বুধবার- ২৬শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১২ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ফুলবাড়ীতে চলাচলের রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করাকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশীকে মারধরের অভিযোগ

ফুলবাড়ীতে চলাচলের রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করাকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশীকে মারধরের অভিযোগ

মোঃ আফজাল হোসেন, দিনাজপুর প্রতিনিধি : দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার শিবনগর ইউনিয়নের দক্ষিণ বাসুদেবপুর তেলীপাড়া গ্রামে চলাচলের রাস্তায় কূপ খনন করে কূপের কাঁদামাটি রাস্তায় রেখে চলাচলের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করার প্রতিবাদ করলে প্রতিবেশীদেরকে মারধর করে প্রতিপক্ষরা।

গত বৃহ:স্পতিবার মারধরের শিকার দক্ষিণ বাসুদেবপুর তেলীপাড়া গ্রামের জাহিদুল হকের স্ত্রী ফারিজা সাবরিনার ফুলবাড়ী থানায় দায়েরকৃত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, একই গ্রামের সাবেক চেয়ারম্যান মৃত তছির উদ্দিন ঢেপার পুত্র মোঃ মাসুদ রানা, রফিকুল ইসলাম মন্টু, শফিকুল ইসলাম, মাহাবুব আলম ও মাসুদ রানার পুত্র নুহাশ, মৃত মনছুর আলীর পুত্র আবু তালেব বৈকাল ৫ ঘটিকায় ফারিজা সাবরিন সহ তার পরিবারের ৫-৬ জন সদস্যকে মারধর করে। অভিযোগে জানা যায়, গত ৩-৪দিন আগে বাদী ও বিবাদী উভয়ের চলাচলের রাস্তায় বিবাদীগণ টয়লেটের ময়লা ফেলার জন্য একটি কূপ খনন করে। কূপ খননের কাঁদামাটিগুলো চলাচলের রাস্তায় রাখে। যাতে প্রতিবেশী ফারিজা সাবরিনার পরিবারের লোকজনের চলাচলের চরম বিঘœ ঘটে। এ বিষয়ে ফারিজা সাবরিনার পরিবারের লোকজন স্থানীয় ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম নুরুকে বিষয়টি অবগত করেন। ঘটনার দিন সকালে নুরুল ইসলাম নুরু ঐ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ঐদিন বৈকাল ৫ ঘটিকার সময় ইউপি সদস্যকে বিষয়টি অবগত কেন করেছে সে বিষয়ে ফারিজা সাবরিনাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে মাসুদ রানা। গালিগালাজের প্রতিবাদ করলে ফারিজা সাবরিনাকে বাড়ি থেকে লাঠি এনে মারধর শুরু করে মাসুদ রানা। পরে সাবরিনার ঘটনা দেখে ফারিজা সাবরিনার ভাসুর জয়নাল আবেদীন এগিয়ে এলে তাকেও মারধর করে বিবাদীগণ। ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা ফারিজা সাবরিনার শাশুড়ি জমিলা বেগমকেও মারধর করে গুরুত্বর আহত করে বিবাদীগণ। একইভাবে ফারিজা সাবরিনার ৯ বছরের মেয়ে জান্নবীকে চুল ধরে টেনে হিঁচড়ে মাটিতে ফেলে মারধরের অভিযোগও করেন বাদী। অভিযোগও করেন বাদী। অভিযোগে আরও বলা হয় মারধরের ঘটনা দেখে ফারিজা সাবরিনার জা আজেদা ও রাফেজা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হইলে তাদেরকেও মারধর করেন বিবাদীগণ। মারধরের ঘটনা দেখিয়া এলাকাবাসী সেখানে উপস্থিত হলে বিবাদীগণ তাদের ঘটনাস্থল থেকে তাদের বাড়িতে চলে যায়। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। সেখানে ফারিজা সাবরিনা, জয়নাল আবেদীন ও জমিলা বেগমকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভর্তি করানো হয়েছে। বাকী আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে বিশ্রামের জন্য পাঠানো হয়। এই ঘটনায় অভিযোগকারী ফারিজা সাবরিনা সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন।

৫৩ বার ভিউ হয়েছে
0Shares