বুধবার- ২২শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -৮ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
 সিরাজগঞ্জের  সলপের ঘোলের সুখ্যাতি  রয়েছে দেশজুড়ে

 সিরাজগঞ্জের  সলপের ঘোলের সুখ্যাতি  রয়েছে দেশজুড়ে

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : এই রমজান মাসে ইফতারীতে সিরাজগঞ্জের সলপের ঘোলের সুখ্যাতি রয়েছে দেশজুড়ে। দিন দিন  এর চাহিদা বেড়েই চলছে । একশো বছরের সলপের ঘোলের ঐতিহ্য ধরে রেখেছে আঃ মালেক খানের সলপের ঘোল ঘর এন্ড সাদেক দই ঘর।সারা বছরজুড়েই এখানে চলে ঘোল ও মাঠার জমজমাট ব্যবসা। এ প্রতিষ্ঠানে রমজান মাসের প্রথম থেকেই পাইকারী ও খুচরা মিলে দ্বিগুণ চাহিদায় প্রায় দেড়শো মন ঘোল বিক্রি হচ্ছে প্রতিদিন। এক কেজি ঘোল ৮০ টাকা আর মাঠা বিক্রি হয় একশত টাকায়। দেশের বিভিন্ন জেলায় সলপের ঘোল ও মাঠার চাহিদা এবং  সুনাম রয়েছে। সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার সলপ রেল ষ্টেশন এলাকায় সবচেয়ে পুরানো প্রায় একশ বছরের নামকরা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সলপ ঘোল এন্ড সাদেক দই ঘর। এটি জাতীয় পুরুষ্কার প্রাপ্ত একটি প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠানকে ঘিরে সলপ রেল ষ্টেশন এলাকায় এখন ছোটো বড় মিলে বিভিন্ন নামে ১০/১২টি ঘোল ও দই ঘর গড়ে উঠেছে । সারা বছরের তুলনায় রমজান মাসে সলপের মাঠা ও ঘোলের চাহিদা অনেক বেড়েছে বলে জানা গেছে। সরেজমিনে গিয়ে একাধিক ঘোল ব্যবসায়ীর সাথে কথা বলে জানাযায়, এমনিতেই সারা বছরই সলপের ঘোল ও মাঠা পাইকারী ও খুচরা কেনাবেচা হয়ে থাকে। এখন রমজান মাস উপলক্ষে সলপের ঘোল ও মাঠার চাহিদা অনেক বেশী হওয়ায় প্রতিদিন সকাল থেকেই বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন বাজারের ব্যবসায়ীরা এখানে এসে পাইকারী ঘোল ও মাঠা কিনে নিয়ে যান। এছাড়া বিভিন্ন এলাকা থেকে অনেকেই মোটর সাইকেল কিংবা রিকশা ভ্যান, সিএনজিসহ নানা বাহনে সলপে এসে দু’চার কেজি করে ঘোল ও মাঠা কিনে বাড়ী নিয়ে যান। সিরাজগঞ্জের আব্দুর রহিম , কামারখন্দের উল্লাস  ও তাড়াশের   আকবর হোসেন বলেন  এই ঘোলের সুনাম আছে জেনে  আমরা ঘোল কিনতে এখানে এসেছি।  একশ বছরের  ঐতিহ্যবাহী সলপ ঘোল এন্ড সাদেক দই ঘরের স্বত্ত্বাধিকারী
আঃ মালেক খান এই প্রতিবেদককে বলেন তাদের প্রতিষ্ঠান অতীত সুনাম ধরে রেখে  ব্যবসা  করে আসছে। বিশেষ করে রমজান মাসে ঘোল ও মাঠার চাহিদা প্রায় দ্বিগুণ বেড়ে যায়। এখনে প্রতিদিন পাইকারী ও খুচরাসহ প্রায় দেড়শ মন ঘোল ও মাঠা বিক্রি  হয়। তার প্রতিষ্ঠানের ঘোল সিরাজগঞ্জ,  ঢাকা, টাংগাইল, চট্রগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন  জেলা ও উপজেলায় পাইকারী বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা সরাসরি এসে ঘোল ও মাঠা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। আবার নিজেরাও দায়িত্ব নিয়ে বিভিন্ন পরিবহনে জেলা শহরের বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের নিকট তাদের চাহিদা অনুযায়ী  ঘোল ও মাঠা পৌছিয়ে দিয়ে থাকেন। তিনি বলেন, সলপের ঘোল পরিচয়ে বিভিন্ন এলাকায় তৈরী  করা ঘোল সাধারণ খদ্দেরদের কাছে বিক্রি করা হচ্ছে। এটা এক ধরণের প্রতারণা।  তিনি সলপের ঘোল ও মাঠাকে জিআই পণ্য  হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার আহবান জানান।
১৬ বার ভিউ হয়েছে
0Shares

COMMENTS