বৃহস্পতিবার- ২৭শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৩ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বন্দরে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে দু’ভাইকে হত্যা চেষ্টার ঘটনার ১০দিন পর মামলা

বন্দরে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে দু’ভাইকে হত্যা চেষ্টার ঘটনার ১০দিন পর মামলা

নিজস্ব সংবাদদাতা: নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানাধীন মুরাদপুর এলাকায় তুচ্ছ ঘটনার জেরে মাসুদ ও রাব্বি নামে দুই সহোদরকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যার চেষ্টার ঘটনায় এখনো কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। ১৭ মার্চ লৌমহর্ষক এ ঘটনার ১০দিন অতিবাহিত হলেও হত্যা চেষ্টাকারীরা ধরা-ছোঁয়ার বাইরে থাকায় নির্মম নির্যাতনের শিকার নিরীহ মাসুদ-রাব্বির পরিবারে অজানা সংশয় বিরাজ করছে। এ দিকে মাসুদ-রাব্বির পিতা সুবিচার পেতে বন্দর থানা পুলিশের স্মরণাপন্ন হলে পুলিশ তাদেরকে নিরাশ করে। ফলে হামলাকারীরা আহতদের গোটা পরিবারের লোকজনকে অভিযোগ প্রত্যাহারসহ বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি করা হলে হত্যা করা হবে বলে অসহায় মাসুদ-নাব্বির পরিবারের সদস্যদেরকে প্রকাশ্যে হুমকি দিচ্ছে। বিষয়টি প্রশাসনের উ”” পর্যায়ের কর্মকর্তাদের গোচরে আসা উচিত বলে মনে করি। সূত্র মতে,বন্দরের মদনপুরস্থ মুরাদপুর এলাকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মিজানুর রহমানের ছেলে ৭ মার্চ পবিত্র শবে বরাতের নামাজ আদায়ের তার নানা-নানীর কবর জিয়ারত করার জন্য কুড়িপাড়ার কাদেরিয়া কবরস্থানে যায়। জিয়ারত শেষে ফেরার পথে হরিপুর এলাকার মৃত আব্দুল কাদিরের ছেলে ওসমান গণি,বাচ্চু মিয়ার ছেলে নাজমুল,মৃত জিয়াসউদ্দিনের ছেলে সামসুল,আলীনূরের ছেলে শাহিন ওরফে বীমামনির হোসেনের ছেলে হৃদয়,বাদল মিয়ার ছেলে শ্রাবণ,সামসুল আলমের ছেলে রিয়াজ,নুরুজ্জামানের ছেলে দিপু,কেছা মিয়ার ছেলে ইসমাইল,তাওলাদ হোসেনের ছেলে রফিক,মৃত তাজউদ্দিনের ছেলে শহীদুল্লাহ ও ডিস মনিরের ছেলে ইমন গং ধারালো অস্ত্র-সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মাসুদ(১৮) ও রাব্বী(১৯)এর পথরোধ করে। এ সময় কিছু বুঝে ওঠার আগেই উল্লেখিতরা মাসুদ ও রাব্বীকে এলোপাথাড়িভাবে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। এক পর্যায়ে হত্যার চেষ্টায় হাতুড়ী দিয়ে পিটিয়ে দুই সহোদরের দু’পায়ের বুড়ো আঙ্গুল থেতলে দিয়ে নখ উপরে ফেলে। খবর পেয়ে মিজান ও এলাকার লোকজন মাসুদ ও সাব্বিরকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় আল বারাকাহ হাসপাতালে ভর্তি করে। দু’সন্তানের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় পিতা মিজানুল রহমান তাদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে দৌড়াদৌড়ি করার সুযোগে অপর পক্ষ আগেই থানায় মামলা এন্ট্রি করেন। ছেলের চিকিৎসার ৫দিন পর মিজানুল রহমান মামলা করার জন্য মিজানুর রহমান একজন মানবাধিকার কর্মী ও একজন গণমাধ্যমকর্মী নিয়ে থানায় গেলে বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ আবু বকর সিদ্দিক বিষয়টি পাত্তা না দিয়ে বাইরে চলে যান। উপায়ন্তর না পেয়ে মিজানুর রহমান বিজ্ঞ আদালতের সম্মুখীন হলে আদালত ঘটনার বিবরণ শুনে মামলাটি এফআইআর হিসেবে লিপিবদ্ধ করার জন্য বন্দর থানা পুলিশকে নির্দেশ দিলে পুলিশ ১৬ মার্চ রাতে মামলা হিসেবে এন্ট্রি করেন। আসামী গ্রেফতারে অনীহার ব্যাপারে জানতে চাইলে বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ আবু বকর সিদ্দিক জানান,ঘটনা সম্পর্কে আমরা ওয়াকিবহাল ছিলাম না। আদালতে যেহেতু মামলা হয়েছে আইনগত প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই আসামীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং তাদেরকে গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত থাকবে।

৩৫ বার ভিউ হয়েছে
0Shares

COMMENTS