শনিবার- ২৯শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৫ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নৌকা মার্কার এমপির নিকট ২০লাখ টাকা চাঁদা দাবী : সেনবাগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় : মা ও ছেলে গ্রেফতার

নৌকা মার্কার এমপির নিকট ২০লাখ টাকা চাঁদা দাবী : সেনবাগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় : মা ও ছেলে গ্রেফতার

মোঃ জাহাঙ্গীর আলম শায়েস্তানগরী,নোয়াখালী প্রতিনিধি : সদ্য সমাপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালী-২ (সেনবাগ-সোনাইমুড়ী আংশিক) আসন থেকে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচতি সংসদ সদস্য ও বেঙ্গল গ্রæপের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোরশেদ আলমের নিকট নির্বাচনের সময় ২০ লাখ টাকা চাঁদা না পেয়ে মিথ্যা, অপপ্রচার, মানহানিকর তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মধ্যেম ফেইসবুক সহ সোস্যাল মিডিয়াতে ছাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের দায়ের করা মামলায় নোয়াখালীর সেনবাগ থানা পুলিশ মা ও ছেলেকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে ঃ সেনবাগের নির্বাচনী এলাকা পাশ^বর্তী সোনাইমুড়ী উপজেলার বদরপুর গ্রামের মজিবুর রহমানের স্ত্রী নুশরাত জাহান ও তার ছেলে মোঃ রাজিবুর রহমান। গ্রেফতারকৃদের ২ ফেব্রæয়ারী দুপুরে নোয়াখালী চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রিট আদালতে প্রেরন করা হয়। এরআগে বৃহষ্পতিবার (০১ ফেব্রুয়ারী) রাতে ঢাকার নিজ বাসা থেকে তাদেরকে সেনবাগ থানা পুলিশ গ্রেফতার সেনবাগে নিয়ে আসে এবং শুক্রবার দুপুরে বিচারিক আদালতে প্রেরণ করা হয়।

পুলিশ ও মামলায় বাদীর অভিযোগ সুত্রে জানাগেছে, গত ৭ জানুয়ারী অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালী-২ (সেনবাগ-সোনাইমুড়ী আংশিক) আসন থেকে নৌকা প্রতিক নিয়ে নির্বাচন করেন বেঙ্গল গ্রæপের চেয়ারম্যান মোরশেদ আলম। নির্বাচন চলাকালিন সময়ে গত ৩ জানুয়ারী বুধবার সকাল ১০ টায়দিকে সেনবাগ উপজেলার কাবিলপুর ইউনিয়নের দিলদার মার্কেট এলাকায় এসে বিবাদী নুশরাত জাহান ও তার ছেলে মোঃ রাজিবুর রহমান মোরশেদ আলমের মালিকানাধীন নোয়াখালীর চৌমুহানী মোরশেদ আলম কমপ্লেক্সের প্রশাসন ইনচার্জ আনোয়ার হোসেনের নিকট প্রার্থী মোরশেদ আলমকে জয়ী ও সুষ্ঠ ভোট পেতে চায় তা হলে তাদেরকে ২০ লাখ টাকা চাদা দাবী করে। এবং ওই টাকা যদি ৫ জানুয়ারীর মধ্যে দিতে ব্যর্থ হয় তাহলে মোরশদ আলমের বিরুদ্ধে মিথ্যা,অপপ্রচার, মানহানিকর তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মধ্যেম ফেইসবুক সহ সোস্যাল মিডিয়াতে ছাড়িয়ে দিবে বলে হুমকি প্রদান করে ।

এরপর বিষয়টি বাদী প্রার্থী মোরশেদ আলম কে জানান, বিষয়টি শুনে তিনি তাদের কে টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানান। এরপর আসামীদের চাহিদা মত টাকা না দেয়ায় ৫ জানুয়ারীর রাত ১০ টায় ১নং আসামী তার পরিচয়ে নিজস্ব কন্ঠে একটি অডিও রেকর্ড করে প্রার্থী মোরশেদ আলম ও তার পরিবারের বিরুদ্বে সামাজিক যোগাযোগ ফেইসবুক সহ সোস্যাল মিডিয়াতে মানহানিকর অপপ্রচার চালায়। ২নং আসামী তার ব্যবতহৃত জধুঁ জধযসধহ ব্যাক্তিগত আইডি থেকে বিভিন্ন সময়ে মানহানির আপত্তিকর উসকানীমুল কমেন্টস করে। এঘটনায় জনগনের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। যার কারনে আইনশৃঙ্খলার অবনতির উপক্রম হয়।

আসামীদ্বয় সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমকে হেয় করার লক্ষে আপত্তিকর উসকানীমুল মানহানির আক্রামনান্তক মিথ্যা তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক সহ সোস্যাল মিডিয়াতে প্রকাশ করে। এ জন্য নোয়াখালীর চৌমুহানী মোরশেদ আলম কমপ্লেক্সের প্রশাসন ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে সেনবাগ থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে এ মামলাটি দায়ের করেন মামলা নং-২।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সেনবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ নাজিম উদ্দিন বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় মা নুশরাত জাহান ও ছেলে মোঃ রাজিবুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে তাদের কে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

৪৫ বার ভিউ হয়েছে
0Shares