শনিবার- ১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -৪ঠা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাঁশখালীতে স্মরনকালের স্মরনীয় মেজবানে আপ্লুত এলাকাবাসী

বাঁশখালীতে স্মরনকালের স্মরনীয় মেজবানে আপ্লুত এলাকাবাসী

এনামুল হক রাশেদী, (বাঁশখালী) চট্টগ্রামঃ  বাংলাদেশের ইতিহাস ঐতিহ্যের অংশ চট্টগ্রামের মেজবান। মুলতঃ মৃত ব্যক্তিদের রুহানীর উদ্দেশ্যে জেয়াফত অনুষ্ঠানের আয়োজন করে গরীব, দুঃস্থ অসহায় সহ সর্বস্তরের মানুষকে তৃপ্তি ভরে আপ্যায়নের মাধ্যমে এ মেজবানের আয়োজন করা হয়। চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল স্মরনকালের স্মরনীয় বরনীয় ও প্রশংসনীয় এক মেজবান।
১৯ এপ্রিল’২৪ ইং শুক্রবার বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ বেসরকারী কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প ১৩২০ মেঃওঃ এস এস পাওয়ার প্ল্যান্ট লিঃ-এর প্রধান সমন্বয়ক মোঃ নাসির উদ্দিনের মামা বাঁশখালী শিল্কুপ ইউনিয়নের প্রবীন শ্রদ্ধাস্পদ আলেমে দ্বীন মরহুম হযরত মৌলানা আব্দুস সাত্তার(রহঃ)- এর জেয়াফত উপলক্ষে এ মেজবানের আয়োজন করেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা সহ মরহুমের ভাগিনা বাঁশখালীর আপামর জনতার ভালবাসার প্রিয় মানুষ মোহাঃ নাসির উদ্দিন।
সকাল ৭ টা থেকে শুরু হয়ে সন্ধ্যা অবধি প্রায় অর্ধ লক্ষাধিক নারী পুরুষ সুন্দর, সুশৃংখল ও সুনিয়ন্ত্রিক এ মেজবানে অংশগ্রহন করে সর্বোচ্চ আতিথেয়তায় তৃপ্তি ভরে আপ্যায়ন করে সন্তোষ্ঠচিত্তে মহান রবের দরবারে শোকরিয়া জ্ঞাপন করে। মেজবানে শিল্কুপ, গন্ডামারা, সরল ইউনিয়ন সহ সারা বাঁশখালী ও পার্শ্ববর্তি উপজেলা সহ চট্টগ্রাম নগর থেকেও শুভাকাংখীরা অংশগ্রহন করে। মেজবানের আয়োজক কতৃপক্ষ বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত মেহমানদের মেজবান স্থলে সহজে পৌঁছতে উপজেলার টাইমবাজার ও গন্ডামারা ব্রীজ সহ বিভিন্ন স্থানে প্রায় আড়াই শতাধিক সিএনজি ও অটোরিক্সা স্টিকার লাগিয়ে সারাদিনের জন্য ফ্রি সার্ভিস প্রদান করে। মেজবানে ছিলনা কোন শ্রেনী বিভাজন। গরীব, দুঃস্থ, অসহায় নারী পুরুষ সহ জনপ্রতিনিধি, বিভিন্ন দলের রাজনৈতিক নেতা কর্মি ও বিভিন্ন শ্রেনী পেশার হাজার হাজার মানুষ এ মেজবানে অংশ গ্রহন করে এক ঐতিহাসিক মিলন মেলায় পরিনত হয়।
আয়োজক কতৃপক্ষের প্রধান এস এস পাওয়ার প্ল্যান্টের সমন্বয়ক মোঃ নাসির উদ্দিন নিজে ঘুরে ঘুরে মেলায় আগত মেহমানদের খোঁজ খবর নিয়ে জানান, “২০ রমজান আমার মামা মৃত্যুবরন করেছেন, তার ইসালে সওয়াবের উদ্দেশ্যে তাঁর রেখে যাওয়া ওয়ারিশরা প্রায় প্রতিদিন বাঁশখালী ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসা ও এতিমখানায় গরীব, দুঃখী আসহায় মানুষদের খাওয়ানোর পাশাপাশি আজকে বৃহদাকারে তাঁর পরিবারের সবার সহযোগিতায় এ মেজবানের আয়োজন করা হল। মেজবানের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এত বড় আয়োজন সুন্দর, সুশৃংখলভাবে সমাপ্ত করতে সবার আন্তরিকতা ও সহযোগিতার জন্য আমি সকলকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। মেজবানে আগত মেহমানদের সন্তোষ্ঠি দেখে আমরাও খুশি এবং রবের দরবারে শোকরিয়া জ্ঞাপন করছি।”
৬৭ বার ভিউ হয়েছে
0Shares