![রাতেই জোরপূর্বক তালাক বিয়ে মেম্বারের কান্ডে তোলপাড় রাতেই জোরপূর্বক তালাক বিয়ে মেম্বারের কান্ডে তোলপাড়](https://spnewsbd.com/wp-content/uploads/2022/11/Tanor.jpg)
রাতেই জোরপূর্বক তালাক বিয়ে মেম্বারের কান্ডে তোলপাড়
![](https://spnewsbd.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
তানোর প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোরে সালিশ বিচারের নামে জোরপূর্বক রাতেই তালাক দিয়ে সেই রাতেই বিয়ে দেন মেম্বার শফিকুল ইসলাম রাজা ও ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা শিমুল বলে অভিযোগ উঠেছে। গত সোমবার দিবাগত রাতে উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়ন(ইউপির) শ্রীখন্ডা গ্রামে ঘটে সালিশের নামে প্রহসন ও অমানুবিক ঘটনাটি। এঘটনায় প্রবাসী পরিবার ও সবজি ব্যবসায়ীর পরিবারকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। এখবর ছড়িয়ে পড়লে বিচারকদের শাস্তির দাবিতে ফুসে উঠেছেন গ্রামবাসী। কারন শুধু এই বিচার না মেম্বার ও নেতার একের পর এক সালিশ বানিজ্যে চরম অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন স্থানীয়রা।
জানা গেছে, গত মাসের শেষের দিকে উপজেলার কামারগাঁ ইউপি এলাকার কৃষ্ঠপুর গ্রামের এরাজ মন্ডলের পুত্র সবজি ব্যবসায়ী আলমগীর একই গ্রামের জৈনক প্রবাসীর স্ত্রী এক সন্তানের মায়ের সাথে পরকিয়া প্রেম ও একাধিকবার দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এঅবস্থায় সবজি ব্যবসায়ী দুই সন্তানের পিতা আলমগীর গত বৃহস্পতিবা প্রবাসীর স্ত্রীর ঘরে প্রবেশ করলে প্রতিবেশিরা আপত্তিকর অবস্থায় আটক করেন। কিন্তু ওয়ার্ড মেম্বার রাজাসহ কামারগাঁ ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সফরে যাওয়ার কারনে ভিকটিমকে সালিশ বিচারের কথা বলে থামিয়ে দেন।
এদিকে গত সোমবার সন্ধ্যার দিকে শ্রীখন্ডা গ্রামের ও কামারগাঁ ইউপি সদস্য রাজার বাড়িতে বসে সালিশ বিচার। বিচারক হিসেবে ছিলেন মেম্বার ও ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা শিমুল। কিন্তু প্রবাসী স্ত্রীকে তালাক দিবে না, স্ত্রী তালাক নিবেন না। তারপরও বিচারকরা অনৈতিক সুবিধা নিয়ে তালাক দিতে বাধ্য করেন বিচারকরা। তালাকের পরেও ২ লাখ ৩০ হাজার টাকায় দেনমোহর ধার্য করে ভূয়া কাগজে রেজিস্টি করে দেন কাজি জামায়াত নেতা মিজানুর রহমান।
গ্রামবাসী জানান, প্রবাসীর স্ত্রীর পুত্র সন্তান রাজশাহীতে হেফজ খানায় পড়েন। এজন্য প্রবাস থেকেও স্বামী তালাক দিবেন না। কিন্তু বিচারকরা টাকার বিনিময়ে প্রহসনের বিচার করেছে। তারা এলাকায় যে কোন ঘটনা ঘটলেই বিচার করেন, আর এলাকয় অসান্তি সৃষ্টি করেন। বিচারে বসে মেম্বারের বাড়িতে আর বিয়ে হয় পাশে নাজমুলের বাড়িতে। আমরা কাজিকে একাধিকবার ফোন দিয়ে নিষেধ করার পরও তিনি ভূয়া কাগজে রেজিস্ট্রি করেছে এবং কালেমা পড়ান নামধারী নেতা শিমুল। কারন ধর্মীয় মতে তালাকের তিন মাস পর বিয়ে দিতে হবে। কিন্তু বিচারকদের কাছে এসব আইন লাগে না।
মেম্বার শফিকুল ইসলাম রাজা জানান, তালাক হওয়া পর্যন্ত ছিলাম তারপরে ছিলাম না। ওই রাতেই চাপ প্রয়োগে বিয়ে দিয়েছেন জানতে চাইলে অস্বীকার করেন তিনি।
ওয়ার্ড নেতা শিমুলও একই ধরনের কথা বলেন। আপনি কালেমা পড়িয়েছেন জানতে চাইলে তিনি জানান আমি জানিনা।
পাচন্দর ইউপির কাজি ও কামারগাঁ ইউপির অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা জামায়াত নেতা আলহাজ্ব মিজানুর রহমান জানান, গৃহবধু এক তরফা তালাক দিবে এজন্য আমাকে ডাকা হয়েছিল। তবে আমি ব্যস্ত থাকায় আমার ছেলে গিয়ে তালাকনামা করেন। আপনার ছেলে ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা দেনে ভূয়া কাগজে রেজিস্ট্রি করেছে প্রশ্ন করা হলে অস্বীকার করেন। তালাকের কাগজ দেখতে চাইলেও অপারগতা প্রকাশ করেন তিনি। চলতি বছরে এই কাজির নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে দুদুক, নিবন্ধন শাখা ও জেলা রেজিস্টার বরাবর লিখিত অভিযোগ দেয় কামারগাঁ ইউপির আশরাফুল।
ইউপি চেয়ারম্যান ফজলে রাব্বি ফরহাদকে বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত করা হলে তিনি জানান আমি কিছুই জানিনা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পংকজ চন্দ্র দেবনাথ জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই, তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
৩১০ বার ভিউ হয়েছে