বুধবার- ২২শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -৮ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বৃষ্টির পানির আশায় মোনাজাতে  চোখের পানিতে বুক ভাসালেন মুসল্লিরা 

বৃষ্টির পানির আশায় মোনাজাতে  চোখের পানিতে বুক ভাসালেন মুসল্লিরা 

নাটোর প্রতিনিধি  : সারাদেশে চলছে দাবদাহ সেইসাথে তীব্র গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। তীব্র এই গরম থেকে পরিত্রাণের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে উত্তরের জেলা নাটোরের বিভিন্ন জায়গায় সালাতুল ইসতিসকার নামাজ আদায় করা হয়েছে। এসব স্থানে নামাজ শেষে মোনাজাতে হাত তুলে বৃষ্টির পানির আশায় চোখের পানিতে বুক ভাসালেন মুসল্লিরা।
শুক্রবার(২৬ এপ্রিল) জুমার নামাজের পর জেলার সবচেয়ে বড় ইসতিসকার নামাজের জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়েছে শহরের নবাব সিরাজ-উদ্-দৌলা সরকারি কলেজ মাঠে । নামাজ শেষে অনাবৃষ্টি ও প্রচণ্ড খরা থেকে রেহাই পেতে মহান আল্লাহর কাছে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এ সময় মুসল্লিরা বৃষ্টির জন্য অঝোরে কাঁদেন। মোনাজাত পরিচালনা করেন, আলাইপুর মারকাজ জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা মফিজুর রহমান মফিজ।
নামাজে অংশগ্রহণকারী মাহবুব হোসেন বলেন, তীব্র দাবদাহে জনজীবন অতিষ্ঠ। দীর্ঘদিন অনাবৃষ্টির কারণে মানুষ, পশুপাখি গাছপালাসহ প্রাণিকুল কষ্টে আছে। ইসতিসকার নামাজ আদায়ের মাধ্যমে মহান আল্লাহর দরবারে রহমতের বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করেছি।
রবি ইসলাম নামে আরেক মুসল্লি বলেন, মানব সৃষ্ট পাপেই আল্লাহতালা আমাদের এরকম শাস্তি দেন। মহান আল্লাহ তাআলার কাছে নিজেদের পাপের জন্য ক্ষমা চেয়ে হাজারো মানুষ একসঙ্গে হাত তুলেছি। নিশ্চয় মহান আল্লাহতালা আমাদেরকে ক্ষমা করবে।
এর আগে সকালে শহরতলী দিঘাপতিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে নামাজে অংশ নেন এলাকার ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। নামাজ শেষে মোনাজাতে নিজেদের  কৃতকর্মের জন্য ক্ষমাপ্রার্থনা সহ বৃষ্টির জন্য বিশেষ দোয়া করেন তারা।
সকালে গুরুদাসপুর শহীদ শামসুজ্জোহা সরকারি কলেজ মাঠে ইসতিসকার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে নামাজের ইমামতি ও বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন-দারুল উলুম সরদার আব্দুল হামিদ মাদ্রাসার খতিব হাফেজ মুফতি মাওলানা ইয়াছিন আলী। নামাজ শেষে অনাবৃষ্টি ও প্রচণ্ড খরা থেকে মুক্তি পেতে মহান আল্লার কাছে বিশেষ মোনাজাত করেন। নামাজে এলাকার শতশত মুসল্লি অংশ নেয়।
এছাড়া সদর উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে সালাতুল ইসতিসকারের আয়োজন করেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।#
১৩ বার ভিউ হয়েছে
0Shares

COMMENTS