মঙ্গলবার- ১৮ই জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -৪ঠা আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নাটোরের ঐতিহ্যবাহি দিঘাপতিয়া পি.এন উচ্চ বিদ্যালয়ে ১৭০ বছর পূর্তিতে পুনর্মিলনী

নাটোরের ঐতিহ্যবাহি দিঘাপতিয়া পি.এন উচ্চ বিদ্যালয়ে ১৭০ বছর পূর্তিতে পুনর্মিলনী

ইসাহাক আলী, নাটোর, ০১ জুলাই-নাটোরের ঐতিহ্যবাহি দিঘাপতিয়া রাজা প্রসন্ন নাথ (পি.এন) উচ্চ বিদ্যালয়ে ১৭০ বছর পূর্তিতে প্রথমবারের মতো পুনর্মিলনীতে মিলন মেলায় পরিণত হয়েছিল বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গন।

এ উপলক্ষে সকালে বিদ্যালয় চত্বর থেকে বর্তমান ও প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীদের আনন্দ র‌্যালি বের হয়ে উত্তরা গণভবনসহ বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করা হয়। ব্যালি শেষে বিদ্যালয় মাঠে উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব সাংবাদিক ইসাহাক আলীর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন নাটোর-২ আসনের সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল, ডিআইজি এ জেড এম নাফিউল ইসলাম কলিন, জেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজান, ভারত থেকে আগত দিঘাপতিয়ার রাজা ও বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা প্রসন্ন নাথের নাতি অরূপ রায়, পুনর্মিলনী উদযাপন কমিটির আহবায়ক আব্দুল্লাহ আল মনসুর মিন্টু ও প্রধান শিক্ষখ আলিম উদ্দিন সহ সরকারী বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও সুধিজন।

এর আগে সকালেই নিবন্ধনকৃত সহস্রাধিক বর্তমান ও প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী জড়ো হন প্রিয় বিদ্যালয়ে। এরপর বাদ্যের তালে নেচেগেয়ে বর্ণাঢ্য র‌্যালীতে অংশ নেন তারা। ঘোড়ার গাড়ি আর বাদ্যের তালে নাচানাচিতে অতিথিদের সাথে পুরো এলাকা উৎসবে পরিণত হয়। এরপর দীর্ঘদিন সাক্ষাত না পাওয়া বন্ধু বান্ধবদের সাথে দেখা হয়ে আনন্দে আল্পুত হন তারা। এছাড়া স্মৃতির পাতায় দিনটিকে ধরে রাখতে সেলফি আর ফটো ফ্রেমে ছবি তোলেন অনেকে। র‌্যালির পর জাতীয় সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে শুরু হয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। পরে বেলুন উড়িয়ে শুভ উদ্ধোবন ঘোষনা করা হয়। তারপরই অনুষ্ঠিত হয় পুনর্মিলনী থিম সং। এ সময় তার সাথে নেতেৃ অংশ নেয় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তারপরই বরণ সঙ্গীতের সাথে ফুল দিয়ে অতিথিদের বরণ করেন কমিটির সদস্যসহ শিক্ষক শিক্ষার্থীরা। তারপর আলোচনা সভায় অংশ নেন অতিথিরা। এছাড়া পুনর্মিলনীর স্মরণিকাটি পুষ্পমাল্য কেটে মোড়ক উন্মোচন করেন অতিথিরা। অনুষ্ঠানসূচির মধ্যে ছিল র‌্যালি, স্মৃতিচারণ মূলক আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

পুনর্মিলনী উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব ইসাহাক আলী জানান, বৃষ্টির জন্য অনুষ্ঠানে কিছু বিঘœ ঘটলেও দীর্ঘদিন বন্ধুত্বের বন্ধন শানিত করার এমন আয়োজন উপভোগ করেন সবাই। অতিথিদের মধ্যে অনুষ্ঠানে যোগ দিতে কলকাতা থেকে আসা রাজ পরিবারের সদস্য ও বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা রাজার নাতি অরুপ রায়কে কাছে পেয়ে অনুষ্ঠানের অংশ গ্রহণকারীরা উচ্ছ্রাসে মেতে উঠে। তার আগমন নতুন মাত্রা যোগ করে। তিনি আরো জানান বিদ্যালয়ের ৯৮ ব্যাচের বাকির মৃত্যু শোক সভা থেকে শুরু হওয়া সমবেত উদ্যোগটিই পরবর্তীতে সহ¯্রাধিক শিক্ষার্থীদের একত্রিত করেছে।

তবে মূল আয়োজন ১৭৫ পুর্তির লক্ষ্য নিয়ে শুরু হলেও আগেই ১৭০ পূর্তিতে এমন আয়োজন করতে পেরে সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।

৫১৩ বার ভিউ হয়েছে
0Shares