সাঁথিয়া-বেড়া ও সুজানগরে ১ লাখ ২০হাজার লিটার সয়াবিন তৈল জব্দ,৬ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা

সাঁথিয়া (পাবনা) প্রতিনিধি : গেল দুই দিনে সাঁথিয়া, বেড়া ও সুজানগরে পৃথক অভিযান চালিয়ে গোডাউন থেকে প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার লিটার সয়াবিন তৈল জব্দ করেছে পাবনা জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও উপজেলা প্রশাসন। এ সময় গোডাউনগুলোর মালিকদেরকে ৬ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম জামাল আহমেদ জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে সাঁথিয়া চতুরবাজারে হাজী এন্ড সন্স দোকানে অভিযান চালিয়ে চালান ছাড়া অতিরিক্ত প্রায় ৩৮ ড্রাম পামওয়েল মজুদ রাখার দায়ে ভোক্তাঅধিকার আইনে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

জানা যায়, বুধবার (১১ মে) দুপুর থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সাঁথিয়ার কাশিনাপুর বাজারের সুনীল কুমার সাহা, লক্ষণ কুমার সাহা ও মির স্টোর এবং সুজানগরের ঘোষ স্টোরের গোডাউনে এই অভিযান চালানো হয়।

সাঁথিয়া সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুজ্জামান বলেন, কাশিনাথপুর বাজারের বেড়ার সাঁথিয়ার অংশের মীর মোহাম্মদ আবুল খায়েরের মালিকাধীন মীর স্টোরের গোডাউনে অভিযান চালিয়ে ৩০ হাজার লিটার সয়াবিন ও পাম ওয়েল তৈল জব্দ করা হয়। এসময় গোডাউন মালিককে ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

অপরদিকে বেড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহা. সবুর আলী জানান, প্রথমে অভিযান চালানো হয় কাশিনাথপুর বাজারের বেড়ার উপজেলার অংশের সুনীল ও লক্ষণের গোডাউনে। এ সময় সুনিলের গোডাউনে সয়াবিন ৬০ ড্রাম, পাম ওয়েল ৩০ ড্রাম ও ৩০ ড্রাম সুপার তেল জব্দ করা হয়। আর লক্ষণের গোডাউনে জব্দ করা হয় সয়াবিন তেল ৩০ ড্রাম এবং পাম ওয়েল ৭২ ড্রাম। প্রত্যেক ড্রামে ২১০ লিটার তেল হিসেবে আনুমানিক ৪৫ হাজার লিটার তেল জব্দ করা হয়। অবৈধভাবে তেলগুলো দীর্ঘদিন মজুদ করে রাখার অপরাধে সুনিলকে দুই লাখ এবং লক্ষণকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

এছাড়াও একই দিনে পাবনার সুজানগরে অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে মজুদ করে রাখা ৩ হাজার ১৩৭ লিটার সয়াবিন তেল জব্দ করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

পাবনা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক জহুরুল ইসলাম জানান, দুপুরের দিকে সুজানগর বাজারের ঘোষ স্টোরে এসব তেল জব্দ করা হয়ে। এ সময় দোকান মালিককে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। জব্দকৃত তেলের মধ্যে রয়েছে ১ হাজার ৪৩৫ লিটার খোলা সয়াবিন তেল ও ১ হজার ৭০২ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তৈল।

জব্দকৃত তৈলগুলো স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের উপস্থিতিতে সরকার নির্ধারিত পূর্র্বের মূল্যে দুই দিনের মধ্যে বিক্রি করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলেও জানান অভিযানে দায়িত্বপালনকারী কর্মকর্তারা।