এস এম তারেক সুলতানকে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন শহীদ মাহফুজের বাবা
ইচ,এম, শহিদুল ইসলাম, বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ মাহফুজুর রহমানের কবর জিয়ারত ও তার পরিবারের সদস্যদের সাথে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম তারেক সুলতান সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টায় বাগেরহাট জেলার মোরেলগঞ্জের গুলিশাখালী বাজার সংলগ্ন শহীদ মাহফুজুর রহমানের বাবা ও শহীদ পরিবারের সদস্যরা এবং উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ শহীদ মাহফুজুর রহমানের রুহের মাগফেরাত কামনায় কবর জিয়ারত শেষে স্থানীয় মসজিদের মুসল্লী ও সুধীজনের উপস্থিতিতে দোয়া করেন। দোয়া পরিচালনা করেন উপজেলা পরিষদ জামে মসজিদ খতিব ফয়সাল আহমেদ।
এ সময় শহীদ মাহফুজুর রহমানের বাবা মো. আব্দুল মান্নান ছেলের মৃত্যুর বর্ণনা দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম তারেক সুলতান শহীদ মাহফুজের বাবাকে বুকে টেনে নিয়ে সান্ত্বনা দেন। এসময় এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ঢাকা মিরপুর আলহাজ্ব আব্বাস উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী মাহফুজুর রহমান ১৯ জুলাই পুলিশের গুলিতে শহীদ হন।
শহীদ মাহফুজের বাবাকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে উপজেলার উপস্থিত বিভিন্ন দপ্তরের অফিসারদের নির্বাহী অফিসার এস এম তারেক সুলতান বলেন, মাহফুজ দেশের জন্য জীবন দিয়েছেন। তার এই আত্মত্যাগ বিফলে যাবে না। আন্দোলনের শহীদদের কথা সামনে রেখেই বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ে উঠবে।
তিনি আরও বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সব শহীদ এবং আহতদের আত্মত্যাগে ভবিষ্যতের আন্দোলন সংগ্রামে অনুপ্রেরণা যোগাবে। সকল শহীদদের স্মৃতিকে ধরে রাখতে হবে। তাদের মর্যাদা দিতে হবে। শত বছর পরেও যেন এই বিপ্লবের বীরদের কথা স্মরণ করে সমাজ বিপ্লবের অনুপ্রেরণা পায়।
শহীদ মাহফুজের বাবা আব্দুল মান্নান বলেন, ছাত্র-জনতার নেতৃত্বে যে দেশ হয়েছে সেটা যেন নতুন বাংলাদেশ হয়। আমাদের যেন পেছনে ফিরে যেতে না হয়। আমার ছেলের মতো কেউ যেন পুলিশের গুলিতে শহীদ না হন।
এ সময় শহীদ মাহফুজের পরিবারের সদ্যরা উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল জাবের, উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম, বাংলাদেশ জামায়েত ইসলাম মোরেলগঞ্জ উপজেলা শাখার আমির মাওলানা মোঃ শাহাদাত হোসাইন, বিএনপি নেতা গিয়াস উদ্দিন তালুকদার, মতিউর রহমান বাচ্চু, , অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল বারী, আব্বাস উদ্দিন প্রমূখ।