শনিবার- ২৯শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৫ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিরামপুরে হঠাৎ বেড়েছে সবজির দর!ফলন বাড়াতে কৃষি বিভাগের পরামর্শ

বিরামপুরে হঠাৎ বেড়েছে সবজির দর!ফলন বাড়াতে কৃষি বিভাগের পরামর্শ

বিরামপুর (দিনাজপুর) সংবাদদাতা : বছরের অন্যান্য সময় বিরামপুর উপজেলার সবজি বিভিন্ন জেলায় চালান হলেও এবার তীব্র খরতাপে গাছ মরে যাওয়ার অজুহাতে উপজেলার হাট-বাজারে হঠাৎ বেড়েছে সবজি ও মসলা জাতীয় অনুসংগের দাম।

বন্যা বা কোন প্রাকৃতিক দূর্যোগ নয়; এবার খরায় গাছ মরে যাওয়া ও আসন্ন ঘুর্ণিঝড়ের আগে ধান কাটায় শ্রমিকরা ব্যস্ত থাকার অজুহাতে বিরামপুর উপজেলায় হঠাৎ বাড়ানো হয়েছে সবজি ও মসলা জাতীয় দ্রব্যাদির দাম।

শনিবার (১৩ মে) বিরামপুর হাটে সবজি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সবজির দোকান বসেছে অনেক কম। যারা বসেছেন তাদের কাছেও সবজি অপ্রতুল। এ অবস্থায় দাম বাড়ানো হয়েছে সবকিছুর। বাজারে প্রতি কেজি বেগুন ৬০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, শসা ৫০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, ঢেড়ষ ৫৫ টাকা, বরবটি ৫০ টাকা, তরাই ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। একই সাথে মসলা জাতীয় দ্রব্য কাঁচা মরিচ ১২০ টাকা, শুকনা মরিচ ৪২০ টাকা, পেঁয়াজ ৬৫ টাকা, আদা ৩০০ টাকা, রসুন ১২০ টাকায় বেচা-কেনা চলছে।

সবজি বিক্রেতা কাওছার আলী জানান, প্রচন্ড খরায় গাছ মরে যাওয়ায় ফলনও কমে গেছে। এছাড়া এসময় শ্রমিকরা একযোগে ধান কাটতে নেমে পড়ায় সবজি তোলার লোক নেই। সব মিলিয়ে বাজারে সবজির সরবরাহ কম। স্বল্প পরিমাণ সবজি নিয়ে পাইকারি বাজারে কাড়াকাড়ি অবস্থা বিরাজ করছে। একারণে খুচরা বাজারেও দাম বেড়ে গেছে।

ভ্যান চালক নয়ন ঋষি জানান, আমাদের মতো গরীব মানুষের ভরসা ছিল সবজির উপর। কিন্তু সেই সবজির বাজারও চড়া হওয়ায় বাজার করা নিয়ে বিপাকে পড়েছি।

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ ফিরোজ আহমেদ জানান, বিরামপুর উপজেলায় এবার ৫৪০ হেক্টর জমিতে সবজির চাষ করা হয়েছে। এসব খেতের ফসল বিরামপুর উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকায় চালান হয়। কিন্তু বর্তমানে খরার কারণে ফলন কমে গেছে। সেচ দিয়ে গাছ রক্ষা ও ফলন বাড়ানোর জন্য কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। তবে নতুন যেসব সবজির খেত তৈরি হয়েছে সেগুলো থেকে ফসল উঠলে ও বৃষ্টির প্রভাবে খেতের পুষ্টতা বাড়লে ব্যাপক হারে সবজির উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে এবং বাজারেও দাম কমে আসবে।

৪২ বার ভিউ হয়েছে
0Shares