শনিবার- ২৯শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৫ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
স্কুল ছাত্রীকে অপহরণের ১৩ বছর পর তরুণের যাবজ্জীবন ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা

স্কুল ছাত্রীকে অপহরণের ১৩ বছর পর তরুণের যাবজ্জীবন ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা

ইসাহাক আলী, নাটোর, ১৯ জানুয়ারী-নাটোরে স্কুল থেকে চতুর্থ শ্রেণীর এক ছাত্রীকে অপহরণের প্রায় ১৩ বছর পর এক তরুণের যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ডাদেশ দিলেন আদালত। অর্থদন্ডের টাকা পাবেন ভ‚ক্তভোগী সেই ছাত্রী। বৃহষ্পতিবার দুপুরে নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এই দন্ডাদেশ দেন। আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালের ৪ ফেব্রæয়ারী সকাল ১১টায় নাটোরের লালপুর উপজেলার কুজিপুকুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে চতুর্থ শ্রেণীর এক ছাত্রী নিখোঁজ হয়। ওই দিন রাতেই ওই ছাত্রীর ভাই বাদি হয়ে তাঁর অপহৃত বোনের বান্ধবী ও তার ভাই রনি আহম্মেদসহ (২০) চারজনের বিরুদ্ধে একটি অপহরণ মামলা করেন। এর দুই দিন পর পুলিশ অপহৃত স্কুলছাত্রী উদ্ধার হয়। পরে সে আদালতে জবানবন্দি দেয় যে, তাকে সীমান্তবর্তী একটি স্থানে আটকে রাখা হয়েছিল। ঘটনাটি তদন্ত করে লালপুর থানার উপ পরিদর্শক জামাত আলী ২০১০ সালের ৫ এপ্রিল শুধু রনি আহম্মেদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরে মামলাটি ট্রাইবুন্যালে যায় বিচারের জন্য। ছয় জন সাক্ষি ট্রাইবুন্যালে সাক্ষ্য প্রদান করেন। কিন্তু রনি আহম্মেদ জামিনে গিয়ে পলাতক হন।

মামলার সাক্ষ্য প্রমাণে অপহরণের অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ঘটনার প্রায় ১৩ বছর পর আসামির অনুপস্থিতিতেই আদালত আজ বৃহষ্পতিবার দুপুরে রনি আহম্মেদকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড করেন। অর্থদন্ডের টাকা আদায় করে ভ‚ক্তভোগীকে দেয়ার নির্দেশ দেন আদালত। দন্ডিত রনি আহম্মেদ নাটোরের লালপুর উপজেলার কুজিপুকুর গ্রামের আকবর হোসেনের ছেলে।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালের পেশকার সাইফুল ইসলাম দন্ডাদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আদালতের সরকারি কৌঁসুলি আনিছুর রহমান জানান, অভিযুক্ত আসামি পলাতক হওয়ার মাধ্যমে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন।

১২ বার ভিউ হয়েছে
0Shares

COMMENTS