয়েল সময়ের মধ্যে দিতে না পারায় নিজ কর্মস্থল থেকে অফিস সহকারী পালাতক রয়েছে। সাহিদুর রহমান ও নলকূপ মেকানিক্স সিরাজুল ইসলাম রনির কাছে যে সমস্ত গ্রাহক টাকা জমা দিয়েছিল ঐ সমস্থ গ্রাহক অফিসে এসে দিনের পর দিন ফিরে যাচ্ছে এবং সাহিদুর রহমানকে না পেয়ে প্রত্যেক আবেদনকারীরা লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ১১টি ইউনিয়নের নতুন আবেদন শতাধিক ব্যাক্তি টাকা ফেরত চেয়ে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী কর্মকর্তার নিকট আবেদন জমা দিয়েছে। আর একাজের সহযোগিতা করেছেন একই অফিরে নলকূপ ম্যাকানিক সিরাজুল ইসলাম(রনি) এ ব্যাপারে উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী কর্মকর্তা গোলাম শরীফ এক স্বাক্ষাতকারে ঘটনার সত্যতা শিকার করে বলেন সাহিদুর রহমান ও সিরাজুল ইসলাম রনির নিকট যারা টাকা জমা দিয়েছিল তারা টাকা ফেরৎ পাওয়ার জন্য আবেদন দিচ্ছে। এ বিষয়টি বিভাগীয় তদন্তের জন্য যশোর জেলা অফিস থেকে একটি তদন্ত দল ঘটনাস্থল তদন্ত করার কথা আছে। অবশ্যই তারা বিভাগীয় সুনাম ক্ষুন্ন করেছে। অপরাধী যেই হোক অবশ্যই তার শাস্তি হওয়া উচিৎ।

১৫৮ বার ভিউ হয়েছে
0Shares