সোমবার- ১লা জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৭ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সেনবাগের কুতুবের হাট দাখিল মাদরাসার সরকারি বিক্রি শিক্ষা অফিস থেকে সুপারকে তলব

সেনবাগের কুতুবের হাট দাখিল মাদরাসার সরকারি বিক্রি শিক্ষা অফিস থেকে সুপারকে তলব

মোঃ জাহাঙ্গীর আলম শায়েস্তানগরী,নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার কুতুবের হাট দাখিল মাদসার সরকারি বিনা মূল্যের বই বিক্রির অভিযোগে মাদরাসার সুপারকে তলব করা হয়েছে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে । সোমবার বিকেলে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নাজিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

জানাগেছে,সেনবাগ উপজেলা নবীপুর ইউপির কুতুবেরহাট দাখিল মাদরাসার সুপারের মোঃ মোস্তফা রোববার দুপুরে মাদরাসা থেকে একটি পিকআপ ও একটি সিএনজি চালিত অটো যোগে সরকারের বিনামূলের বিপুল সংখ্যক বই বিক্রির উদ্যেশ্যে অজ্ঞাতস্থানে নিয়ে যাবার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এরপর স্থানীয় সাংবাদিকরা বিষয়টি সুপারের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি সরকারি বিনামূল্যের বইগুলো বিক্রির কথা স্বীকার করে বলেন। ওই বইগুলো পুরাতন। সভাপতির নির্দেশ ক্রমে ২২হাজার ৫শত টাকায় বিক্রি করে ওই টাকা মাদরাসার হিসাবে জমা করা হযেছে। এতগুলো নতুন বই মাদরাসায় কোথায় এসেছে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, বইগেুলো নতুন নয় পুরাতন। করোনা কালিন সময়ে মাদরাসার প্রায় সাড়ে ৯শ শিক্ষার্থীর নিকট থেকে বইগুলো সংগ্র করে মাদরাসার একটি কক্ষে রাখা হয়। সম্প্রতি ওই কক্ষটি সংস্কার করার জন্য রুমটি পরিস্কার জন্য বই গুলি বিক্রি করা হয়েছে।সরকারি বিনামূল্যে বই বিক্রি করা যায় কিনা জিজ্ঞাসা করলে তিনি এরকোন স্বউত্তর দিতে পারেননী।

এব্যাপারে মাদরাসার সভাপতি আবদুল ওহাবের সঙ্গে তার মুঠোফোনে কথা বললে তিনি জানান, সুপার তাকে বলেছেন মাদরাসার শিক্ষার্থীদের এসাইমেন্টের কিছু খাতা ও কাগজপত্র জমা হয়েছে সেগুলো বিক্রি করতে হবে। তিনি বিক্রি করার নির্দেশ দিয়েছেন। সেখানে সরকারি বিনামূল্যে বই ছিলো কিনা তা তিনি অবহিত ছিলেননা।

এব্যাপারে সেনবাগ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ নাজিম উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে সরকারি বই বোঝাই একটি পিকআপ ও একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশার ছবি দেখেন। তাই তিনি সররকারি বইগুলো কোথায় পেয়েছেন এবং কার নির্দেশে বইগুলো বিক্রি করেছেন তা জানানোর জন্য সুপারকে মঙ্গলবার তার অফিসে তলব করেছেন। সরকারি বই মাদরাসা কর্তৃপক্ষ বিক্রি করতে পারেন কি? না জানতে চাইেেল তিনি বলেন কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষাথীদের নিকট থেকে পুরাতন বই সংগ্রহ অথবা নতুন বই তাদের হেফজতে রাখার কোন বিধান নেই। সরকারি কোন বই অবিলি অবস্থায় থেকে গেলে সেগুলো উপজেলা শিক্ষা অফিসে জমা দিতে হবে। পরবর্তীতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে কমিটি বইগুলো নিলামে বিক্রি করে ও অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা করবে এধরণের নিয়ম রয়েছে বলে জানান।

১৪৭ বার ভিউ হয়েছে
0Shares