বোরহান উদ্দিনে দৈনিক খবরপত্রের সম্পাদকের বাসায় হামলা
ভোলা প্রতিনিধিঃ ভোলার-বোরহানউদ্দিনে দৈনিক খবরপত্রের সম্পাদক ও উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক মাফরুজা সুলতানার শহরের কোড়ালিয়া বাসভবনে হমলা করেছেন ছাত্র,যুব ও আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীরা। তারা বাসার মধ্যে ইট, পাথর ও বিভিন্ন সামগ্রী নিক্ষেপ ও ¯েøাগান দিয়ে গালমন্দ করেন এবং বাসার সামনে থাকা নেতাদের কয়েকটি মটর সাইকেল ভাংচুর ও ৩ জনকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে। বাসায় অতর্কিত হামলায় সম্পাদক মাফরুজা সুলতানাও অসুস্থ্য হয়ে পরেন।
শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে থানার থেকে কিছু দুরে কোড়ালিয়া হাউজে এ ঘটনা ঘটে। এসময় বাসার মধ্যে মাফরুজা সুলতানা নেতা কর্মীদের নিয়ে ঈদ পরবর্তী মতবিনিময় সভা করছিলেন।
উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক সরোয়ার আলম খান জানান, সন্ধ্যার পর থেকে শহরে উপজেলা ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীরা বিভিন্ন অস্ত্র ও লাঠি সোটা নিয়ে জড়ো হতে থাকে। তাদের গতিবিধ খারাপ দেখে সম্পাদক মাফরুজা সুলতানা নেতা কর্মীদের নিয়ে বাসার মধ্যে মতবিনিময় সভা করেন। বাহিরে ছাত্র, যুব এবং আওয়ামীলীগের-মুন্না, বাপ্পি, বশার মেন্বার, জিসান, জোয়েব কমিশনারের নেতৃত্বে শতাধীক নেতা-কর্মীরা বাসায় হামলা চালিয়ে ইট, পাথর ও বিভিন্ন সামগ্রী নিক্ষেপ ও ¯েøাগান দিয়ে গালমন্দ করেন এবং বাসার সামনে থাকা নেতাদের কয়েকটি মটর সাইকেল ভাংচুর ও ৩ জনকে পিটিয়ে আহত করেন। আহতরা হলেন-রকিব, জিহাদ ও সেলিম বয়াতি। বাসায় অতর্কিত হামলায় সম্পাদক মাফরুজা সুলতানাও অসুস্থ্য হয়ে পরেন। নেতারা বিষয়টি বোরহান উদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনির হোসেনকে জানালে তিনি কোন ব্যাবস্থা গ্রহন করেননি বলে অভিযোগ করেন উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক সরোয়ার আলম খান। এবিষয়ে জানার জন্য থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনির হোসেনকে ফোন দিলে তিনি তা রিসিভ করেননি। উপজেলা আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কোন নেতাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।