শনিবার- ২৯শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৫ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
পটুয়াখালীতে শিশু শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার

পটুয়াখালীতে শিশু শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার

পটুয়াখালী প্রতিনিধি।।পটুয়াখালীর দশমিনায় তৃতীয় শ্রেনির শিক্ষার্থী মরিয়ম (৮) নামের এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। উপজেলার বেতাগী সানকিপুর ইউনিয়নের রামভাল গ্রামে শিশুটির বাড়ির পূর্বপাশের পরিত্যক্ত ভিটা থেকে গতকাল শনিবার রাতে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার মাথায় আঘাত ও গলায় ওড়না প্যাঁচানোর চিহ্ন ছিল। নিহত মরিয়ম রামভাল্লব গ্রামের মো. মকবুল মৃধার মেয়ে। সে রামভল্লব অগ্রণী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
পারিবারিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল শনিবার সন্ধ্যার আগে মরিয়ম তার ফুফুর ঘরে মোবাইল ফোনে কার্টুন দেখছিল। সন্ধ্যা হয়ে গেলে সে বাড়ি যাওয়ার জন্য বের হয়ে গেলেও বাড়ি ফেরেনি। মরিয়মের মা ওই বাড়িতে গিয়ে জানতে পারেন সে চলে গেছে। তারপর সবাই বিভিন্ন জায়গায় খুঁজতে থাকে। পরে বাড়ির পূর্ব পাশে ভিটায় মরিয়মের মা, বাবা, চাচাসহ চার-পাঁচজন শিশুটির রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। পরিবারের সদস্যদের চিৎকারে এলাকার লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। খবর পেয়ে দশমিনা থানার পুলিশ মরিয়মের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহত মরিয়মের মা রিনা বেগম বলেন, ‘দুই বছর ধরে রাজ্জাক মৃধা, হারুন মৃধা, বারেক মৃধা, আবুল মৃধা, শাহজাহান মৃধা ও জাকির মৃধার সঙ্গে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলছে আমাদের। সন্ধ্যার সময় হারুন মৃধা, আবুল মৃধা, শাহজাহান মৃধা ও জাকির মৃধার ছেলেদের আমার ঘরের সামনে ঘুরতে দেখি। জমিজমার বিরোধের কারণে ওরাই আমার মেয়েকে বাড়ির পূর্ব পাশের ভিটায় নিয়ে হত্যা করেছে। আমি এর বিচার চাই।
নিহত মরিয়মের বাবা মকবুল মৃধা বলেন, ‘জমিজমা নিয়ে বিরোধের কারণে রাজ্জাক, হারুন, বারেক, আবুল, শাহজাহান ও জাকির বহুবার মারধর করেছে আমাকে। কয়েক দিন আগে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। ওরাই আমার মেয়েকে ভিটায় এনে হত্যা করেছে।
হারুন মৃধা, আবুল মৃধা, শাহজাহান মৃধা ও জাকির মৃধাসহ যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে তাঁরা পলাতক থাকায় কোন বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এবিষয়ে বেতাগি সানকিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মশিউর রহমান ঝন্টু বলেন, ‘এটা একটি নৃশংস হত্যাকাণ্ড। সত্য উদ্ঘাটনে তদন্ত করে এ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূল শাস্তির দাবি করি।
এবিষয়ে দশমিনা থানার ওসি নুরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, এটা একটি হত্যাকান্ড প্রাথমিকভাবে শিশু মরিয়মের মাথায় কোপ ও গলায় ফাঁস দেওয়ার চিহ্ন দেখা যায়। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পরবর্তী কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন আছে।
১৮ বার ভিউ হয়েছে
0Shares

COMMENTS