সোমবার- ১লা জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৭ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
পঞ্চগড়ে ধর্ষণকারী পলাতক আসামীর যাবজ্জীবন কারাদন্ড

পঞ্চগড়ে ধর্ষণকারী পলাতক আসামীর যাবজ্জীবন কারাদন্ড

পঞ্চগড় : পঞ্চগড়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক কিশোরীকে (১৩) ধর্ষণের অভিযোগে সাইদুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ১ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৩ মাসের সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে আদালতের বিচারক।
ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত ধর্ষক আসামী পলাতক রয়েছে। একই মামলায় অপর দুই আসামী জাহেদুল ইসলাম ও পারভিনা বেগম দম্পত্তির অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলা থেকে তাদের বেকসুর খালাস দিয়েছে আদালত। মামলা থেকে খালাস দম্পত্তি মাঝিপাড়া ডাকবদলী এলাকার বাসিন্দা।
মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) বিকেলে পঞ্চগড় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রাজজ) তারিকুল কবির এই আদেশ দেন।
এজাহার সুত্রে জানা যায় যাবজ্জীবন সাজা প্রাপ্ত আসামী সাইদুল ইসলাম চাপাই নবাবগঞ্জ জেলার চড়বাগ ডাঙ্গা ইউনিয়নের গোটা গ্রামের মৃত আলাউদ্দীনের ছেলে।
সে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার এ/পি এ্যাকোয়া কোম্পানী মাঝিপাড়া শালবাহান এলাকায় রাজমিস্ত্রী হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
এদিকে ভিকটিম কিশোরী তেঁতুলিয়ার শালবাহান ইউনিয়নের মাঝিপাড়া ডাকবদলী গ্রামের বাসিন্দা। আদালত ও এজাহার সূত্রে জানা যায়, যাবজ্জীবন সাজা প্রাপ্ত ধর্ষন মামলার প্রধান আসামী সাইদুল তেঁতুলিয়ায় কর্মরত অবস্থায় ওই কিশোরীকে বিভিন্ন ভাবে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে আসতেন। গত ২০১৩ সালের ১৫ জানুয়ারি রাতে অপর দুই আসামীর সহায়তায় কিশোরীকে কুপরামর্শে তাদের বাড়িতে নিয়ে যায়।
এসময় প্রধান আসামী সাইদুল কিশোরীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষন করে। ঘটনার পর কিশোরীকে বিবাহের কথা বলে তালবাহানা সাথে কালক্ষেপন শুরু করে। এর পর ভিকটিম ৭ মাসের অন্তসত্বা হয়ে পড়লে মেয়েটি পরিবারের সদস্যদের ঘটনা খুলে বলে।
পরিবারের লোকেরা সাইদুলের সাথে কথা বলতে গেলে সে বিভিন্ন প্রকার হুমকি দেয়া শুরু করে। এর পর স্থানীয় ভাবে সমাধানের চেষ্ঠা করেও কোন সমাধান পাননি কিশোরীর পরিবার। উপায়ন্ত না পেয়ে ২০১৩ সালে ২৪ আগস্ট ওই কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে তেঁতুলিয়া মডেল থানায় সাইদুলকে প্রধান আসামী করে ৩ জনের নামে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) ধারায় মামলা দায়ের করে। এর পর প্রায় দীর্ঘ ৯ বছরের মাথায় অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত সাইদুলকে যাবজীবন কারাদন্ড দেয়। এসময় অপর দুই আসামীকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) আজিজার রহমান আজু সংবাদ প্রতিক্ষনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

৭৯ বার ভিউ হয়েছে
0Shares