বৃহস্পতিবার- ২৭শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৩ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
রাজশাহীতে যুবককে হত্যা লাঁশ মিলল সেপটিক ট্যাংকে

রাজশাহীতে যুবককে হত্যা লাঁশ মিলল সেপটিক ট্যাংকে

কাজী এনায়েত উল্লাহ, রাজশাহী:

রাজশাহীতে নিখোঁজের ১০ দিন পর সেপটিক ট্যাংক থেকে এক যুবকের লাঁশ উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোরে নগরীর শাহমখদুম থানার সন্তোষপুরের একটি বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে ওই যুবকের লাঁশ উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় পুলিশ আরিফুল হক চৌধুরী রিপন (৪০) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে।

নিহত যুবকের নাম মাহফুজুর হোসেন সুজন (৩৮)। সে মহানগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানার হড়গ্রাম মুন্সিপাড়া এলাকার মোহাম্মদ মর্তুজা হোসেন ছেলে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তির আরিফুল হক চৌধুরী ওরফে রিপন নাটোরের লালপুর উপজেলার আবদুলপুর গ্রামের মৃত হামিদুল হকের ছেলে। তিনি নগরীর শাহমখদুম থানার সন্তোষপুর মহল্লার একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন। রিপন সজলের বন্ধু। কৌশলে অপহরণ করার পর মুক্তিপণ না পেয়ে সজলকে হত্যা করা হয়েছে বলে রিপন পুলিশকে জানিয়েছে।

রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বিজয় বসাক জানান, নিহত সুজন ও গ্রেপ্তার রিপন দুই বন্ধু। তাদের মধ্যে ব্যবসায়ীক সম্পর্ক ছিল। সুজনের বাবা মর্তুজা হোসেন বুধবার নগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এতে তিনি উল্লেখ করেন, গত ১ অক্টোবর সুজনকে অপহরণ করা হয়েছে। সজলকে ফিরিয়ে দিতে অপহরণকারী প্রথমে এক কোটি এবং পরে ১২ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছেন।

বিজয় বসাক বলেন, জিডির ভিত্তিতে নগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানা ও গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশ তদন্ত শুরু করে। তদন্তে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় জানা যায়, মুক্তিপন দাবি করা ব্যক্তির অবস্থান রিপনের ভাড়া বাসায়। এরপর পুলিশ রিপনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

পরে রিপন জানান, অপহরণের পরদিন ২ অক্টোবর রিপনকে হত্যা করে লাঁশ সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেওয়া হয়েছে। পরে বুধবার রাতে কাশিয়াডাঙ্গা ও শাহমখদুম থানা এবং ডিবি পুলিশ রিপনকে নিয়ে তার ভাড়া বাসায় অভিযানে যায়। এ সময় রিপনের দেখানো সেপটি ট্যাংক থেকে সুজন লাঁশ উদ্ধার করা হয়। পরে সুজনের লাঁশের ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়।

বিজয় বসাক আরও জানান, এ ঘটনায় রিপনের বিরুদ্ধে অপহরণ ও হত্যার অভিযোগে মামলা করেছেন নিহতের বাবা। আসামি রিপনকে বৃহস্পতিবারই আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগেও রিপনের বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগ রয়েছে।

তিনি বলেন, সুজন মুরগি ও মৎস খামারের ব্যবসা করে। তার পিতা অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা। সম্প্রতি তিনি সোনালি ব্যাংকের কর্মকর্তার পদ থেকে অবসর নিয়ে পেনশনের টাকা পেয়েছেন। সেই টাকা হাতিয়ে নিতে সুজন অপহরণ করে তার পরিবারের কাছে এক কোটি টাকা মুক্তিপন দাবি করা হয় বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

৪৯ বার ভিউ হয়েছে
0Shares