বৃহস্পতিবার- ২৭শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৩ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ভাঙ্গুড়ায় গ্রাম্য সালিশে ৫ লক্ষ টাকা জরি মানা অনাদায়ে গ্রাম ছাড়ার হুমকি

ভাঙ্গুড়ায় গ্রাম্য সালিশে ৫ লক্ষ টাকা জরি মানা অনাদায়ে গ্রাম ছাড়ার হুমকি

ভাঙ্গুড়া(পাবনা)প্রতিনিধি : পাবনার ভাঙ্গুড়ায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গ্রাম্য সালিশে অবৈধ ভাবে প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছে দুই অসহায় দিন মুজুরি নুরুজ্জামান ও জাকিরকে । জরিমানার টাকা না দিলে গ্রামছায়া কড়ার হুমকি দিয়েছে সালিশ কারোক প্রধানরা। এমন ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার অষ্টমনিষা ইউনিয়নের ঝবঝবিয়া গ্রামে ।

ভুক্তভোগী ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, ঝবঝবিয়া গ্রামের হযরত মোাল্লার ছেলে মোঃ রিপন মোল্লার মুরগির খামারে নরুজ্জামান নামের এক কর্মচারী ছিল। সে প্রায় এক মাস পূর্বে এক বস্তা মুরগির ফিট ওই গ্রামের জাকির নামে এক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে। জাকির বিষয়টি বুঝতে পেরে খামার মালিক রিপন মোল্লাকে বলে ফেরত দেয়। এ সময় খামার মালিক রিপন সুজুক  বুঝে তার কর্মচারী নরুজ্জামান ও জাকিরের বিরুদ্ধে গ্রামে সালিশদেয়। তখন ঐ গ্রামের কিছু বি এন পি’র নেতারা ঐক্যবদ্ধ হয়ে ।

গত বহৃস্পতি বার ২৩ মার্চ সকাল ১০ ঘটিকায় অষ্টমনিষা ইউনিয়নের বিএনপি’র সভাপতি ইয়াসিন সরকারের সভাপতিত্বে ঝবঝবিয়া গ্রামের ঈদগাহ মাঠে সালিশ করে । সালিশে বাদী রিপন প্রভাবশালী ও অর্থবিত্ত হওয়ায় সালিশে আলেপ প্রামানিক, আব্দুস সালাম, আজিজল হক, আব্দুর রাজ্জাক, হাবিবুর রহমান, মন্টুসরদার, আব্দুর রহিম, আফজাল হোসেন, আব্দুল বাড়ি , সাবেক মেম্বার আলমসহ অনেকেই সংঘবদ্ধভাবে ওই বিবাদী নরুজ্জামান ও জাকির হোসেনকে লাঠিপেটাসহ মারধরের ও গ্রাম ছাড়ার ভয়-ভীতি দেখিয়ে ঐ সালিশে নরুজ্জামান কে ৩ লক্ষ দশ হাজার টাকা ও জাকিরকে এক লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন ও সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেয়। এবং ওই শালি সে নরুজ্জামানের কাছ থেকে নগদ এক লক্ষ টাকা আদায় করেন এবং জাকির হোসেনের কাছ থেকে নগদ ৪০ হাজার টাকা আদায় করে । জরি মানার বাকি টাকা সাত দিনের মধ্যে না দিলে গ্রাম ছাড়া করবে বলে জানায়।

সালিশে নগদ আদায় কৃত এক লক্ষ ৪০ হাজার টাকা বিবাদী রিপন মোল্লা এখনো পায়নি বলে তিনি বলেন। অসহায় দিন মুজুরি নরুজ্জামান ও জাকির  তাদের উপর অন্যায় ভাবে বিচারের  রায় চাপিয়ে দেওয়ায় ভাঙ্গুড়া উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, থানা ওসি ও উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছে ।

এ বিষয়ে সালিশের সভাপতি ইয়াসিন সরকার বলেন নরুজ্জামান মরুগির খাদ্য ১বস্তা বিক্রি করেছে তা প্রমাণ মিলেছে কিন্তু জাকিরের অপরাধ প্রমান হয় নাই কিন্তু পরিবেশ নিয়ন্ত্রণ করতে জরি মানা করা হয়েছে ।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রধান বলেন সালিশে যে রায় করা হয়েছে তা সম্পুর্ণ অন্যায় ভাবে করা হয়েছে ।এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান বাকিবিল্লাহ বলেন এক বস্তা চুরির দায়ে এত টাকা জরি মানা অন্যায় ভাবে করা হয়েছে ।এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান বলেন বিষয়টি তদন্তপ‚র্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে । ভাঙ্গুড়া থানার ওসি রাসিদুল ইসলাম বলেন, গ্রাম্য শালিসে এতো টাকা জরিমানা করার এক্তিয়ার নাই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে ।

৬৭ বার ভিউ হয়েছে
0Shares