লালমনিরহাটে আনারস চাষে আগ্রহী বাড়ছে চাষিদের
আনারস চাষি মোঃ আব্দুল হামিদ মিঞা বলেন, আমার লিচু বাগানের জমিতে আনারসের চাষ করেছি। এখন পর্যন্ত বিক্রয় উপযোগী হয়নি আনারস।
মোঃ হযরত আলী নামে এক কৃষক বলেন, কার্তিক-অগ্রহায়ণ মাসে আনারসের চারা রোপণ করতে হয়। এক বছরের মাথায় আনারসের ফলন আসতে থাকে এবং দেড় বছরের মাথায় বাগানের সব আনারস বিক্রি করে শেষ করা হয়। একই জমিতে আনারসের পাশাপাশি অন্য ফসলও আবাদ করে বাড়তি আয় হয়।
অন্যান্য কৃষকেরা বলেন, আনারস বাগানে নিয়মিত ইউরিয়া, পটাশ, টিএসপি, জিপসাম ও জৈব সার প্রয়োগ করলে আর বেশি পরিচর্যার প্রয়োজন হয় না। মাঝে মধ্যে পচন রোগের আক্রমণ হলে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শে সমাধান পাওয়া যায়।
ফুলগাছ ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম খন্দকার বলেন, প্রতিটি বাড়ির উঠানের জমিতে কম আর বেশি আনারসের চাষ হয়। চাষিরা নিজের চাহিদা মিটিয়ে বাজারেরও বিক্রি করতে পারেন।তিনি আরও বলেন, এক বছরেই চাষীরা লাভের মুখ দেখতে পারে। আনারসের তেমন কোন রোগ বালাই হয় না।