বুধবার- ২৬শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১২ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাঁকির টাকা চাওয়ার জের বাগাতিপাড়ায় সাংবাদিক রক্তাক্ত হয়ে হাসপাতালে

বাঁকির টাকা চাওয়ার জের বাগাতিপাড়ায় সাংবাদিক রক্তাক্ত হয়ে হাসপাতালে

ইসাহাক আলী, নাটোর, ১২ মার্চ-: নাটোরের বাগাতিপাড়ায় দোকান বাঁকির টাকা চাওয়ার জেরে পশু চিকিৎসক আকরাম ও তার লোকজনের হামলায় রক্তাক্ত জখমে গরুত্বর আহত হয়েছেন সাংবাদিক ফজলুর রহমান (৩২)। শনিবার রাতে উপজেলার বড়পুকুরিয়া রেলগেট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। ফজলু বর্তমানে বাগাতিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ফজলুর রহমান স্থানীয় বাগাতিপাড়া প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক এবং দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকার বাগাতিপাড়া উপজেলা প্রতিনিধি। তিনি পৌরসভার লক্ষনহাটী মহল্লার আব্দুস সামাদের ছেলে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিলেও মামলা রেকর্ড করেনি পুলিশ। এমনকি ঘটনাস্থলও পরিদর্শন না করার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে।

আহত সাংবাদিক ফজলুর রহমান জানান, তার চাচা পৌর এলাকার পেড়াবাড়িয়া গ্রামের মোস্তফা কামাল এবং একই উপজেলার কোয়ালিপাড়া গ্রামের আকরাম হোসেন পিন্টু উভয়েই ঔষধ ব্যবসায়ী। ব্যবসার কারনে তার চাচার দোকান থেকে ঔষধ ক্রয়ের সূত্র ধরে আকরাম হোসেন পিন্টুর ২৮ হাজার ২১০ টাকা বাঁকি ছিল। কামালের হালখাতায়ও বকেয়ার টাকা পরিশোধ না করতে ব্যর্থ হয় পিন্টু। গতকাল শনিবার বড়পুকুরিয়া রেলগেট এলাকার পিন্টুর নিজের ভেটেরিনারি ঔষধের দোকানে হালখাতার পরে টাকা দেয়ার জন্য তাদের ডেকে নেন পিন্টু । সেখানে গেলে পিন্টু পুরো টাকা না দিয়ে মাত্র ৫ হাজার টাকা পরিশোধ করা নিয়ে ফজলুর চাচা মোস্তফা কামাল এবং পিন্টুর মধ্যে বাক-বিতন্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে চাচার ওপর চড়াও হলে সাথে থাকা সাংবাদিক ফজলুর রহমান এর প্রতিবাদ করে বাঁকি টাকা পরিশোধের কথা বলেন। এ সময় পিন্টুর ছেলে আবু রাসেল স্বপন পেছন থেকে ধারালো কাঁচি দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করে সাংবাদিক ফজলুর রহমানের মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত জখম করে গুরুত্বর আহত করেন। পরে তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে বাগাতিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। বর্তমানে সে হাসপাতালেই চিকিৎসা নিচ্ছেন। এ ঘটনায় রাতেই তার চাচা মোস্তফা কামাল বাদি হয়ে পিন্টু ও তার ছেলে স্বপনকে অভিযুক্ত করে বাগাতিপাড়া মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। তবে অভিযোগটি এখনো রেকর্ড করেনি পুলিশ। ফজলু ও তার অভিযোগ পুলিশ রহস্যজনক কারণে মামলা রেকর্ড করেনি এমনকি তার সাথে কথা বলেনি।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত আকরাম হোসেন পিন্টু বলেন, শনিবার আমার হালখাতা চলাকালীন সময়ে কামাল লোকজন নিয়ে আমার দোকানে এসে হট্টগোল ও অতিরিক্ত টাকা দাবি করে। এতে আমাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি চলাকালীন ফজলু নিজের পরিচয় না দিয়ে তৎক্ষনাৎ পুরো টাকা দাবি করে। এনিয়ে তার সাথে কথা চলাকালীন সে আমাকে ঘুষি মারলে পাশে আমার ছেলে ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে একটু মেরেছে। তবে ছেলের আঘাতে ফজলু রক্তাক্ত হয়নি দাবি করে তিনি বলেন, লোহা বা কাটার সাথে এমনটি হতে পারে। ফজলু আমি বয়স্ক মানুষ হওয়ার পরও না আঘাত করলে এমনটি হতো না।

এ ব্যাপারে বিষয়ে বাগাতিপাড়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি আল আফতাব খান সুইট বলেন, একজন সাংবাদিককে এভাবে রক্তাক্ত জখম করার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই এবং এর সাথে জড়িতদের দ্রæত আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি করছি।বাগাতিপাড়া মডেল থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

৫৫ বার ভিউ হয়েছে
0Shares