শনিবার- ২৯শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৫ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
তানোরে সেচ কমিটির অনুমোদন ছাড়াই পল্লী বিদ্যুতের কারসাজিতে মিনি ডিপ স্থাপন

তানোরে সেচ কমিটির অনুমোদন ছাড়াই পল্লী বিদ্যুতের কারসাজিতে মিনি ডিপ স্থাপন

তানোর প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোরে সেচ কমিটির অনুমোদন ছাড়াই পল্লী বিদ্যুতের কতিপয় কর্তা বাবু ও বহিরাগত নামধারী ইলেক্ট্রেশিয়ানদের  যোগসাজশে  ডিপ বা গভীর নলকুপ, মটর স্থাপন করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়ন (ইউপির) বাতাসপুর শ্বশান ঘাটে ঘটে রয়েছে ঘটনাটি। এঘটনায় গভীর নলকুপের স্কীমভুক্ত সেচ হুমকিতে পড়বে। সেই সাথে ভূ গর্ভের পানির লেয়ার দিনের দিন নিচে নেমে যাচ্ছে। ফলে দ্রুত মিনি ডিপ স্থাপন বন্ধ করতে সেচ কমিটির জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। নচেৎ একজনের দেখাদেখি অনেকেই মিনি ডিপ স্থাপনের পরিকল্পনা করছেন।
জানা গেছে, উপজেলার কামারগাঁ ইউপির বাতাসপুর শ্বশান ঘাট সংলগ্ন কৃষি জমিতে পারিশোগ্রামের ময়েজ মাস্টারের পুত্র মোমেন মিনি ডিপ স্থাপনের জন্য বরিং করেছেন। আবার ওই মিনি ডিপে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ নিতে পুল ফেলা হয়েছে।
বুধবার সরেজমিনে দেখা যায়, বাতাসপুর শ্বশান ঘাটের দক্ষিনে বরিং করে বিশাল মোটা পাইপ খাড়া অবস্থায় আছে। শ্বশান ঘাটের রাস্তার ধারে বিদ্যুতের পোল ফেলা আছে। হয় তো অল্প দিনেই সংযোগ হবে।
বেশকিছু কৃষকরা জানান, এখানে মিনি ডিপ বসানো হলে গভীর নলকুপের ক্ষতি হবে। বোরো চাষের শেষের দিকে বিলে পানি থাকে না। বিলটি খনন করা হলে সেচও হবে এবং ভূগর্ভের পানি হুমকিতে পড়বে না। বিগত ২০১৪ সাল থেকে উপজেলার ভূগর্ভের পানি প্রচুর নিচে নামার কারনে মটর ডিপ স্থাপন নিষিদ্ধ করে কৃষি মন্ত্রনালয়। সেই নিষিদ্ধের আলোকে উপজেলা সেচ কমিটি নতুন ভাবে সেচ মটর ডিপ স্থাপন বন্ধ করে দেন। কিন্তু পল্লী বিদ্যুতের কিছু অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারী ও ইলেক্ট্রেশিয়ানদের যোগসাজশে শতশত সেচ মটর স্থাপন করা হয়েছে। এসব নিয়ে একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশ পেলেও কোন গুরুত্ব নেই সংশ্লিষ্ট দপ্তরের।
বরিং বসানো পারিশো গ্রামের মোমেন জানান, সেচের প্রয়োজন এজন্য বরিং করা হয়েছে, দু একদিনের মধ্যে বিদ্যুৎ সংযোগ পাওয়া যাবে। সেচ কমিটির অনুমোদন আছে কি জানতে চাইলে তিনি জানান, টাকা থাকলে সব অনুমোদন হয়ে যায় বলেও দম্ভক্তি প্রকাশ করেন।
তানোর পল্লী বিদ্যুতের এজিএম কামাল হোসেন জানান, বিদ্যুৎ নীতিমালা অনুযায়ী কাজ করা হয়, সেচ কমিটির অনুমোদন ছাড়া কোন সেচ মটরে বিদ্যুৎ সংযোগ হবে না।
বিএমডিএর সহকারী প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান জানান, সেচ কমিটি দীর্ঘদিন ধরে সবকিছু বন্ধ করে দিয়েছে। তারপরও এসব হলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার পংকজ চন্দ্র দেবনাথ জানান, একটি মটরের অনুমোদন দেওয়া আছে, তবে সেটা কোনটি অফিস সময় দেখে বলা যাবে। তবে সেচ কমিটির অনুমতি ছাড়া কেউ সেচ মটর বা ডিপ স্থাপন করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২৮ বার ভিউ হয়েছে
0Shares

COMMENTS