![পঞ্চগড়ের তেতুলিয়ায় নদীর বাঁধ কেটে পাথর উত্তোলন করায় হুমকিতে সুরক্ষা বাঁধ পঞ্চগড়ের তেতুলিয়ায় নদীর বাঁধ কেটে পাথর উত্তোলন করায় হুমকিতে সুরক্ষা বাঁধ](https://spnewsbd.com/wp-content/uploads/2022/04/PIC-1-2.jpg)
পঞ্চগড়ের তেতুলিয়ায় নদীর বাঁধ কেটে পাথর উত্তোলন করায় হুমকিতে সুরক্ষা বাঁধ
![](https://spnewsbd.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
পঞ্চগড় অফিস : পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার ভজনপুর ইউনিয়নের গনাগছ গ্রামে করতোয়া নদীর বাঁধ কেটে অবৈধ ভাবে গভীর খনন করে পাথর উত্তোলন করায় হুমকির মুখে পড়েছে করতোয়া নদী রক্ষা বাঁধ ও পার্শ্ববর্তী এক ঐতিয্যবাহী ঈদগাহ ময়দান।
এতে করে যে কোনো মুহূর্তে বাঁধ ভেঙে বাঁধের রাস্তা ও ঈদগাহ বিলীন হওয়ার উপক্রম দেখা দেয়ায় আতঙ্কে রয়েছে স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা জানায়, একাধীকবার অভিযোগ করলেও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান করতোয়া নদীর বাঁধ এলাকা পরিদর্শন করলেও প্রায় একমাস অতিক্রম হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত কোন প্রতিকার না পেয়ে সঙ্খায় রয়েছেন তারা। যে কোনো মুহূর্তে বাঁধ, রাস্তাসহ ঈদগাহ বিলীন হওয়ার উপক্রম দেখা দিয়েছে। এদিকে ঈদগাহ ও নদীর সুরক্ষা বাঁধ হুমকির মুখে পড়ায় স্থানীয়দের মাঝে বিরাজ করছে ক্ষোভ।
খবর পেয়ে গণমাধ্যম কর্মীরা করতোয়ার পড়ে উপস্থিত হলে শ্রমিকেরা পালিয়ে যায়।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, ভজনপুর ইউনিয়নের ভেলুপাড়া থেকে ভুতিপুকুর পর্যন্ত করতোয়া নদীর তীর ঘেঁষে প্রায় ১২ কিলোমিটার এই বাঁধ। ইতোমধ্যে অনেক স্থানের নদী রক্ষা বাঁধ ভেঙে বিলীন হয়ে গেছে।
গনাগছ গ্রামে বাবুল হোসেন জানায়, করতোয়া নদীতে স্থানীয় পাথর শ্রমিক আঃ রাজ্জাক, আলা উদ্দীন, মুক্তার রহমান, সুজন ইসলাম, মাহাবুর রহমান, শের আলীসহ ১০ থেকে ১৫ জন বাঁধ ঘেঁষে পাথর উত্তোলন করে নতুন ভাবে হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে নদী রক্ষা বাঁধ।
গনাগছ এলাকার স্থানীয়,হকিকুল ও আল মামুন তারা জানায় এই গ্রামে অনেক মানুষ এই করতোয় নদীর বাধের উপর রাস্তা থাকায় আমরা চলাচল করে থাকি তাছাড়া পাশে রয়েছে ঈদগাহ সেখানে আমরা ঈদের নামাজ পরি।
একটি চক্র অনেকদিন থেকে স্থানীয় পাথর ব্যবসায়ীর ছত্রছায়ায় পাথর উত্তোলন করে এলাকার করতোয় নদীর সুরক্ষা বাধ ভেঙ্গে পাথর উত্তোলন করায় আমরা আশঙ্কায় রয়েছি। এই করতোয়া নদীর পাশে থাকা বাধে যেন অবৈধ ভাবে পাথর উঠাতে না পারে আমরা প্রশাসনের কাছে জোর দাবী জানাচ্ছি। আর এই সব পাথর শ্রমকিদের কাছ থেকে ক্রয় করে নিচ্ছেন আলা উদ্দীন।
স্থানীয়রা আরও জানায় সামনে বর্ষায় নদী সুরক্ষা বাঁধ ও ঈদগাহ ময়দান বিলীন হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছেন। তাই শত বাধার পরেও ওই বাঁধ কেটে পাথর উত্তোলন অব্যাহত রাখায় প্রশাসনের দ্রæত হস্তক্ষেপ কামনা করেন স্থানীয়রা।
এদিকে জানা গেছে সুরক্ষা বাঁধরে পাশে অবস্থিত পঞ্চগড় জেলা পরিষদের বাস্থবায়নে ঈদগাহ মাঠ উন্নায়ন, আরএডিপি প্রকল্পে দুই লাথ টাকার অর্থায়নে ওই ঈদগাহ মাঠের প্রাচীর নির্মাণ করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান,ওই বাঁধ সংলগ্ন স্থান থেকে দ্রæত পাথর উত্তোলন বন্ধ করে দেয়োর জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবী করেন এলাকাবাসি।
এবিষয়ে ভজনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মসলিম উদ্দীন জানায়,আমার কাছে এলাকাবাসি অভিযোগ করেছে আমি তাদের পাথর তুলতে নিষেধ করেছি,তারা যদি আবারো পাথর উত্তোলন করে তাহলে আমি আইনের আশ্রয় নিতে বাধ্য হবো বলে আস্বাস দেন।