শুক্রবার- ১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -৩রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সৈয়দপুরে আদালতের নিষেধাজ্ঞাকে অমান্য করে বহুতল ভবন নির্মান ও ইউএনও কে স্বারকলীপি প্রদান

সৈয়দপুরে আদালতের নিষেধাজ্ঞাকে অমান্য করে বহুতল ভবন নির্মান ও ইউএনও কে স্বারকলীপি প্রদান

সৈয়দপুর-নীলফামারী প্রতিনিধি ঃ নীলফামারীর সৈয়দপুর ৯ এপ্রিল ( মঙ্গলবার) সকাল ১১:টায় সৈয়দপুর রপ্তানী ক্ষুদ্র গার্মেন্টস মালিক গ্রুপের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ফাইয়াজুল হক সাজু ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে প্রতিপক্ষের চাঁদাবাজি, জমি দখল এবং হত্যার হুমকি নিয়ে মিথ্যে মামলা এবং বিভিন্ন স্থানে প্রতিপক্ষ চিঠি দিয়ে তার এল সি বাতিল করিলে সরকার ১ লক্ষ ডলার সমপরিমান রাজস্ব ক্ষতির প্রতিবাদে সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে স্বারকলিপি প্রদান করেন সৈয়দপুর রপ্তানী ক্ষুদ্র গার্মেন্টস মালিক গ্রুপ।
ফাইয়াজুল হক সাজু একজন তরুন উদ্যোক্তা, রেমিডেন্স যোদ্ধা ও স্বনামধন্য ব্যবাসায়ী। তিনি সৈয়দপুর রপ্তানিমুখী ক্ষুদ্র গার্মেন্টস মালিক গ্রুপের সাংগঠনিক সম্পাদক ও আর এস ইন্টারন্যাশনাল এর স্বত্বাধিকারী। সাজু দেশ বিদেশে সুনামের সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ ব্যবসা করে আসছেন। তার গার্মেন্টসে প্রায় চারশ লোকের কর্মসংস্থান রয়েছে। মো: জুয়েল সরকার গায়ের জোরে অবৈধভাবে দীর্ঘদিন ধরে সাজুদের জমি দখল করে রেখেছে। এ নিয়ে একাধিকবার এলাকায় শালিশি বৈঠক হলেও জুয়েল কুট কৌশলে ও অনৈতিক প্রভাবে দখলদারিত্ব বজায় রেখেছে। স¤প্রতি গোপনে নকশা অনুমোদন করিয়ে বহুতল ভবন নির্মাণ করছেন। একারণে সাজুর পরিবার অবৈধ দখল উচ্ছেদের জন্য আদালতের শরণাপন্ন হন। তিনি বলেন, আদালত নিষেধাজ্ঞা জারি করে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেন জুয়েলকে। এতে জুয়েল ক্ষিপ্ত হয়ে নিজেদের ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুর করে চাঁদাবাজি, লুট ও মারপিট করার মিথ্যে অভিযোগে সাজুর পরিবারের লোকজনের নামে মামলা দায়ের করে তাদের হয়রানি করছে। আদালতের নিষেধাজ্ঞা কে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে ভবন নির্মাণ কাজ অব্যাহত রেখেছে। এমনকি মিথ্যে তথ্য দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে অপবাদ ছড়িয়ে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
এ সংক্রান্ত ব্যাপারে জেলা মৎসজীবী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো: জুয়েল সরকার সাথে কথা হলে তিনি জানান, “আমার বাবার কেনা জমিতে বাড়ি করছি। প্রতিবেশী ফাইয়াজুল হক সাজু আমার বাড়ির এক শতক জমি নিজের বলে দাবি করেন। এ জন্য আমার পরিবারের কাছে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিলেন তিনি। চাঁদা না দেওয়ায় গত ৯ মার্চ সাজুর নেতৃত্বে দুর্বৃত্তরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট করে। তারা আমার বৃদ্ধ মা-বাবাকে হত্যার হুমকি দেয়। তাই আমি তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছি।
এ ব্যাপারে ফাইয়াজুল হক সাজুর সাথে কথা হলে তিনি জানান, জুয়েল সরকারে মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদের হয়রানী ও চাঁদা দাবী করছেন। আমাদের মালিক গ্রুপ বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত একটি সংগঠন । ইহার সাথে প্রায় ২০ হাজার শ্রমিক, দর্জি, কর্মচারী জডড়ত। আমি সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক একজন আমদানী-রপ্তানীকারক, ট্যাক্স/ভ্যাটদাতা, টেড লাইসেন্সধারী, চেম্বার অব কমার্স এর সদস্য, সৈয়দপুর ব্যবসায়ী সমিতির সদস্য।
তিনি জানান তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা আইনগত কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করলে সৈয়দপুর রপ্তানীমুখি ক্ষুদ্র গার্মেন্টস মালিক গ্রুপ বিভিন্ন আন্দোলনে প্রতিবাদ করবে । কিন্তু বিবাদীরা ব্যক্তিগত মামলা মোকদ্দমার বিষয়ে দলকে ব্যবহার করে অসৎকাজ করতে না পারে তার জন্য আমরা প্রশাসন, নেতৃবৃন্দ ও সংবাদ কর্মীদের সহযোগীতা প্রত্যাশা করছি। সেই সাথে সঠিক তথ্য উপস্থাপনের মাধ্যমে সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠায় নিরপেক্ষ ভূমিকা পালনের আহবান জানাচ্ছি এবং আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদৃষ্টি আকর্ষণ পূর্বক এই ঘটনার সঠিক তদন্ত করে সুষ্ঠু বিচার দাবী করছি ।
ইউ এন ও কে স্বারকলীপি ও বিভিন্ন উৎস হতে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, জুয়েল সরকার, বিভিন্ন স্থানে চিঠি দিয়ে সাজুর এল সি বাতিল করতেছেন, ফলে ঈদ মৌসুমে ২০ হাজার ক্ষুদ্র গার্মেন্টস শ্রমিক, দর্জি বেতন না পেয়ে অসহায় জীবন যাপন করছে। সরকার ১ লক্ষ ডলার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। আদালতের নিষেধাজ্ঞাকে অমান্য করে বহুতল ভবন নির্মান অব্যাহত রয়েছে।

১১৮ বার ভিউ হয়েছে
0Shares