বৃহস্পতিবার- ২৭শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৩ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে পেঁয়াজের দাম বাড়ায় —সাঁথিয়ায় কৃষিমন্ত্রী

ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে পেঁয়াজের দাম বাড়ায় —সাঁথিয়ায় কৃষিমন্ত্রী

সাঁথিয়া(পাবনা)প্রতিনিধিঃ কৃষিমন্ত্রী ড.আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, বছর শেষে পেঁয়াজ নিয়ে রাজনীতি শুরু হয়। সামনে ঈদ, ঈদের আগেই পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা নানারকম ষড়যন্ত্র করে সিন্ডিকেট করে পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দেয়। কৃষকের স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে পেঁয়াজ আমদনি নয়।

বিরোধীদল হুমকি ধামকি দিচ্ছে আমরা পালাবো,আমাদের পতন ঘটানো হবে। নির্বাচন ছাড়া আ’লীগ সরকারের পতন ঘটানো যাবেনা। তাদের বলছি নির্বাচনে আসেন। যদি জিততে পারেন স্যালুট দিয়ে চলে যাবো।২০০১ সালে স্যালুট দিয়ে আমরা আপনাদের ক্ষমতায় বসিয়েছিলাম। আপনারা দেশটারে এবং দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছিলেন। নিজেদের কবর নিজেরা খুরেছিলেন এখন তার মধ্যে হাবুডুবু খাচ্ছেন।কবর থেকে উঠার চেষ্টা করেন। নির্বাচনে আসতে হবে । এইসব হুমকি দিয়ে আওয়ামীলীগ সরকারের পতন ঘটাতে পারবেন না।

গতকাল মঙ্গলবার(২৩মে) পাবনার সাঁথিয়ায় কৃষি বিপনন অধিদপ্তরের আয়োজনে কৃষক পর্যায়ে পেয়াজ রসুন সংরক্ষণ পদ্ধতি আধুনিকায়ন এবং বিপনন কার্যক্রম উন্নয়ন প্রকল্প আওতায় উপজেলার ক্ষেতুপাড়া ইউনিয়নে বনগ্রাম পূর্বপাড়া গ্রামে পেঁয়াজ ও রসুন সংরক্ষণ মডেল ঘর উদ্ধোধন কালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন,প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন পেঁয়াজ নিয়ে কেন এতো সমস্যা সেটি দেখতে। আমরা গত কয়েক বছর ধরে চেষ্টা করছি, কি করে পেঁয়াজের দামটা সকলের গ্রহণযোগত্যার মধ্যে রাখা যায়। পেঁয়াজ সংরক্ষণ করতে না পারার কারণে অনেক পেঁয়াজ পঁচে নষ্ট হয়ে যায়। ঘরে রাখতে না পারায় কৃষক দ্রæত পেঁয়াজ বিক্রি করে দিতে বাধ্য হয়। তাদের হাতে আর কোন পেঁয়াজ থাকে না। পরে আবার দাম বেড়ে যায়। কৃষক ও ভোক্তা উভয়ের স্বার্থ বিবেচনা করে পেঁয়াজ আমদানির বিষয়ে সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন,আমরা চেষ্টা করছি পেঁয়াজের সংরক্ষণের সময় বাড়াতে। আমরা দেশীয় ও আধুনিক প্রযুক্তিতে পেঁয়াজ সংরক্ষণের প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছি। এজন্য আমরা পরীক্ষামূলকভাবে ফরিদপুর, রাজবাড়ী, ভোলা, পাবনা সহ বিভিন্ন জেলায় ৬০টি করে পেঁয়াজ সংরক্ষণের গোডাউন ঘর নির্মাণ করে দিয়েছি। যদি সফল হই তাহলে দেশের চাহিদা মিটিয়ে আমরাই ভারতে পেঁয়াজ রপ্তানি করতে পারব।

বঙ্গবন্ধু ছিলেন কৃষক দরদি। তিনি স্বাধীনতার পর ১০ লক্ষ সার্টিফিকেট মামলা এবং ২৫ বিঘা পর্যন্ত জমির খাজনা মওকুফ করেছিলেন।বঙ্গবন্ধুর কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে। তাই তাদর জীবন যাত্রার মান উন্নয়নে কাজ করতে হবে।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব ওয়াহিদা আকতারের সভাপতিত্বে এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার এ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু এমপি। পাবনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহিম পাকন, সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ হোসেন, উপজেলা আ’লীগের সভাপতি হাসান আলী খান উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জিব কুমার গোস্বামী।

১৩৭ বার ভিউ হয়েছে
0Shares