রবিবার, ৮ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

ঈদ-উল-আযহা ঘিরে সীমান্তে বিজিবির কঠোর অবস্থান

ঈদ-উল-আযহা ঘিরে সীমান্তে বিজিবির কঠোর অবস্থান

ইয়ানূর রহমান : পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে সীমান্ত এলাকা হয়ে গরু চোরাচালান ও কোরবানির পশুর চামড়া পাচার রোধে সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
শুক্রবার (০৬জুন ২০২৫) সকাল ১০টার সময় বেনাপোল বিওপি ক্যাম্পে এক জরুরি ব্রিফিংয়ে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মোঃ সাইফুল্লাহ্ সিদ্দিকী।

তিনি জানান, “বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি চোরাচালান বিরোধী অভিযানে সর্বদা সক্রিয় ভূমিকা রাখছে। বিজিবি মহাপরিচালকের “জিরো টলারেন্স” নীতি অনুসারে ৪৯ বিজিবির প্রতিটি সদস্য সীমান্ত সুরক্ষায় সর্বোচ্চ সচেষ্ট রয়েছে।সীমান্ত দিয়ে কোনও অবৈধ গরু প্রবেশ কিংবা কোরবানির চামড়া পাচারের একটিও টনা বিজিবি সহ্য করবে না। “ঈদ উপলক্ষে দেশীয় খামারিরা যাতে কোনও ধরনের  ক্ষতির সম্মুখীন না হন, সেজন্য সীমান্তে অবৈধ গরু পাচারকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদার করা হয়েছে।” সকল ধরনের চোরাচালান রোধে আমরা কঠোর অবস্থানে
আছি এবং থাকব

তিনি আরও জানান, ঈদের পর পশুর চামড়াসহ অন্যান্য মূল্যবান সামগ্রী পাচার  যেন না ঘটে, সেজন্য চোরাচালান প্রবণ সীমান্ত পয়েন্টে নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে এবং প্রতিটি মোবাইল ও স্ট্যাটিক টহল দল সতর্কভাবে দায়িত্ব পালন করছে।

সীমান্ত নিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলায় বিজিবির প্রস্তুতি সম্পর্কে তিনি  জানান, ঈদের ছুটিতে সাধারণ মানুষ যাতে আনন্দময়ভাবে উৎসব উদযাপন করতে পারেন, সে লক্ষ্যে সীমান্ত এলাকায় বিজিবির সদস্যরা নিয়মিত টহল ও  নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে সর্বোচ্চ তৎপর।

“সীমান্ত নিরাপদ থাকলে, দেশ নিরাপদ থাকে। ঈদ জামায়াতসহ সকল ধর্মীয়  অনুষ্ঠান সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করতে আইন-শৃঙ্খলার প্রয়োজনে আমরা সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি,” বলে মন্তব্য করেন অধিনায়ক। এছাড়া পুশ-ইন পরিস্থিতিতেও কঠোর নজরদারির কথা জানান তিনি। বলেন, সম্প্রতি   সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ বা ‘পুশ-ইন’ ঘটনার প্রেক্ষিতে বিজিবি সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। তবে যশোর ব্যাটালিয়নের আওতাধীন সীমান্ত দিয়ে এখন পর্যন্ত কোনও ‘পুশ-ইন’ ঘটেনি বলে জানান তিনি।

তবে আশঙ্কা মাথায় রেখে বিজিবি সীমান্তে নজরদারি জোরদার করেছে এবং প্রতিবেশী দেশ ভারতের বিএসএফের সাথে নিয়মিত পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে  প্রতিবাদ জানানো হচ্ছে।

পরিশেষে অধিনায়ক মোঃ সাইফুল্লাহ্ সিদ্দিকী বলেন, “দেশের জাতীয় নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক স্বার্থ রক্ষায় গণমাধ্যম, স্থানীয় জনসাধারণ এবং অন্যান্য আইন  শৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা প্রয়োজন। সাংবাদিকবান্ধব একটি বিজিবি গঠনে আমরা
প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।

১১ বার ভিউ হয়েছে
0Shares

COMMENTS