শনিবার- ২৯শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৫ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
লালমনিরহাটে ছাত্রীকে অকথ্য ভাষায় গালি দিলেন শিক্ষক

লালমনিরহাটে ছাত্রীকে অকথ্য ভাষায় গালি দিলেন শিক্ষক

লালমনিরহাট প্রতিনিধি। লালমনিরহাট পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের পূর্ব সাপটানা এলাকায় অবস্থিত পূর্ব সাপটানা উচ্চ বিদ্যালয়ের আইসিটি বিষয়ক এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে এক ছাত্রীকে অশ্লীলভাবে গালি-গালাজ ও হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টিকে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চালায় ওই বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মোঃ শফিকুল ইসলাম।

উক্ত ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষকের বিচারের দাবিতে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা রাস্তায় বিক্ষোভ করার চেষ্টা করলে বিদ্যালয় দ্রুত ছুটি দিয়ে সটকে পরে বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দ।

জানা গেছে, অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের নাম ফেরদৌস আলী। তার বাবার নাম বছির মিয়া। তিনি পার্শ্ববর্তী বানিয়ার দিঘী এলাকার বাসিন্দা।

ঘটনা সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (১ জুন) বিদ্যালয়ের শ্রেণি কক্ষে অভিযুক্ত শিক্ষক  এক ছাত্রীকে বোরখা পড়ায় সবার সামনে অশ্লীল ভাষাসহ “বেশ্যা” বলে গালি দেন। এরপর সে বাড়িতে গিয়ে কেঁদে কেঁদে তার অভিভাবককে এ ঘটনাটি জানায়। এ ঘটনার পর সোমবার (৫ জুন) ওই শিক্ষক বিদ্যালয়ে আসা মাত্র বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা উত্তেজিত হয়ে যায় এবং বিদ্যালয়ের মুল ফটকে অবস্থান নেয়। সেখানে সংবাদকর্মীদের উপস্থিত বুঝতে পেরে বিদ্যালয়ের সভাপতি মোঃ শফিকুল ইসলাম শিক্ষক রুমে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কোন ধরনের তথ্য না দেয়ার হুমকি দিয়ে রাগান্বিত হয়ে সকল শিক্ষককে বাড়ি যেতে বলেন।

এরপর কোন প্রকার সিদ্ধান্ত ছাড়া মোঃ শফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের দেখে অশোভন আচরণ করতে থাকেন। এবং সেখান থেকে কৌশলে প্রধান শিক্ষক মোঃ গোলাম সরওয়ারকে পাঠিয়ে দেন। এরপর মোঃ শফিকুল ইসলাম উপস্থিত সাংবাদিকদের টাকা দিয়ে ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন, তখন সাংবাদিকরা ঘটনার বিষয়ে পুনঃরায় জানতে চাইলে স্থানীয় সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শুভর বাহিনীকে লেলিয়ে দিয়ে শফিকুল ইসলাম সটকে পড়েন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক অভিভাবক জানায়, পকেট কমিটির মাধ্যমে গোপনে ওই স্কুলের সভাপতিত্ব পান শফিকুল ইসলাম। শফিকুলের ছত্র-ছায়ায় শিক্ষক ফেরদৌস আলম নিজের খেয়াল খুশিমতো শিক্ষার্থীদের সাথে খারাপ আচরণ ও মারধর করে আসছে। ফেরদৌসের এ ঘটনা বিদ্যালয়ে চাউর হওয়ার পরে তাকে তিনি পালিয়ে সহযোগিতা করার অভিযোগ উঠেছে।

আরও জানা যায়, মোঃ শফিকুল ইসলাম লালমনিরহাট পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের রহমান ছেলে। এক সময় মোঃ শফিকুল ইসলাম পুলিশের সোর্স ও দালালী করে চললেও আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর তিনি ওই ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সভাপতির পদ পান। পদ পেয়ে একের পর এক বেপরোয়া হয়ে উঠেন। তেমনি ছাত্রী ও শিক্ষকের এ ঘটনা ধামাচাপা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় পরিবারটির বিপক্ষে অবস্থান নেয়।

৩০ বার ভিউ হয়েছে
0Shares