শনিবার- ২৯শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৫ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
তানোরে ব্র্যাকের আলু বীজ রোপণ করে নিঃস্ব শতশত কৃষক 

তানোরে ব্র্যাকের আলু বীজ রোপণ করে নিঃস্ব শতশত কৃষক 

সারোয়ার হোসেন, তানোর: রাজশাহীর তানোরে ব্র্যাকের নিম্নমানের বীজ আলু রোপণ করে নিঃস্ব শতশত কৃষক। গজায়নি শতশত বিঘা জমিতে আলুর গাছ। ফলে চরম হতাশ হয়ে পড়েছে ব্র্যাকের আলু বীজ রোপণ করে কৃষকরা। উপজেলার চাঁন্দুড়িয়া ইউনিয়ন, কামারগাঁ ইউনিয়ন ও তানোর পৌরসভার অনেক আলু চাষী ব্র্যাকের আলু বীজ কিনে রোপণ করেছেন। কিন্তু তাদের কারো জমিতে গজায়নি আলুর গাছ। উপজেলার চাঁন্দুড়িয়া ইউনিয়নের গাগরন্দ মাঠ ও কামারগাঁ ইউনিয়নের মাদারীপুর মাঠে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় এমন দৃশ্য। মাথায় হাত দিয়ে চাতক পাখির মতো হতাশ হয়ে আলুর জমিতে পড়ে রয়েছে আলু চাষীরা। জানা গেছে, যারা ব্র্যাকের বীজ আলু কিনে রোপণ করেছেন তাদের কারো জমিতে আলুর গাছ বের হয়নি। অথচ পাশের জমিতে অন্য কোম্পানির বীজ আলু কিনে রোপণ করেছেন তাদের জমিতে সুন্দর ভাবে বের হয়েছে আলুর গাছ। কামারগাঁ ইউনিয়নের মাদারীপুর মাঠে আলু চাষী তরিকুল ইসলামের ১৯ বিঘা, আব্দুল করিমের ১৫ বিঘা, আব্দুল রহিমের ১৫ বিঘা জমিতে কোন গাছ গজায়নি। তারা জানান, ব্র্যাকের বীজের খুব ভালো আলুর ফলন হয় বলে তারা এবার ব্র্যাকের বীজ আলু কিনে রোপণ করেছেন। কিন্তু তাদের কারো জমিতে আলুর গাছ বের হয়নি। কৃষক মামুন জানান, তার ১৩ বিঘা জমিতে ব্র্যাকের বীজ আলু কিনে রোপণ করেছেন। তারও জমিতে কোন আলুর গাছ বের হয়নি। আর যে দু’একটা গাছ বের হয়েছে সেগুলো গাছের আলু পঁচে যাওয়ায় গাছ দুর্বল হয়ে মরে যাচ্ছে। এবার ব্র্যাকের বীজ আলু রোপণ করে নিঃস্ব হয়ে পথে বসতে হবে আমাদের। এবার ১বিঘা জমিতে আলু রোপণ করতে প্রথমেই জমিতে খরচ হয়েছে ৬০ হাজার করে টাকা। এতে করে তার ১৩ বিঘা জমিতে এখন পর্যন্ত খরচ হয়েছে ৭লাখ ৮০ হাজার টাকা। আমি আলুর ক্ষতিপূরণ না পেলে আইনের আশ্রয় নিব। এছাড়া ভবানীপুর মাঠে করিমের ডিপে লিটন নামের একজনের ৩০ বিঘা জমিতে ব্র্যাকের বীজ আলু রোপণ করে তারও কোন আলুর গাছ বের হয়নি। এসব বিষয়ে তানোর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কাছে জানতে চাইলে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে অনেক কৃষকের মন্তব্য, এসব খাওয়ার আলু রি-প্যাক করে ব্র্যাকের বীজ আলু বলে কৃষকের কাছে বিক্রি করা হয়েছে।
১৪ বার ভিউ হয়েছে
0Shares

COMMENTS