বৃহস্পতিবার- ২৭শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৩ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
স্বপ্নের ঘরে গেল পানছড়ির ১২৭ পরিবার

স্বপ্নের ঘরে গেল পানছড়ির ১২৭ পরিবার

প্রতিনিধি (পানছড়ি) খাগড়াছড়ি ২২.৩.২৩আমরা ভেবেছিলাম স্বপ্ন এখন দেখি বাস্তবেই পাকা ঘর পেয়ে গেলাম। মানবতার মা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরেই আমরা ঘর পেয়েছি। এই মানবতার মাকে আমরা প্রাণভরে দোয়া করছি তিনি যেন দীর্ঘজীবি হোন। প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেয়ে এমন কথা তুলে ধরলেন ফাতেমানগর গ্রামের ৮০ বছর বয়সী ছায়েরা বেগম। উপজেলার আদি ত্রিপুরা পাড়ার সহায় সম্বলহারা টুনুমনি ত্রিপুরা, পূর্ণ শশী ত্রিপুরা, শান্তি বড়–য়া জানান, আগে ভাঙ্গা ঘরে ছিলাম। বৃষ্টিতে পড়ে ঘরে হতো হাঁটুজল। কিন্তু সেই দিন এখন শেষ। শেখ হাসিনার দেয়া পাকা ঘরে এখন পরিবার পরিজন নিয়ে বেশ আরামে থাকবো।

সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘরে দেখা যায়, ঝকঝক করছে দৃষ্টিনন্দন ঘরগুলো। সেমিপাকা ঘরগুলোর দিকে দুর থেকে তাকালে মনে হয় যেন এক টুকরো লাল সবুজের পতাকা। কেউ কেউ বাড়ির আঙিনায় সাজিয়ে তুলেছেন নানান শাক-সবজি দিয়ে। প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনা কর্তৃক ভুমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে চতূর্থ পর্যায়ে জমি ও গৃহ হস্তান্তর কার্যক্রম উপলক্ষে পানছড়ি উপজেলা প্রশাসন সাজিয়েছিল দৃষ্টিনন্দন আয়োজন। সুবিধাভোগী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে উপজেলা পরিষদ মিলানায়তন ছিল মুখরিত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি গৃহ প্রদান কার্যক্রম অনুষ্ঠান শেষ করার পর পরই পানছড়ির সুবিধাভোগীরা বুঝে নেয় তাদের স্বপ্নের ঠিকানা।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবাইয়া আফরোজ, প্যানেল চেয়ারম্যান চন্দ্র দেব চাকমা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মনিতা ত্রিপুরা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিজয় কুমার দেব সহ বিভিন্ন দপ্তরের বিভাগীয় প্রধান, বীর মুক্তিযোদ্ধা, জনপ্রতিনিধিসহ গন্যমান্য ব্যক্তিরা এতে উপস্থিত ছিলেন। জানা যায়, পানছড়িতে জনসংখ্যার আনুপাতিক হারে চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, বাঙালী ও অন্যান্য সম্প্রদায়ের মাঝে ঘর বন্টন করা হয়েছে। যার মাঝে লোগাং ১৬, চেংগীতে ১৫,পানছড়ি সদরে ৪৩, লতিবানে ২১ ও উল্টাছড়ি ইউপির ৩২ পরিবার রয়েছে। মুজিববর্ষে “বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না” প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনা বাস্তবায়নে ভুমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদান কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

৭৩ বার ভিউ হয়েছে
0Shares