সোমবার- ১লা জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৭ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
দীর্ঘ অনাবৃষ্টির কারণে ডিপের পানিতেই নাচোলে আমনের আবাদ শুরু

দীর্ঘ অনাবৃষ্টির কারণে ডিপের পানিতেই নাচোলে আমনের আবাদ শুরু

মোঃ ইব্রাহীম, স্টাফ রিপোর্টার- চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে দীর্ঘ অনাবৃষ্টি শেষে বিএমডিএ’র গভীর নলকুপ(ডিপের) পানি চেস দিয়েই চলতি রোপা আমন ধান রোপনে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকরা। ষড় ঋতুর বাংলাদেশে আষাড় ও শ্রাবন দু’মাস বর্ষাকাল। কিন্তু পুরো আষাঢ় মাস বৃষ্টিশুন্য থাকায় কৃষকরা বাধ্য হয়েই ডিপের পানি সেচ দিয়ে আমন আবাদ শুরু করে দিয়েছে। এতেকরে আমন আবাদের খরচও বেড়ে গেছে। অনাবৃষ্টির কারণে শুকনো জমিতে গভীর নলকুপের পানি সেচ লাগছে দ্বিগুন। গত বছর শ্রমিকের মজুরি ছিল ৩০০ টাকা, কিন্তু এবছর ধান লাগানো শ্রমিকের মজুরি বেড়ে ৫০০টাকা হয়েছে। চলতি রোপা আমন মৌসুমে সেচ খরচ ও শ্রমিকের মজুরি বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে এ বছর উৎপাদন খরচও বেশী হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বুলবুল আহম্মেদ জানান, চলতি রোপা আমন মৌসুমে উপজেলার ২হাজার প্রান্তিক কৃষকের মাঝে উচ্চ ফলনশীল ব্রী-৭৫,৮০, ৮৭ ও বীনা-১৭ জাতের বিনামূল্যে প্রনোদনার ধানবীজ ও রাসায়নিক সার প্রদান করা হয়েছে। সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা শমসের আলী জানান, এবছর ব্রী জাতের সাথে ব্রী-৫১ ও পারিজা জাতের প্রায় ২৩ হাজার হেক্টোর রোপা আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। তবে ধানের বাজারমূল্য ভাল থাকায় প্রায় ৫ হাজার হেক্টোর আম বাগানেও ধানের আবাদ হবার সম্ভাবনা আছে। চলতি মৌসুমে রাসায়নিক সারের সংকট হবেনা বলে আশা করছেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বুলবুল আহম্মেদ। এদিকে বর্ষাকালে কৃষকের আবাদ খরচ কম হবার কথা থাকলেও পুরো আষাঢ় মাস অনাবৃষ্টির কারণে আবাদ খরচ বেশী হবে বলে ধারনা করছেন উপজেলার হাঁকরইল গ্রামের কৃষক আব্দুল কাদির জিলানী, শাজাহান আলী ও বর্গাচাষী সুনিল সিং।

অন্যদিকে বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ(বিএমডিএ)’র গভীর নলকুপের অপারেটরগণ চলমান বৈদুতিক সংকট মোকাবেলার জন্য উঁচু জমি বাদ দিয়ে নীচু জমিতে আমন আবাদের জন্য কৃষকদের সাথে প্রতিদিন বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়ছেন। গভীর নলকুপ সূর্যপুর-১ এর অপারেটর গুমানীর অভিযোগ চলমান বিদ্যুৎ সংকট থাকলে আমন আবাদ সংকটে পড়ার আশংকা আছে। তাই তার সেচ ক্যাপাসিটি কমিয়ে আবাদ করার চেষ্টা করছেন, কিন্তু তার নলকুপের সেচএলাকার কৃষকরা তার কথা শুনছেনা।

১৫২ বার ভিউ হয়েছে
0Shares