বুধবার- ২৬শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১২ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সেনবাগে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল থেকে আওয়ামীলীগের কার্যালয়ে হামলা ভাংচুর,পুলিশ সহ আহত ৩০

সেনবাগে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল থেকে আওয়ামীলীগের কার্যালয়ে হামলা ভাংচুর,পুলিশ সহ আহত ৩০

মোঃ জাহাঙ্গীর আলম শায়েস্তানগরী ,নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালীর সেনবাগে তেল গ্যাস বিদ্যুৎ ও গুন খুনের প্রতিবাদে বিএনপির কাজী মফিজ গ্রæপের বের করা একটি বিক্ষোভ মিছিল ও আওয়ামীলীগের ২১ আগষ্টে গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে বের করা সন্ত্রাস বিরোধী মিছিল কে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় বিএনপির কর্মীদের হামলা আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয়, জাতির জনক এবং প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাংচুর,আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের বাড়িঘরে হামলা ও ভাংচুরের অভিযোগ ওঠেছে বিএনপির কাজী মফিজ গ্রæপের বিরুদ্ধে। এসময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনার জন্য ২০ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা চালানোর সময় বিএনপি কর্মীদেরে হামলায় সেনবাগ থানার ৫ পুলিশ সদস্য ও সেনবাগ উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম আহবায়ক, ডমুরুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শওকত হোসেন কানন, আবদুল হান্নান,সাবেক মেম্বার মমতাজের ৭বছরের শিশু সহ ৮/১০ নেতাকর্মী আহত হয়েছে। আহদের মধ্যে এক শিশু সহ তিনজনকে সেনবাগ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেএ ভতি করা হয়েছে। এসময় বিএনপির কাজী মফিজ গ্রæপেরও অন্তত ১৫/১৬ নেতাকর্মী আহত হয় বলে দাবী বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী মফিজুর রহমানের।আহত বাকীদের তাৎক্ষনিক আহতের নাম পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানাগেছে, সোমবার দেশব্যাপী তেল গ্যাস বিদ্যুৎ ও গুন খুনের প্রতিবাদে বিকেলে সেনবাগের ডমুরুয়া ইউপির চৌ-মোড় সংলগ্ন কাজী মফিজের ব্রিকফিল্ডে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে। একই সময় ডমুরুয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ চৌমোড়ে ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে সন্ত্রাস বিরোধী প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দেয়। বিকাল ৪টারদিকে আওয়ামীলীগের বিক্ষোভ মিছিল শেষে সেনবাগ উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম আহবায়ক ও ডমুরুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শওকত হোসেন কাননের নেতৃত্বে দলীয় কর্মীরা গাজীরহাট বাজারের দিকে চলে যাবার সময় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী মফিজুর রহমানের নেতৃত্বে ২থেকে আড়াই হাজার নেতাকর্মী লাঠি,লোহার রড় ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আওযামীলীগ নেতাকর্মীদের ওপর অতর্কিতে হামলা চালিয়ে ৮/১০জন নেতাকমীকে আহত করে। এসময় তিনি একটি দোকানে আশ্রয় নিলে কাজী মফিজের নেতৃত্বে বিএনপি কর্মীরা ওই দোকানে হামলা চালিয়ে স্যাটার ভেঙ্গে ভিতরে ডুকে তাকে হত্যার চেষ্টা চালায়। এসময় কর্তব্যরত পুলিশ শার্টগানের গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।

এব্যাপারে যোগাযোগ করলে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী মফিজুর রহমান আওয়ামীলীগের মিছিলে হামলার কথা অস্বীকার করে বলেন,আওয়ামীলীগের মিছিল থেকে তাদের মিছিলে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে তাদের ১৫/১৬জন নেতাকর্মী আহত হয়।

এব্যাপারে সেনবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) ইকবাল ঞোসেন পাটোযারীর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি হামলা,ভাংচুরের কথা স্বীকার করে বলেন,পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে ২০ রাউন্ড শর্টগানের গুলি ছোড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। এসময় হামলায় থানার ৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়। পুলিশের কর্তব্যখাজে বাঁধা ও পুলিশের ওপর হামলার এঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন বলে জানান তিনি।

৮৫ বার ভিউ হয়েছে
0Shares