অস্থিতিশীলতায় পড়েছে উৎপাদন ও ব্যবসা বাণিজ্য
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এখানকার সর্বত্রই আলোচনা-সমালোচনার ঝড় সবার মুখে মুখে এখন শুধু নির্বাচন আর নির্বাচন। সাধারণ ব্যবসায়ীদের ধারণা এ নির্বাচনের পরে ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিস্থিতি কিছুটা ভালো হতে পারে।
এদিকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর ধর-পাকরের ভয়ে এ লালমনিরহাট জেলার গ্রাম-শহর অঞ্চলের অনেক শান্ত প্রিয় মানুষ ভীত-সন্ত্রস্ত। অপরদিকে রাজনৈতিক দলের অনেক নেতাকর্মী পলাতক থাকায় অস্থিতিশীলতা বিরাজ করছে।
গত ২৯ অক্টোবর বিএনপির ডাকা হরতাল চলাকালে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষে লালমনিরহাট সদর উপজেলা লোড-আনলোড শ্রমিক ইউনিয়নের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটে। এতেই শান্ত লালমনিরহাটে আবারও ছড়িয়ে পড়ে রাজনৈতিক উত্তাপ।
সার্বিক অর্থনীতির ওপর এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে এমন শঙ্কার কথাই ব্যবসায়ীরা জানান, বর্তমান সময়ে বেচা-বিক্রি অনেকটা কমে গেছে। নির্বাচনের পরে হয়তো এ মন্দা অবস্থা থাকবে না। সেই সাথে বেড়েছে ভিক্ষুক ও সাহায্য প্রার্থীর সংখ্যাও। সকাল ও সন্ধ্যায় বিভিন্ন গন্তব্যে যাত্রী ও আগত যাত্রীরা অনেক সময় গাড়িতে উঠা-নামা করতে গিয়ে ভিক্ষুক ও সাহায্য প্রার্থীদের হাক-ডাকে বিরক্তি বোধ করতে হচ্ছে। এ থেকে পরিত্রাণ চায় তারা।
বর্তমানে নিম্ন আয়ের ও বেকারত্বের স্বীকার সাধারণ মানুষের আয়ের চেয়ে ব্যয় বেড়ে গেছে। কারণ নিম্ন আয়ের মানুষ চায় তাদের খাদ্য, নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য সেবা। এর কোনটিই নেই বরং বেড়েছে খাদ্য ও চিকিৎসার ব্যয়। ফলে দিন যাচ্ছে আর বেকারত্ব ও ভিক্ষুকের সংখ্যা বেড়েই চলেছে।
প্রসঙ্গত, অর্থনীতি ও ব্যবসার সমৃদ্ধি, বিকাশের জন্য ব্যবসায়ীরা শান্তিপূর্ণ পরিবেশের দাবি করছেন প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ কাছে।