সোমবার- ১লা জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৭ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাঁশখালীতে আবারো আগুনে পুড়ল ১১ পরিবারের ৩ বসতঘরঃ ক্ষয়ক্ষতি ৭০ লক্ষ টাকা।

বাঁশখালীতে আবারো আগুনে পুড়ল ১১ পরিবারের ৩ বসতঘরঃ ক্ষয়ক্ষতি ৭০ লক্ষ টাকা।

এনামুল হক রাশেদী, বাঁশখালী(চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ  চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলায় ফের ১১ পরিবারের ৩ বসত ঘর পুড়ে ছাঁই হয়ে গেছে, পরিবারের সদস্যরা লাগাতার গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্ঠিতে খোলা আকাশের নিচে মানবিক জিবন যাপন করছে, এতে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৭০ লক্ষাধিক টাকা। উপজেলার গন্ডামারা ইউনিয়নের দক্ষিণ গন্ডামারা গ্রামের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বিলার বাপের বাড়িতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের এ ঘটনা ঘটে। বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হয় বলে জানিয়েছে ক্ষতিগ্রস্থরা। দুর্গম যোগাযোগের কারনে ফায়ার সার্ভিস এসেও ঘটনাস্থলে পৌঁছতে পারেনি।
১১ সেপ্টেম্বর’২২ ইং রবিবার সকাল সাড়ে ১১টার সময় এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তরা হলেন, ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ নবী হোসেন, রশিদ আহমদ, জাফর আহমদ, মোহাঃ ইউসুপ, হুমায়ুন কবীর, জামাল হোসেন, আব্দুল আজীজ, আব্দুর রহমান, মোহাঃ হেলাল উদ্দিন, জসিম উদ্দিন, নাজিম উদ্দিন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল সাড়ে ১১ টার সময় বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হলে আগুনের লেলিহান শিখা মুহুর্তেই তা দাউ দাউ করে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এসময় ১১ পরিবারের কোন পুরুষ সদস্য ঘরে ছিলনা। আগুনের ভয়াবহতায় পরিবারের নারী, শিশু, বৃদ্ধরা ঘর থেকে বের হতে পারলেও পরনের কাপড় ছাড়া কিছুই বের করতে পারেনি। প্রায় প্রতিটি ঘরে থাকা গ্যাস সিলিন্ডারের বিস্ফোরনে আশেপাশের এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। প্রায় প্রতিটি ঘরের পর্যাপ্ত ফার্নিসার, নগদ টাকা, স্বর্নালঙ্কার, কাপড়-চোপড় সব পুড়ে ছাঁই হয়ে গেছে। এতে ক্ষয়-ক্ষতির পরিমান ৭০ লক্ষাধিক টাকা হবে বলে জানিয়েছে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সদস্যরা। অনেকে বিদেশ যাওয়ার জন্য টাকা জমা রেখেছিল বলে জানা গেছে। অনেকের ধারনা অদক্ষ ইলেক্ট্রিশায়ান দিয়ে দুর্বল বৈদ্যুতিক ওয়্যারিং এবং  নিন্ম মানের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ব্যবহারও বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিটের অন্যতম একটি কারন বলে জানিয়েছেন অভিজ্ঞ মহল। দুর্গম যোগাযোগ ব্যবস্থার কারনে ফায়ার ব্রিগেড আসলেও অগ্নিকান্ডস্থলে পৌঁছতে পারেনি।
বাঁশখালী ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আজাদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘সকাল সাড়ে ১১টায় আগুন লাগার খবর পেয়েছি। আমাদের ফায়ার সার্ভিস টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগে স্থানীয়রা আগুন নিভিয়ে ফেলেছে। অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত কোথা থেকে হয়েছে তা সঠিক জানা যায়নি বলে জানান তিনি। তবে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সুত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে গন্ডামারা ইউপি চেয়ারম্যান অালহাজ্ব লেয়াকত আলী, তিনি ক্ষতিগ্রস্থ সকলের প্রতি সহানুভুতি জানান এবং প্রত্যেককে নগদ ৬০ হাজার টাকা অার্থিক সহযোগিতার পাশিপাশি এলাকার ভিত্তবানদের প্রতি মানবিক সহযোগিতায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
৩৮ বার ভিউ হয়েছে
0Shares