শনিবার- ২৯শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৫ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
<span class="entry-title-primary">আদমদীঘিতে ইসলামি ব্যাংক এজেন্ট শাখার টাকা আত্মসাত ঘটনায় বিক্ষোভ।।</span> <span class="entry-subtitle">ব্যাংকের মালিক ও ক্যাশিয়ারসহ ৫জনের বিরুদ্ধে মামলা</span>

আদমদীঘিতে ইসলামি ব্যাংক এজেন্ট শাখার টাকা আত্মসাত ঘটনায় বিক্ষোভ।। ব্যাংকের মালিক ও ক্যাশিয়ারসহ ৫জনের বিরুদ্ধে মামলা

 

আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি ; বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার চাঁপাপুর ইসলামি ব্যাংক এজেন্ট শাখার গ্রাহকের আমানতের হিসাব থেকে প্রতারনার মাধ্যমে এক কোটি ২০ লাখ টাকা হাতিয়ে আত্মসাত করা ঘটনায় এবার পূর্বের দায়ের করা মামলার বাদি এজেন্ট শাখার মালিক নুরুল ইসলাম সোহাগ ও ক্যাশিয়ার সুজন রহমানসহ ৫জনের বিরুদ্ধে এক কোটি ৫০ লাখ টাকার আত্মসাতের আরো একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।  পুলিশ এখনো এজাহাভুক্ত কোন আসামীকে গ্রেফতার ও টাকা উদ্ধার করতে পারেনি। ফলে জামানতকারি গ্রাহকদের মাঝে ক্ষোভ ও হতাশা সৃষ্ঠি হয়েছে। গত রোববার (২৩ জুন) সকালে জামানতকারি গ্রাহকরা তাদের আমানতের টাকা ফেরত ও আসামী গ্রেফতাররের দাবীতে চাঁপাপুর ইসলামি ব্যাংক এজেন্ট শাখা অফিসে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ করেছেন। দুপুরে চাঁপাপুর ইসলামি ব্যাংক এজেন্ট শাখার চলতি দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোমিনুল ইসলাম আমানতকারিদের বুঝিয়ে প্রায় এক ঘন্টা পর ব্যাংকের তালা খুলে নিয়ে কার্যক্রম শুরু করেন।
মামলা ও গ্রাহক সুত্রে জানাযায়, আদমদীঘি উপজেলার চাঁপাপুর বাজারে উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের নুরুল ইসলাম মালিক হিসাবে একটি ইসলামি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি ব্যাংকিং এজেন্ট শাখার প্রায় ৫ বছর যাবত ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল। গত ২৬ মে রোববার ওই ব্যাংকে গ্রাহকরা তাদের ব্যাংক হিসাব থেকে টাকা তুলতে এসে দেখেন তাদের একাউন্টে কোন টাকা নেই। এ নিয়ে তোলপাড়ের সৃষ্ঠি হলে ব্যাংকের স্বত্বাধিকারি নুরুল ইসলাম তাদের ব্যাংকের অনলাইন একাউন্টে হিসাব নিকাশ চেক করে দেখতে পান ৪০জন গ্রাহকের একাউন্টে অভিনব কায়দায় তাদের হিসাব নম্বরে টাকা জমা না করে প্রতারনার মাধ্যমে এক কোটি ২০ লাখ টাকা উত্তোলন পূর্বক আত্মসাত করে উধাও হয় ওই ব্যাংকের ক্যাশিয়ার সুজন রহমানসহ তার সহযোগিরা। এ ঘটনায় ব্যাংক শাখার মালিক নুরুল ইসলাম বাদি হয়ে গত ২৮মে আদমদীঘি উপজেলার চাঁপাপুর ইউপির গোবিন্দপুর গ্রামের এনামুল হকের ছেলে ওই ব্যাংকের ক্যশিয়ার সুজন রহমান (২৭), তার বাবা এনামুল হক (৪৬) ও মাতা রুবিয়া খাতুন (৪২) কে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন।
এরপর গত ১১ জুন ইসলামি ব্যাংক বাংলাদেশ এর দুপচাঁচিয়া শাখার ব্যবস্থাপক কাজী মিজানুর রহমান বাদি হয়ে চাঁপাপুর ইসলামি ব্যাংক শাখার এক কোটি ৫০ লাখ টাকা বিশ্বাস ভঙ্গের মাধ্যমে প্রতারনা করে আত্মসাতের অভিযোগে পূর্বের মামলার বাদি চাঁপাপুর এজেন্ট শাখার মালিক উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের নুরুল ইসলাম সোহাগ, একই গ্রামের ক্যাশিয়ার সুজন রহমান, মুবাশির ইসলাম সিয়াম, কামারপুকুর গ্রামের মাহমুদুল শেখ ও গোবিন্দপুর সোনারপাড়া গ্রামের আব্দুল ছালাম সাহানাকে আসামী করে অপর আরো একটি মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় পৃথক পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হলেও পুলিশ কাউকে গ্রেফতার কিংবা আত্মসাত হওযা টাকা উদ্ধার করতে পারেনি। ফলে জামানতকারি গ্রাহকদের মাঝে ক্ষোভ ও হতাশা দেখা দিয়েছে। গতকাল রোববার (২৩ জুন) সকালে চাঁপাপুর ইসলামি ব্যাংক এজেন্ট শাখায় আমানতকারিরা তাদের জামানতের টাকা ফেরত ও আসামী গ্রেফতারের দাবীতে চাঁপাপুর ইসলামি ব্যাংক এজেন্ট শাখায় তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ করেন। চাঁপাপুর ইসলামি ব্যাংক এজেন্ট শাখার চলতি দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোমিনুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ রাজেশ কুমার চক্রবর্তী জানান, ব্যাংকের টাকা আত্মসাতের ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। তবে আসামীদের গ্রেফতার ও লুন্ঠিত টাকা উদ্ধারে প্রযুক্তি ব্যবহারে র‌্যাব ও পুলিশ যৌথ অভিযান চালায়।

৫৭ বার ভিউ হয়েছে
0Shares