মঙ্গলবার- ২১শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -৭ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
চান্দগাঁও থানার ৮ মামলার পলাতক সাজাপ্রাপ্ত আসামী ধামা জুয়েলকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব

চান্দগাঁও থানার ৮ মামলার পলাতক সাজাপ্রাপ্ত আসামী ধামা জুয়েলকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব

এনামুল হক রাশেদী, চট্টগ্রামঃ চট্টগ্রাম মহানগরীর চান্দগাঁও থানার অস্ত্র মামলায় ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত এবং ০৮ মামলার পলাতক আসামি শীর্ষ সন্ত্রাসী মোঃ জুয়েল(৩৫) প্রকাশঃ ধামা জুয়েল’কে নগরীর বাকলিয়া থেকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৭ চট্টগ্রাম।
২৩ জানুয়ারি’২০২৪ ইং মঙ্গলবার দুপুর আনুমানিক ২.২০ ঘটিকায় সময় গোপন সূত্রে সংবাদ পেয়ে চট্টগ্রাম মহানগরীর বাকলিয়া থানাধীন কালামিয়া বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।সে চট্টগ্রাম জেলার চান্দগাঁও থানার মামলা নং-১৯(১২)২১, জিআর নং-৪৭৬/২১, বিঃ ট্রাই-৮৩/২০২২ ধারা-১৯- অ ১৮৭৮ সালের অস্ত্র আইনে সাজাপ্রাপ্ত ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি। ধৃত মো: জুয়েল প্রকাশ ধামা জুয়েল পুলিশের তালিকায় একজন শীর্ষ সন্ত্রাসী।
র‌্যাব-৭ সূত্রে জানা যায়, চান্দগাঁও এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী মোঃ জুয়েল প্রকাশঃ ধামা জুয়েল প্রকাশঃ হামকা জুয়েল কসাইপাড়ায় বসতি, বাবাও ছিলেন কসাই। কয়েক বছর পূর্বেও দুই ভাই বাদশা রাজু ও জুয়েল চাপাতি হাতে এলাকায় মাংস বিক্রি করতেন। পরবর্তীতে চাপাতির বদলে হাতে পিস্তল তুলে নিয়ে দুই ভাইয়ের নাম এখন হামকা রাজু ও ধামা জুয়েল। তারা এখন এলাকার ত্রাস, পুলিশের শীর্ষ সন্ত্রাসীর তালিকায়ও তাদের নাম রয়েছে। কিশোর গ্যাং তৈরিতেও রয়েছে তার একচ্ছত্র নেতৃত্ব। ধামা জুয়েল নগরের বহদ্দারহাট এলাকায় একটি ছিনতাইতারী চক্রকে নিয়ন্ত্রণ করাসহ চাঁদাবাজি ও মাদক ব্যবসায় সে সবসময় সক্রিয়। এছাড়াও বারাই পাড়া এলাকার আনোয়ার নামে এক গার্মেন্টস কর্মকর্তাকে কুপিয়ে হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন করেছিল ধামা জুয়েল ও তার সহযোগীরা। হক মার্কেটের সিকিউরিটি গার্ড আব্দুর সবুর, কিশোর জিয়াদ ও নুরুল আলম হত্যাকান্ডে জড়িত ছিল। চাঁদার জন্য আমজাদ হোসেন নামে এক যুবকের দুই পায়ে ড্রিল মেশিনে ছিদ্র করে দিয়েছিল বলে অভিযোগ রয়েছে শীর্ষ সন্ত্রাসী ধামা জুয়েল এর বিরুদ্ধে। উল্লেখ্য, ভয়ংকর ‘হামকা গ্রুপ এর প্রধান হামকা রাজু’র ভাই ধামা জুয়েল ইতোপূর্বে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক গ্রেফতার হয়েছিল। সম্প্রতি অস্ত্র মামলায় ১০ বছরের সাজা প্রদান করে বিজ্ঞ আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে গ্রেফতারকৃত আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায় সে সূত্রে বর্ণিত মামলায় সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি বলে স্বীকার করে। গ্রেফতারকৃত আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায়, সে বর্ণিত মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হওয়ার পর আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নিকট হতে গ্রেফতার এড়াতে চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করে ছিল।
উল্লেখ্যঃ সিডিএমএস পর্যালোচনায় গ্রেফতারকৃত আসামি মোঃ জুয়েল এর বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম জেলার চান্দগাঁও ও বোয়ালখালী থানায় হত্যা চেষ্টা, অস্ত্র, মাদক, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, দ্রুত বিচার আইনসহ সর্বমোট ০৮টি মামলার তথ্য পাওয়া যায়। আসামিকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে চট্টগ্রাম মহানগরীর চান্দগাঁও থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন র‌্যাব-৭।
৩০ বার ভিউ হয়েছে
0Shares

COMMENTS