শনিবার- ২৯শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৫ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ভোলার-লালমোহনে সন্ত্রাসীতে নেমেছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী আক্তার হোসেন

ভোলার-লালমোহনে সন্ত্রাসীতে নেমেছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী আক্তার হোসেন

ভোলা প্রতিনিধিঃ ভোলার-লালমোহন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রচারণাকালে চেয়ারম্যান প্রার্থীর ওপর সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ও হামলার অভিযোগ উঠেছে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী আক্তার হোসেনের বিরুদ্ধে। চার দিনে তিনি ও তার ক্যাডারেরা প্রতিপক্ষ প্রার্থীর সাথে থাকা কর্মীদের ৪-৫টি মোটরসাইকেল ভাঙ্গচুর ও পিটিয়ে ২৫-৩০ কর্মী আহত করেছে। বৃহস্পতিবার (১৬মে) লালমোহন পৌর শহরের ৪নং ওয়ার্ডে চেয়ারম্যান প্রার্থী আকতারুজ্জামান টিটবের নির্বাচনী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন এ অভিযোগ করেন। তিনি লালমোহনের সাংবাদিকদেরকেও বিভিন্ন হুমকি দিয়ে আসছেন, তাই ভয়ে কোন সাংবাদিকে সংবাদ পরিবেশন করেননা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, এবার স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীক না থাকা ও নির্বাচন কমিশন ও সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে প্রতিশ্রæতি দেয়ায় সকলের মনে কিছুটা বিশ্বাস তৈরী হয়েছে। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু হতে পারে ভেবে তিনি এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে অংশ নিয়েছেন। কিন্তু নির্বাচনের দিন ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে শালিক পাখি প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আকতার হোসেন নির্বাচনের বিধি নিষেধের কোন তোয়াক্কা না করে সন্ত্রাসী কায়দায় আমাদের নেতা-কর্মীদেরকে মার পিট, আমাদের বাহন মটরসাইকেল ভাংচুর ও কর্মীদেরকে নির্বাচনী প্রচারনা চালাতে বাধা প্রদান করেন। ইতিমধ্যে তিনি নিজেকে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে প্রচারণা চালাচ্ছেন। আওয়ামীলীগ দলীয় নেতা-কর্মীসহ সাধারন ভোটারদের ভয়-ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করছেন আকতার হোসেন।
তিনি আরো জানান, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে দোয়াত কলম প্রতিকের প্রচারণার জন্য উপজেলার কালমা ইউনিয়নের ডাওরী বাজারে যান তিনি। নির্বাচনী গণসংযোগ ও প্রচার-প্রচারনা শেষ করে স্থানীয় ডাওরীহাট বাজার মসজিদে এশার নামাজ পড়েন। নামাজ শেষে কর্মী সমর্থকদের নিয়ে মসজিদ থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় শালিক পাখি প্রতিকের প্রার্থী মোঃ আকতার হোসেন এবং তার ছোট ভাই ইকবাল হোসেনসহ ৪০-৫০ জন সন্ত্রাসী বাহীনি নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়। লাঠিসোটা, লোহার রড, জি আই পাইপ নিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে তার উপর অতর্কিত হামলা শুরু করে। এক পর্যায়ে তার সাথে থাকা কর্মীরা তাকে বাঁচাতে গিয়ে মোঃ শামীম হোসেন, মো.ঃছালাউদ্দিন, আঃ হাই, মোঃ ইউসুফসহ ২৫/৩০ জন আহত হয়। বর্তমানে আহতদের মধ্যে দুই জন এখনো লালমোহন হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। হামলায় তার সাথে থাকা কর্মীদের ৪-৫টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। এক পর্যায়ে হামলাকারীরা তার সমর্থকদের বিভিন্ন ধরনের ভয়-ভীতি ও হুমকি প্রদানসহ নির্বাচন থেকে সড়ে না গেলে তাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে চলে যান। তিনি লালমোহনের সাংবাদিকদেরকেও বিভিন্ন হুমকি দিয়ে আসছেন, তাই ভয়ে কোন সাংবাদিকে সংবাদ পরিবেশন করেননা।
বিষয়টি নিয়ে তিনি রিটার্নিং কর্মকর্তা, সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন। থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তিনি নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিতের জন্য জোর দাবি জানান।
হামলার বিষয়ে শালিক পাাখি প্রতিকের প্রার্থী মোঃ আকতার হোসেনের মুঠোফোনে কল দিলে তিনি মিটিংয়ে আছেন বলে কল কেটে দেন।
লালমোহন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মাহবুব-উল-আলম জানান, হামলার ঘটনায় প্রার্থী আকতুরুজ্জামান টিটব তাদেরকে মৌখিকভাবে জানিয়েছেন। কেউ এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ দেয়নি। তবে সেই ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে একটি জিডি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য,আগামী ২৯ মে এ উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মোট ৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন।

৯১ বার ভিউ হয়েছে
0Shares