সোমবার- ১লা জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৭ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
রাজশাহীর পদ্মাপাড়ে ঈদের আমেজে বিনোদনপ্রেমি মানুষের ঢল

রাজশাহীর পদ্মাপাড়ে ঈদের আমেজে বিনোদনপ্রেমি মানুষের ঢল

নাজিম হাসান,রাজশাহী থেকে:
রাজশাহীতে এখনো বইছে ঈদের আমেজ। ঈদের প্রথম দিন বৃষ্টিপাতের কারণে বিনোদনপ্রেমিরা ঘরবন্ধী কাটলেও ঈদের দ্বিতীয় ও ত্বতীয় দিন আকাশে রোদ থাকায় মহানগরীর বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে দেখা যায় উপচে পড়া ভিড়। পরিবার পরিজন কিংবা প্রিয়জন সঙ্গে নিয়ে তারা বড়কুঠি থেকে বুলনপুর ও পঞ্চবটি হয়ে সাতবাড়িয়া এলাকার দীর্ঘ প্রায় ১০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে জমাচ্ছেন পদ্মাপাড়ের বিনোদন কেন্দ্রে। তাই অন্য সময় তো বটেই ঈদের রাজশাহীবাসীর জন্য বরাবরই বিনোদনের শ্রেষ্ঠ ঠিকানা এই পদ্মাপাড়। রাজশাহীতে হাতে গোনা কয়েকটি বিনোদন স্পট থাকলেও মানুষের পছন্দের তালিকায় সবার ওপরেই থাকে পদ্মার পাড়। এবং দর্শনার্থীদের ভিড়ের কারণে পদ্মা পাড়ের চটপটি থেকে শুরু করে ফুটপাতের খাবার দোকান গুলোর ব্যবসা জমজমাট হয়ে হয়ে থাকে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চালে তাদের কেনাবেচা। এদিকে,পদ্মার সেই যৌবন না থাকলেও বিনোদন প্রেমীদের কাছে টানে পদ্মাপাড়ের সৌন্দর্য। সিটি করপোরেশন কর্তৃক পদ্মাপাড়ের সৌন্দর্য বাড়ানোর পর এ পদ্মাপাড় আরও মনরোম হয়ে উঠেছে। নির্মল বাতাস আর নৈসর্গিক পরিবেশে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে তাই ঈদের পর থেকে এখনো বিনোদন পিপাসুদের ঢল নেমেছে রাজশাহীর পদ্মাপাড়ে। সকাল নেই, দুপুর নেই, সব সময়ই ভিড় আর ভিড়। তাই আরও বেশি প্রাণচাঞ্চল হয়ে উঠেছে রাজশাহীর এই পদ্মার পাড়। তবে মানুষের বিনোদনের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পদ্মার ধার ঘেঁষে নির্মাণ করা হয়েছে সুদৃশ্য ওয়াকওয়ে। উন্নতমানের এ সড়ক দিয়ে সহজেই বিনোদন পিপাসুরা হেঁটে পদ্মার অপরূপ সৌন্দর্য দেখতে পারছেন। কাটাতে পারছেন ঈদের অখন্ড অবসর। গ্রীষ্ম, শীত, বর্ষা কিংবা শরৎ সব ঋতুতেই পদ্মা নদীকে ঘিরে মানুষের আনাগোনা। গ্রীষ্মে শুকিয়ে কাঠ পদ্মা আর বর্ষায় জলে টইটম্বুর, বছরের সব সময়ই তাই রাজশাহীর মানুষকে কাছে টানে বিশাল এ পদ্মার পাড়। আর ঈদের মতো উৎসব হলে তো কথাই নেই। বিনোদন পিয়াসীদের কাছে সেরা ঘোরাঘুরির স্পট হিসেবে প্রথম পছন্দ পদ্মাপাড়। ঈদের দিন বৃষ্টিস্নাত থাকায় অনেকে আসেননি। তবে বুধবার ও গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে এ পদ্মার পাড় মুখরিত হয়ে উঠেছে বিনোদন প্রেমীদের পদচারণায়। রোদ ওঠায় শিশু থেকে বৃদ্ধ, সব বয়সী মানুষেরই উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায় দুপুরের পর থেকে। এরই মধ্যে চাকরীজীবীরা ছূটির কয়েকটি দিন যেন বৃথা না যায় সে লক্ষ্য একটু প্রশান্তিরর জন্য আসছেন বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে। তাই কর্মস্থলে ফেরার আগে নিজের ছূটিকে আনন্দঘন করে নিচ্ছেন সবাই।#

৭৩ বার ভিউ হয়েছে
0Shares