রবিবার- ১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
তানোরে চাপিয়ে দেয়া সভাপতি স্বপন আওয়ামী লীগের বিঁষফোড়া

তানোরে চাপিয়ে দেয়া সভাপতি স্বপন আওয়ামী লীগের বিঁষফোড়া

তানোর প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোরে দীর্ঘ প্রায় ১০ বছর পর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে মাইনুল ইসলাম স্বপনকে সভাপতি ও প্রভাষক আবুল কালাম আজাদ প্রদীপ সরকারকে সম্পাদক করে কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এদিকে স্বপনকে চাপিয়ে দেয়া সভাপতি গণ্য করে মিশ্রপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। স্থানীয়রা বলছে, তৃণমুলের দীর্ঘদিনের দাবি সদর ভিত্তিক নেতৃত্ব সেটা প্রদিপ সরকারকে দিয়ে পুরুণ হয়েছে। তবে জনবিচ্ছিন্ন-বিতর্কিত ও
গ্রহণযোগ্যহীন স্বপনকে সভাপতি তারা কোনো ভাবেই মেনে নিতে পারছেন না। তারা বলছেন, এতে দলে কোন্দল বৃদ্ধি, সংহতি ও ঐক্য নষ্ট হবে।
স্থানীয় রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের ভাষ্য, নানা কারণে নেতাকর্মীর কাছে সাবেক সভাপতি গোলাম রাব্বানীর অপরাধ থাকতেই পারে, তবে সেই অপরাধের পরিমাণ এতো বেশী না যে স্বপনের মতো ব্যক্তিকে দলের সভাপতি করতে হবে। জনৈক মুন্সেফ, করিম ও রতন বলেন, স্বপনকে সভাপতি করে দলকে দুই ভাবে বিভক্তের স্বীকৃতি দেয়া হলো বলে তারা মনে করছেন। যিনি নৌকা নিয়ে জামানত হারান তাকে সভাপতি করা আর নিজের পায়ে কুড়াল মারা একই কথা।
জানা গেছে,তানোরের কলমা ইউনিয়ন (ইউপি) চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনে স্থানীয় সাংসদ আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী ও উপজেলা চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়নার আর্শিবাদে  ইউপি আওয়ামী লীগ সভাপতি মাইনুল ইসলাম স্বপন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। অথচ বিজয়ী হবার পর পরই তিনি দলের আদর্শিক ও মুলধারার নেতাকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি ঘটিয়ে এমপি ও নৌকাবিরোধী শিবিরের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলেন বলে তৃৃৃণমুলের অভিযোগ। স্থানীয় নেতা ও কর্মী-সমর্থকদের অভিমত, স্বপনের কারণেই আওয়ামী লীগের আঁতুড় ঘর কলমা যেখানে প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষ আওয়ামী লীগ মতাদর্শী সেই কলমা ইউপিতে নৌকার লজ্জাজনক পরাজয় ঘটেছে, একই সঙ্গে দলীয়কোন্দল ও মতবিরোধ প্রকট আকার ধারণ করে ভেঙ্গে পড়ে দলের চেইন অব কমান্ড বিরাজ করে হ-য-ব-র-ল পরিস্থিতি। এমন বিতর্কিত একজন মানুষের হাতে উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব কোনো ভাবেই মেনে নেয়া যায় না। তারা বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শরীফ খাঁন, খাদেমুন নবী বাবু চৌধুরী, উপজেলা চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না এসব পরীক্ষিতদের  হাতে নেতৃত্ব দিলে অন্তত্ব এমন সমালোচনার সুযোগ ছিল না। আওয়ামী লীগের আঁতুড়ঘরে নৌকা নিয়ে যেই ব্যক্তি প্রত্যেক ভোটকেন্দ্রে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে পরাজিত হয়। তার তো একটা লজ্জাবোধ থাকা প্রয়োজন।
তার জনপ্রিয়তা বা রাজনৈতিক দক্ষতা কি সেটা সহজেই অনুমান করা যায়।
১২৪ বার ভিউ হয়েছে
0Shares