বৃহস্পতিবার- ২৭শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৩ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
রাজশাহী মহানগীর উপকন্ঠে কাঁটাখালি এলাকায় মাথায় বন্ধুক ঠেঁকিয়ে অপহরণ ও চাঁদাবাজি!

রাজশাহী মহানগীর উপকন্ঠে কাঁটাখালি এলাকায় মাথায় বন্ধুক ঠেঁকিয়ে অপহরণ ও চাঁদাবাজি!

ডেক্স নিউজঃ রাজশাহী মহানগরীর উপকন্ঠে কাঁটাখালি থানার সাহাপুর পশ্চিমপাড়া এলাকার অস্ত্র ব্যবসায়ী লিটন দাপিয়ে বেড়ালেও প্রশাসন নিশ্চুপ। এতে একের পর এক ঘটছে অঘটন। ভয়ংকর লিটন বাহিনী গত ১৬ তারিখে জাতীয় দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার, রাজশাহী সিনিয়র রিপোর্টার, দৈনিক ডোনেট বাংলাদেশ রাজশাহী প্রতিনিধি ও অনলাইন ক্রাইম নিউজ ২৪ ডট নেট সহ-সম্পাদক এবং জাতীয় দৈনিক ডেসটিনি রাজশাহী কাটাখাখালি প্রতিনিধি এনায়েত উল্লাহ কে মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে তুলে নিয়ে গিয়ে এক লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করেছে চারঘাট উপজেলার ইউসুফপুর ইউনিয়ন ৩ নং ওয়ার্ডের যুবলীগ সভাপতি লিটন।

গত ১৬ জুলাই শনিবার দিবা গত রাত্রি ৮:৩০ ঘটিকায় সময়। সাহাপুর পশ্চিমপাড়া আলামিনের “চা স্টল” থেকে তাকে টেনে হেঁছড়ে নিয়ে যান, চারঘাট উপজেলার ইউসুফপুর ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের যুবলীগ সভাপতি লিটন ও তার দলবল। অবৈধ আগ্নে অস্ত্র মাথায় ঠেকিয়ে সাহাপুর মোড় থেকে বল পূর্বক তুলে নিয়ে গেলেও কিছুই করার ছিলো না জনতার।

স্থানীয়রা জানান, সাহাপুর পশ্চিমপাড়া, আলামিনের”চা স্টলে” বসে ছিলেন, এনায়েত উল্লাহ। হঠাৎ সাহাপুর পশ্চিমপাড়া এলাকার মৃত লুৎফর রহমানের ছেলে লিটন অবৈধ অস্ত্র ধারী ১০/১২ জনের একটি সন্ত্রাসী দল নিয়ে “চা স্টলে” আসেন এবং এনায়েতের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে জামার কলার ধরে সাহাপুর মোড়ে নিয়ে যায়। তারপর এনায়েতের কাছে থাকা ক্যামেরা ব্যাগপত্র ছিনিয়ে নিয়ে একটি মোটর সাইকেলের মাঝে বসিয়ে উত্তরে কাটাখালি থানার দিকে মোটর সাইকেলের বহর নিয়ে চলে গেছে। এবিষয়ে আমরা মর্মহত। অবৈধ আগ্নীয় অস্ত্র তাক করায় আমরা কেহ কথা বলার সাহস পাইনি।

এ বিষয়ে সাহাপুর মোড়ের দোকানদারগন বলেন, ইউসুফপুর, ইউপি ৩নং ওর্য়াডের যুবলীগের সভাপতি, মো. লিটন, পিতা- মৃত লুৎফর, ঠিকানা- সাহাপুর পশ্চিমপাড়া, পো- চৌমুহনী বাজার, থানা-কাটাখালি, জেলা- রাজশাহী’র পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে তার নেতৃর্ত্বে ৫/৬ টি মোটর সাইকেলে প্রায় ১০/১২ জনের একটি দল সন্ত্রাসী (তাদের দেখলে চিনতে পারবো) আসে। সেখানে মানুষ জনের মধ্যে থেকে লিটন এনায়েতের মাথায় এক হাত দিয়ে পিস্তল ঠেকিয়ে, অন্য হাত দিয়ে জামার কলার ধরে টানতে টানতে প্রথমে সাহাপুর মোড়ে নিয়ে এসে এনায়েত কাছে থেকে ক্যামেরা ব্যাগপত্র কেড়ে নেয় এবং একটি মোটর সাইকেলের মাঝে বসিয়ে বেলঘড়িয়া বাদলের মোড়ের দিকে নিয়ে গেছে। তারা আরও জানান, একজন আগ্নীয় অস্ত্র ব্যবসায়ী, আন্তরজার্তিক কালো বাজারি, সোর্সের দাপটে আমরা অতিষ্ঠ হয়ে পরেছি। তার বিরুদ্ধে কেহ মূখ খোলার সাহস পাইনা। এলাকার যাকে তাকে পুলিশ দিয়ে উঠিয়ে নিয়ে গিয়ে ফিটিং দিচ্ছি। সরকারের উর্দ্ধোতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করছি লিটনের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জন্য। অন্যথায় যে, কোন সময় মার্ডার হবে এলাকায়।

ঘটনার ব্যাপারে এনায়েত উল্লাহ বলেন, সাহাপুরে আমি জমি কিনা-বেচা করছি। আমার নিয়ন্ত্রনে ৪-৫টি জমি আছে। তাহা লিটনের সহ্য হচ্ছে না। সে আমার একটা জমি তার নামে ফ্রিতে লিখে দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে। বিষয়টি আমি এলাকাবাসী, মন্ডল প্রধান, মেম্বার, চেয়ারম্যানকে জানিয়েছি। এর পর’ই লিটন আমার উপর আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। গত ১৬ জুলাই শনিবার রাত্রি ৮:৩০ ঘটিকায় সময়। আলামিনের চা ষ্টলে বসে ছিলাম। হঠাৎ লিটন অস্ত্র ধারী সন্ত্রাসী ১০/১২ জনের এক বাহিনী নিয়ে এসে আমার মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে তুলে নিয়ে প্রথমে সাহাপুর মোড়ে যান। সেখানে জনসম্মুখে আমার কাছে থাকা একটি ব্যাগ, ব্যাগে থাকা লক্ষাধীক টাকা, একটি ডিএসএলআর ৮০ডি, ক্যামেরা ছিনিয়ে নেন এবং একটি মোটর সাইকেলের মাঝে বাসিয়ে উত্তর দিকে বেলঘড়িয়া বাদলের মোড় দিয়ে থানার দিকে একটি আমবাগানে নিয়ে যায়। যাহা এলাকাবাসীগন স্ব-চক্ষে দেখেছেন। পরে লিটন ৩টি ফাঁকা ননজুডিশিয়্যাল ষ্টামে আমাকে স্বাক্ষর করায়। পরে তারা সেখান থেকে টাঙ্গন এলাকায় জৈনক ফেন্সিডিল ব্যবসায়ী রুবনের বাসায় নিয়ে যান। এবং রুবনের কাছে থেকে ৯টি ফেনসিডিল বাকিতে ক্রয় করেন। প্রতিটি ফেনসিডিলের মূল্য ১,৫০০/- (এক হাজার পাঁচশত) টাকা। মোট মূল্য- ১৩,৫০০/- (তের হাজার পাঁচশত) টাকা। সেখানে লিটন আমাকে বলে ২৪ ঘন্টার মধ্যে রুবন কে ফেন্সিডিলের ১৩,৫০০/- (তের হাজার পাঁচশত) টাকাটা পরিশোধ করে দিবি। পরিশেষে রাত্রি অনু: ১০ টায় পর লিটন মোটর সাইকেল যোগে আমাকে মাসকাটাদিঘী, নর্থবেঙ্গল ইন্টার ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির গেটে নামিয়ে দিয়ে যায়।

আমি প্রমান রাখার সার্থে সবকিছু মুখ বুঝে সহ্য করেছি এবং কৌসলে সেখানকার লোকেশান প্রমান স্বরুপ একজন পুলিশ অফিসারের কাছে একটি ফোন করি। পরে গত ১৮/০৭/২২ ইং তারিখ। আমার ব্যবহিত মোবাইল ফোন নাব্বর ০১৭১৬-২৫৯৮৫৯, থেকে বিকাশে রুবনের ০১৮৬৫৮৪২১২৮ নব্বর ফোনে ৪,৯০০/- (চার হাজার নয়শত) টাকা প্রদান করেছি। অবশিষ্ট ৮,৫০০/- (আট হাজার পাঁচশত) টাকা নগদ প্রদান করি। যাহার প্রমান রয়েছে। আগামি ৩০শে জুলাই আমার মেয়ের সহকারি জজ নিয়োগ পরিক্ষা থাকায় কয়েকটা দিন চুপ থাকি।

অবশেষে গত ২৭/০৭/২০২২ ইং তারিখে আমি প্রশাসনের নিকট লিখিত অভিযোগ করেছি। অভিযোগের পর লিটন আমাকে তার মোবাইল: ০১৭২৫-৯১২৩৪০ নম্বর থেকে প্রাননাশের হুমকি দিচ্ছে। আমার জীবনের নিরাপত্তা নেই। আমি র‌্যাব ও সরকারের উর্দ্ধোতন কর্তৃপক্ষের সাহায্য কামনা করছি।

৯৭ বার ভিউ হয়েছে
0Shares