রবিবার- ১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
তিনশত বছরের পুরনো ঐতিহ্যবাহী সপ্তমী মেলা পটুয়াখালীতে হাজার হাজার দর্শনার্থীদের মেলা উৎসব

তিনশত বছরের পুরনো ঐতিহ্যবাহী সপ্তমী মেলা পটুয়াখালীতে হাজার হাজার দর্শনার্থীদের মেলা উৎসব

সঞ্জয় ব্যানার্জী, পটুয়াখালী প্রতিনিধি পটুয়াখালীর বুড়াগৌরাঙ্গ নদীর পাড়ে তিনশত বছরের পুরনো ঐতিহ্যবাহী দয়াময়ী মাঘি সপ্তমী মেলা হাজার হাজার দর্শনার্থীদের কোলাহলপূর্ণ উৎসব মুখর পরিবেশের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। গলাচিপা উপজেলার চিকনিকান্দী ইউনিয়নের সুতাবাড়িয়া গ্রামে শুক্রবার ভোর ৬টায় কালীপূঁজা ও শিবপূঁজার মধ্য দিয়ে এ মেলার কার্যক্রম শুরু হয়। ভোর থেকে সন্ধা পর্যন্ত ঢাক-ঢোল, শঙ্খসহ বিভিন্ন বাদ্য-বাজনা ও দর্শনার্থীদের কলরবে মুখরিত ছিল মেলা প্রাঙ্গন। মেলায় অনেক শিশুর বাৎসরিক মাথা সুন্ডন করা হয়। এছাড়া, মেলার কালী মন্দিরে পাঠা বলিদান হয়। মেলায় রঙ বেরঙের আকর্ষণীয় বিভিন্ন খেলনার দোকান, পল্লী বাসীদের স্ব হস্তে তৈরিকৃত বুনন শিল্পের সামগ্রী, গৃহস্থলীর ব্যবহার্য তৈজস পত্রের পণ্য সামগ্রী, মাটির তৈরি বাসন-কোসনের হরেক রকম দোকান, মিষ্টি সামগ্রীর দোকান, খাবারের দোকানের পসরা বসে।

এ বিষয়ে মাঘী সপ্তমী মেলা কমিটির সভাপতি যুগল দেবনাথ ও সাধারণ সম্পাদক বিমল দেবনাথ জানান, অর্থের অভাবে মেলার কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। তবে সবাই যদি দান করেন তাহলে আগামীতে আরও সুন্দার করে এ মেলা অনুষ্ঠিত করা সম্বাব।

এবিষয়ে চিকনিকান্দী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য বিবেক দেবনাথ বলেন, মেলায় দেশ-বিদেশর হাজার হাজার দর্শনার্থীদের পদচারনায় ঐতিহ্যবাহী দয়াময়ী মাঘি সপ্তমী মেলা কোলাহলপূর্ণ উৎসব মুখর পরিবেশের মধ্য দিয়ে এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এব্যপারে দয়াময়ী মন্দিরের পুরোহিত বিধান গাঙ্গুলী এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রতি বছরের মত এবারও মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে, তবে নদী ভাঙ্গনের ফলে স্থান সংকুলন না হওয়ায় মেলায় আগত মানুষদের দাঁড়িয়ে থেকে বেশ দুর্ভোগ সহ্য করে মেলার আনন্দ উপভোগ করতে হচ্ছে। মেলাটি এ অঞ্চলের হিন্দু স¤প্রদায়ের একটি তথা বিশেষ ভাবে শিশু-কিশোর ও তরুণ-তরুণীদের কাছে বিপুল আনন্দের খোরাক।

১৬ বার ভিউ হয়েছে
0Shares

COMMENTS