বাবা কোর্ট ম্যারেজের ব্যাবস্থা করো। আমি আরিয়া পাখিকে কিছু তেই হারাতে পারতো নাহ।।
~বাবা কোর্ট ম্যারেজের ব্যাবস্থা করো। আমি আরিয়া পাখিকে কিছু তেই হারাতে পারতো নাহ। আর নাহ আরিশ চৌধুরির কাছে হারতে পারবো।
মিস্টার শাফিক সাহেব বললেন,
~ঠিক আছে তুমি চিন্তা করো না,আমি সব ব্যাবস্থা করছি। তুমি শুধু সাবধানে থেকো মাই সন।
তন্ময় বাঁকা হেসে বললো,
~আমাকে নিয়ে তোমার চিন্তা করতে হবে নাহ। ওই আরিশ চৌধুরি আমাকে কিছুই করতে পারবে না।
.
.
.
.
খাবার টেবিলে বসে ব্রেডে জেম লাগাতে লাগাতে আরিশের মা বললো,
~আরিশ শুনলাম তুমি নাকি কাল আরিয়ার কাছে গিয়েছিলে?
আরিশ স্বাভাবিক ভাবে খেতে খেতে বললো,
~হুমম কেনো? তাতে কি হয়েছে?
আরিশের মা বললেন ,
তোমাকে বার বার বলছি ওই আরিয়ার কাছে আর যাবে না। সামনের মাসেই তোমার সাথে আমি তোমার সাথে প্রিয়ার বিয়ে দিবো ভাবছি।
আরিশ ক্ষিপ্ত গলায়,
~আমার ব্যাপারে তোমাদের ভাবতে হবে নাহ। আমার যে কতো টা ভালো চাও তা এই দু বছরেই আমি বুঝতে পেরেছি।
আরিশের মা নিজের রাগ কে কন্ট্রোল করে বললেন,
~তোমার কথা আমি শুনতেই চাই নি আমি। আমি যা বলেছি তাই হবে, বিয়ের জন্য প্রস্তুতি নিতে থাকো।
আরিশ টেবিল থেকে উঠে দাড়িয়ে বললো,
~তুমিও অপেক্ষা করো তাকে জলদি ফিরিয়ে আনছি আমি। অনেক হয়েছে আর নাহ;
বলেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেলো আরিশ ।
_______________________________________
আজ বিকেলে আদির সাথে শপিং করতে যাই। তখন হঠাৎ দেখতে পাই সেইদিনের সেই অসভ্য লোক টাকে। আমি দৌঁড়ে তার কাছে যাই। আমাকে দেখে খানিক টা অবাক হলেও মুচকি হাসলো সে।
সে আমার কাছে আসতেই তার কলার চেপে বললাম,
~আপনার মতো অসভ্য মানুষ আমি কখনোই দেখি নি। আপনার জন্য শুধু মাত্র আপনার জন্যে আমাকে ক্যাম্পাসের সবাই অন্য নজরে দেখে। আপনি কি ভাবেন কি নিজেকে? আমাকে কি আপনার চরিত্রহীনা মনে হয়? খারাপ মেয়ে মনে হয় যে সবার সামনে আমাকে সেদিন কিস করলেন?
লোকটা কলার থেকে আমার হাত টা এক ঝটকায় সরিয়ে, দুহাতে আমার কোমড় জড়িয়ে ধরে নিজের সাথে মিশিয়ে নিয়ে বললো,
~ঠিকই বলেছো আমার মতো অসভ্য কোথাও পাবে নাহ তুমি। আর কে কি ভাবলো আমাদের নিয়ে আই ডোন্ট কেয়ার। আর হ্যাঁ তোমার উপর আমার সম্পূর্ণ অধিকার আছে সো আমি তোমাকে কিস করতেই পারি আশা করি বুঝতে পেরেছো।
আমি নিজেকে ছাড়াতে ছাড়াতে বললাম,
~আপনি কি সব যাতা বলছেন? আপনি প্লিজ আমাকে বিরক্ত করা বাদ দিন। আমার বিয়ে ঠিক হয়ে আছে। তাই বলছি এইসব বাদ দিয়ে নিজের রাস্তা মাপুন।
তখনি পেছন থেকে আদি এসে অবাক হয়ে বললো,
~আপনি? আর আপি তুই তখন দৌঁড়ে এলি কেনো?
উনি আমাকে ছেড়ে দিয়ে স্বাভাবিক ভাবে বললো,
~আদি তোমরা এখন বাড়ি যাও।
আমি ওনার কথা শুনি আকাশ থেকে পড়লাম,
~আপনি আদি কে চিনেন কিভাবে? আর আদি তুই উনাকে চিনিস?
উনি বললেন,
~তোমার সম্পর্কে সব খবরই জানি তাহলে আদি কে জানা তো কঠিন কিছু নয় তাই নাহ। এখন কথা নাহ বাড়িয়ে এখান থেকে জলদি চলে যাও।
আদি ওনার কথা শুনে আমাকে নিয়ে ততক্ষনাত বেরিয়ে পড়লো বাসার উদ্দেশ্যে। বাসায় এসেই ব্যাস্ত হয়ে বাবাকে ফোন করতে করতে আমার ঘর থেকে বেরিয়ে নিজের ঘরে গেলো।
জনাব আশরাফ খান ফোন রিসিভ করতেই আদি উদ্বিগ্ন হয়ে বললো,
~বাবা তোমরা আপি কে এইভাবে ঠকাতে পারো নাহ। তোমরা প্লিজ ওর বিয়ে দিও নাহ। আরিশ ভাইয়া জানলে তোমাদের সবাইকে দেখে নিবে।
উনি শান্ত কণ্ঠে বললো,
~আমরা যা করছি আরিয়ার ভালোর জন্যই করছি। আমার মেয়ে আমি যা ইচ্ছে করবো, আমিও দেখি আরিশ কি করে। তুমি শুধু তোমার আপি কে বুঝিয়ে বাঝিয়ে রেখো। বিয়েতে যেনো কোনো ঝামেলা নাহ হয়।
আদি বললো,
~আমি আমার আপি কে ঠকাতে পারবো নাহ। অনেক হয়েছে এবার প্লিজ আপি কে তার কাছে ফিরিয়ে দেবো আমি।
#না চাইলেই তুমি একান্তই আমার প্রিয়সী
#পার্ট ৩
#লেখিকা: সিনথিয়া আক্তার তিথি ।
চলবে……