![দলীয় চেয়ারপার্সন যখন জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে তার মুক্তির দাবিতেও বিভক্ত কুড়িগ্রাম বিএনপি দলীয় চেয়ারপার্সন যখন জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে তার মুক্তির দাবিতেও বিভক্ত কুড়িগ্রাম বিএনপি](https://spnewsbd.com/wp-content/uploads/2023/10/Kurigram-Bnp-Somabesh-Photo.jpg)
দলীয় চেয়ারপার্সন যখন জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে তার মুক্তির দাবিতেও বিভক্ত কুড়িগ্রাম বিএনপি
![](https://spnewsbd.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
সাইয়েদ বাবু,কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি-বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও চিকিৎসার জন্য বিদেশে প্রেরণের দাবিতে বিভক্ত বিএনপির দুটি গ্রুপ আলাদা আলাদা বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে । তবে দলীয় প্রধান যখন মৃত্যু শয্যায়, তখনও চেয়ারপার্সনের মুক্তির দাবিতে ঐক্যবদ্ধ হতে পারেনি কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপি । পৃথক পৃথক বিক্ষোভ সমাবেশ করে দলীয় বিভক্তিকে বার বার জনসম্মুখে আনছে দলটি।
সোমবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে জেলা শহরের মোক্তারপাড়ার জেলা বিএনপির একাংশের কার্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে সভাপতি তাসভীরুল ইসলামের অনুসারীরা। পরে কুড়িগ্রাম শহরের এনআর প্লাজার সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। জেলা বিএনপির সহ সভাপতি অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম বেবুর সভাপতিত্বে,অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক উমর ফারুক ,সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক সোহেল হোসনাইন কায়কোবাদ,জেলা ছাত্রদল সভাপতি আমিমুল ইহসান প্রমুখ।
এর কিছু সময় আগে সোমবার দুপুরে একই দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে জেলা বিএনপির আরেকটি অংশ। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান রানার নেতৃত্বে জেলা শহরের পোস্ট অফিস পাড়ার কার্যালয় থেকে এই বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহর প্রদক্ষিণ করে। পরে তারাও এনআর প্লাজার সামনে সমাবেশ করে । এতে বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান রানা, সাবেক সিনিয়র- সহসভাপতি আবু বকর সিদ্দিক, যুগ্ম সম্পাদক অধ্যাপক হাসিবুর রহমান হাসিবসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা।
উভয় সমাবেশে বক্তারা দাবি করেন, সরকার বেগম খালেদা জিয়া ও তার পরিবারকে ভয় পায় এ জন্য তাকে চিকিৎসা নিতে বিদেশে যেতে দিচ্ছেনা। সরকার আবারো পাতানো একটি নির্বাচন করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায় বলেই প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে। অবিলম্বে বেগম জিয়ার মুক্তি ও চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবি জানান বক্তারা।
লের সর্বোচ্চ ব্যক্তির মুক্তির দাবিতেও প্রকাশ্য দলীয় বিভক্তি নিয়ে জেলা বিএনপির কয়েকজন দায়িত্বশীল নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আট বছর ধরে জেলায় কমিটি নেই। বিগত পাঁচ বছর ধরে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দ্বন্দ্বে জেলা বিএনপিতে বিভক্তি চলছে। বিভক্তি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে তা ওয়ার্ড কমিটি পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে। কেন্দ্রকে বারবার বলার পরও বিভক্তি নিরসনে কোনও উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না।
দলীয় সভাপতি তাসভিরুল ইসলামের অনুসারী ও জেলা কমিটির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক সোহেল হোসনাইন কায়কোবাদ বলেন, সাধারণ সম্পাদক গঠনতন্ত্র অনুযায়ী দল পরিচালনা করেন না। কমিটি গঠন কিংবা ভেঙে দেওয়ার বিষয়ে তিনি কারও মতামত নেন না। ফলে দলের একটি বৃহৎ অংশ তার থেকে সরে এসেছে। এই অংশটি ঐক্যবদ্ধ আছে এবং ঐক্যবদ্ধ থেকেই সরকারবিরোধী আন্দোলনে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান রানা বলেন আমি দলের সাধারণ সম্পাদক আমি দলকে ঐক্যবদ্ধ করার সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি আমাদের দলীয় কার্যালয় সবার জন্য উন্মুক্ত, সকলকে ঐক্যবদ্ধ থেকে আন্দোলন সংগ্রামে অংশ গ্রহণ করার আহবান জানিয়েছি । এ ব্যাপারে সভাপতি তাসভীরুল ইসলামের বক্তব্য জানার জন্য একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।