শনিবার- ২৯শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৫ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ইউপি চেয়ারম্যান এর বিরুদ্ধে ইজারার টাকা আত্মসাৎ ও অনাস্থার অভিযোগ

ইউপি চেয়ারম্যান এর বিরুদ্ধে ইজারার টাকা আত্মসাৎ ও অনাস্থার অভিযোগ

পটুয়াখালী প্রতিনিধি।পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার ১নম্বর মাধবখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী মো. মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে হাট বাজার ইজারা লব্দের ৫লাখ ১৭হাজার টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও ৮ ইউপি সদস্যের অনাস্থা প্রদানসহ নানান অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে।
অভিযোগকারী ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোল্লা মারুফ হোসেন চলতি মাসে ২৮ তারিখ পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগে বলা হয়েছে, চলতি মাসের গত ২৭ তারিখ উপজেলা হতে হাট বাজার ইজারা লব্দের ৫ লাখ ১৭ হাজার টাকা চেকের মাধ্যমে পেয়ে সাধারন হিসাব নম্বর ৪৩১৭***১৩২০ সোনালী ব্যাংক সুবিদখালী শাখায় জমা প্রদান করা হয়। ওই দিনই আবার দুইটি চেকের মাধ্যমে যথাক্রমে ৩ লক্ষ ও ২ লক্ষ ১৭ হাজার টাকা উত্তোলন করেন চেয়ারম্যান যাহা সরকারি নিয়মনীতির বাহিরে। ইউনিয়ন পরিষদের টাকা উত্তোলনের নিয়ম অনুযায়ী প্রথমে অর্থের অনুকূলে ইউনিয়ন পরিষদের সভার মাধ্যমে প্রকল্প তৈরি করে অনুমোদনের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর প্রেরন করে সেখান থেকে নির্বাহী অফিসার প্রকল্পের প্রাক্কলন (ষ্ঠিমিট) দিবেন এবং দরপত্র আহবান করে পরিষদ সর্বনিম্ন দরদাতাকে কার্যাদেশ প্রদান করে ইউনিয়ন পরিষদ ওয়ার্ড কমিটি ও তদারকি কমিটি গঠন করবেন। দুই কমিটির চুড়ান্ত সিদ্ধান্তে বিল উঠানেো যাবে। এছাড়া কাজ না করে সরাসরি টাকা উত্তোলন বেআইনি। কাজতো দুরের কথা কোন প্রকল্প গ্রহন করেন নাই তিনি। ইউপি চেয়ারম্যান সরকারি কোন নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে সরাসরি পরিষদের টাকা উত্তোলন করেছেন যাহা আত্মসাৎ এর সামিল বলে মনে করছেন অভিকারী।
ইউনিয়ন পরিষদের টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগের বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত ১ নম্বর মাধবখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী মো. মিজানুর রহমানের মুঠোফোনে কল করলে তার ভাই পরিচয় দিয়ে বলেন চেয়ারম্যান একটু ব্যাস্ত ও ঝামেলায় আছেন পরে কথা বলবেন। এরপর একাধিক বার কল করলেও ফোনকল রিসিভ করেননি বলে কোন মন্তব্য দেয়া সম্ভব হয়নি।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইয়েমা হাসান বলেন, গত ২৮ আগষ্ট টাকা আত্মসাৎ এর ব্যাপারে কোন অভিযোগ কপি হাতে পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।
এ বিষয়ে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক নুর কুতুবুল আলম বলেন, অভিযোগের বিষয়ে কপি এখনও হাতে পাইনি গতকাল ২৮’আগস্ট যেসকল অভিযোগ কপি রয়েছে তার মধ্যে যদি এধরনের অভিযোগ পাওয়া যায় অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য-নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করা ও নানান বেআইনি কর্মকাণ্ড অনিয়মের বিরুদ্ধে ৮ ইউপি সদস্য অনাস্থা প্রদান করেন। এ নিয়ে অত্র ইউনিয়নের সাধারন মানুষের মধ্যে ক্ষোভ ও নানান গুঞ্জন চলছে।

৬৭ বার ভিউ হয়েছে
0Shares