শনিবার- ২৯শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৫ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
<span class="entry-title-primary">ঝিনাইদহ পৌরসভায় টানা ৩৪ বছরের রেকর্ড, কি মধু আছে কাউন্সিলর সাইফুল ইসলাম মধুর মধ্যে?</span> <span class="entry-subtitle"> বারবার জয়ী হওয়ার রহস্য কি?</span>

ঝিনাইদহ পৌরসভায় টানা ৩৪ বছরের রেকর্ড, কি মধু আছে কাউন্সিলর সাইফুল ইসলাম মধুর মধ্যে? বারবার জয়ী হওয়ার রহস্য কি?

জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ- ঝিনাইদহ পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের সাধারণ কাউন্সিলর পদে সাইফুল ইসলাম মধু টানা সপ্তমবারের মতো নির্বাচিত হয়ে রেকর্ড সৃষ্টি করেছেন। এর আগে ২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মতলেব মিয়ার এই রেকর্ড ছিল। মধু ঝিনাইদহ জেলা ফুটবল টিমের রক্ষন ভাগের অপরিহার্য্য খেলোয়ার ছিলেন। খেলা এবং জনপ্রতিনিধিত্ব এক সঙ্গে চালিয়ে গেছেন ৫৮ বছর বয়সি মধু। ১৯৮৮ সালে মাত্র ২০ বছর বয়সে তিনি পৌরসভার কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়ে তাক লাগিয়ে দেন। এরপর তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। গত রোববার সদ্য সমাপ্ত ঝিনাইদহ পৌরসভা নির্বাচনে তিনি ২২৮০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দি উপ-শহরপাড়ার সাইফুল ইসলাম পানির বোতল প্রতিক নিয়ে পেয়েছেন ৮২৯ ভোট। মধুর ১৪৫১ ভোট বেশি পেয়ে কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। তথ্য নিয়ে জানা গেছে, ঝিনাইদহ শহরের ব্যাপারীপাড়া থেকেই কাউন্সিলর প্রার্থী ছিলেন ৩ জন। এরা হলেন, শান্ত জোয়ারদার, প্লাবন ও কল্লোল। প্রার্থীরা সবাই মধুর প্রতিবেশি হওয়ায় ভোট ভাগাভাগীর হিসাব চলে আসে। কিন্তু মধুর ব্যক্তিত্ব, সততা ও স্পষ্টবাদীতার কারণে সব প্রার্থীই ধরাশায়ী হয়ে পড়ে। জানা গেছে, ১৯৬৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর শহরের ব্যবপারীপায় এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন একাধিকবার কাউন্সিলর নির্বাচিত সাইফুল ইসলাম মধু। তার পতিার নাম হাজী মতিয়ার রহমান। ৬ ভাই ও এক বোনের মধ্যে মধু পঞ্চম। ভোটের মাঠে দুই সন্তানের জনক মধুর পারিবারিক প্রভাব মুখ্য হয়ে দেখা দেয়। তাছাড়া অরাজনৈতিক পরিবারের সদস্য মধু ঝিনাইদহ জেলায় এক পরিচিতি মুখ। তাছাড়া তিনি বাংলাদেশ পৌর কাউন্সিলর এসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। বারবার কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ার নেপথ্যোর কারণ সম্পর্কে সাইফুল ইসলাম মধু বলেন, আমি ঠিকাদারী করিনা। আমার কোন ব্যবসা নেই। যতটুকু পারি কাউন্সিলর হিসেবে মানুষের উপকার করি। এই জন্য মানুষ আমার মনে রাখেন এবং বারবার ভোট দেয়। আমি ভোটারদের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। পাগলাকানাই সড়কের কাঠালবাগানের ভোটার রুজদার আলী জানান, ভোটারদের সঙ্গে প্রতারণার কোন নজীর নেই মধুর। যে কোন কাজে গেলে তিনি গুরুত্বের সঙ্গে করে দেন। মানুষের দোয়া ও ভালোবাসা আছে তার প্রতি। এ কারণে তাকে পরাজিত করা অন্যান্য প্রতিদ্বন্দি প্রার্থীর পক্ষে কঠিন হয়ে পড়ে।

২৯ বার ভিউ হয়েছে
0Shares

COMMENTS