সোমবার- ৩রা জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -২০শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
চৌবাড়িয়া হাটের আরসিসি রাস্তার কাজে ব্যাপক অনিয়ম

চৌবাড়িয়া হাটের আরসিসি রাস্তার কাজে ব্যাপক অনিয়ম

তানোর প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোর উপজেলার সীমান্তবর্তী ঐতিহ্যবাহী চৌবাড়িয়া হাটের আরসিসি রাস্তার কাজে ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতি করছেন ঠিকাদার  বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রয়োজনীয় রোড না দেওয়া, ভরাটে নিম্মমানের বালু ব্যবহার ও রাস্তার পুরাতন ইট দিয়ে এজিং করা, ঢালায়ে সিমেন্ট অল্প পরিমানে দেওয়াসহ নানা অনিয়মের কথা তুলে ধরেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। ফলে রাস্তার টিকসই নিয়ে দেখা দিয়েছে সন্দিহান। এর আগেও ব্রীজ থেকে হাটের কড়ইতলা পর্যন্ত আরসিসি রাস্তার ঢালায় দেওয়া হয় বৃষ্টির পানির মধ্যে। এবার কড়ই তালা থেকে উত্তর পশ্চিমে ২০০ মিটার আরসিসিসহ মোট ৫ কিলোমিটার নতুন রাস্তা কার্পেটিং করা হবে। কাজের বিপরীতে ৩ কোটি টাকার অধিক বরাদ্দ। রাস্তার কাজ করছেন নওগাঁ জেলা সদর এলাকার ঠিকাদার জনি।
মঙ্গলবার সরেজমিনে দেখা যায়, চৌবাড়িয়া হাটের কড়ইতলা থেকে ২০০ মিটার রাস্তাটি আরসিসি ঢালায় দেওয়া আছে। তবে কাজ প্রায় শেষের দিকে। বাকি টুকুতে রোড বিছানো ছিল। অনেক ফাক রেখে রোড বিছানো আছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, পুরাতন রাস্তা উল্টিয়ে পুরাতন খোয়া ইট ব্যবহার করা হয়েছে ভরাটের সময় এবং প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম রোড দেওয়া হয়েছে। পর্যাপ্ত পাথর সিমেন্ট ব্যবহার হচ্ছে না। ঢালায়ের সময় নাম মাত্র এলজিইডি অফিসের লোক থাকছেন। সন্ধ্যার আগে ও পরে রোড বিছানো হচ্ছে এবং শীতের সকাল সকালে ঢালায় দেওয়া হচ্ছে। কিছু বললেই ঠিকাদার জনি ও তার মিস্ত্রিরা সাব বলছে রাস্তার কাজ হচ্ছে এটাই অনেক। যে বরাদ্দ হয়েছে তাতে নাকে কাজ করলে লাখ লাখ টাকা লোকসান হবে। সব কিছুর দ্বিগুন দাম। যা কাজ হচ্ছে সেটাই নাকি অনেক। ঠিকাদার কাজ করবে না, কিন্তু দপ্তরের অনুরোধে কাজ করছেন।  রাস্তা উল্টিয়ে আরসিসি ঢালায়ে এঅবস্থা হলে বাকি রাস্তা তো কি ভাবে হবে বোঝাই যাচ্ছে। সব জায়গায় ঘা ওষুধ দিবে কয় জায়গায়। আবার চৌবাড়িয়া বাজার বনিক সমিতির নির্বাচন, ভোট নিয়ে সবাই ব্যস্ত। এর ফাকেই চলছে কাজ।
চৌবাড়িয়া হাটটি নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলার ভারশোঁ ইউপির সীমানায় হলেও, তানোর নিয়ামতপুরের সীমান্তবর্তী। সপ্তাহে শুক্রবার বসে বিশাল গরুর হাট। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে হাজার হাজার গরু আসে হাটটিতে। তিন উপজেলার সীমান্তবর্তী হওয়ায় লোক সমাগম সর্বত্রই এবং এক অন্যতম ঐতিহ্যবাহী চৌবাড়িয়া হাটটি।
ঠিকাদার জনির ব্যক্তিগত ০১৭৮৯৭৮৭৮৯৬ মোবাইল নম্বরে একাধিক বার ফোন দেওয়া হলেও রিসিভ করেন নি।
কাজের দায়িত্বে থাকা মান্দা উপজেলা এলজিইডি অফিসের এসও রায়হান অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, ১০ মিলি রোড ব্যবহার করা হচ্ছে, নিয়ম মতই কাজ হচ্ছে। অফিসের কেউ নেই অনেক জায়গায় রোড দেওয়া হচ্ছে না জানতে চাইলে তিনি জানান, এমন হওয়ার কথা না, হলে ঢালায়ের সময় তুলে নিয়মমতই দেওয়া হবে বলে দায় সারেন তিনি।
৩৬ বার ভিউ হয়েছে
0Shares

COMMENTS