বুধবার- ২২শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -৮ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে গুড়পিপুল উচ্চ বিদ্যালয়ে এসএসসি’র ব্যবহারিক পরীক্ষায়  ১২শত টাকা করে নেওয়ার অভিযোগ

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে গুড়পিপুল উচ্চ বিদ্যালয়ে এসএসসি’র ব্যবহারিক পরীক্ষায়  ১২শত টাকা করে নেওয়ার অভিযোগ

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি :; সিরাজগঞ্জের তাড়াশে গুড়পিপুল উচ্চ বিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের নিকট থেকে  ব্যবহারিক পরীক্ষা ফির নামে ১২শত টাকা করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম ও ভূত বিজ্ঞান বিষয়ক  সহকারী শিক্ষিকা  জান্নাতুল ফেরদৌসীর বিরুদ্ধে। অভিযোগ সূত্রে  জানাযায়, গত ১৮ মার্চ গুড়পিপুল উচ্চ বিদ্যালয়ে এসএসসির ব্যবহারিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এসময়  ওই বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের পরীক্ষার্থীদের নিকট থেকে  বিদ্যালয়ের  ভূত বিজ্ঞান বিষয়ক  সহকারী শিক্ষিকা  জান্নাতুল ফেরদৌসী  ব্যবহারিক পরীক্ষার ফিসের কথা বলে   ১২শত টাকা করে নেন। এসময় কয়েকজন গরীব পরীক্ষার্থী পুরো টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তাদের সাথে দূর্ব্যবহার করেন ওই শিক্ষিকা।  গুড়পিপুল উচ্চ বিদ্যালয়ের  এসএসসির বিজ্ঞান বিভাগের  পরীক্ষার্থী  মোঃ রাশেদ খানের বাবা মেঃ হারুন অর রশিদ অভিযোগ করে বলেন গত ১৮ মার্চ আমার ছেলের এসএসসির প্যাটিক্যাল ( ব্যবহারিক) পরীক্ষা ছিল। কিন্তু ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম  ও সহকারী শিক্ষিকা জান্নাতুল ফেরদৌসী ওই ব্যবহারিক পরীক্ষার ফি’র কথা বলে ১২শত করে টাকা নেন। এসময় অনেক গরিব পরীক্ষার্থী টাকা কম দিতে চাইলে ওই শিক্ষিকা তাদের সাথে দূর্ব্যবহার করেন এবং  তাদেরকে নাম্বার না দেয়ার  ভয়ভীতি ও হুমকি ধামকি দেন। এরকম একই অভিযোগ করেন ওই বিদ্যালয়ের আরেক পরীক্ষার্থী মাহফুজুর রহমানের মা বিউটি বেগম। তিনি বলেন আমার ছেলের প্যাটিক্যাল পরীক্ষার ফি হিসেবে ১২শত টাকা দাবি করেন ওই শিক্ষিকা। কোন উপান্তর না দেখে আমার সংসারের চাউল কেনার ১১শত টাকা  দেয় কিন্তু  ওই শিক্ষিকা জান্নাতুল ফেরদৌসী মাত্র একশত টাকার জন্য  আমার ছেলেকে অপমান করেন পরে ওর আরেক সহপাঠির নিকট থেকে একশত টাকা ধার নিয়ে দেওয়ার পর আমার ছেলেকে পরীক্ষা দিতে দেয়। তিনি বলেন শুধু  আমার ছেলে না এরকম প্রত্যেক পরীক্ষার্থীর নিকট থেকেই   জোরপূর্বক ১২শত করে টাকা নেওয়া হয়।। আমরা এর সুবিচার চাই। ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্য মোঃ লাবু সরকার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমি  বিষয়টি জানার পর ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিকে বলেছি  তিনি ব্যবস্থা নিবেন বলে জানিয়েছেন। এবিষয়ে ওই বিদ্যালয়ের  ভূত বিজ্ঞান বিষয়ক সহকারী শিক্ষিকা  জান্নাতুল ফেরদৌসী ব্যবহারিক পরীক্ষায় টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করেন বলেন, পরীক্ষা  কেন্দ্রে টাকা দিতে হয় এজন্য ৬শত টাকা করে নেওয়া হয়েছে। এ টাকা কিছু  পরীক্ষা কেন্দ্রে দেয়া হয়েছে। আর  বাকি কিছু  টাকা আমি কেন্দ্রে যাতায়াতের জন্য নিয়েছি।
এটা প্রধান শিক্ষকের নির্দেশেই নেওয়া হয়েছে। তবে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম বলেন ব্যবহারিক পরীক্ষার জন্য কোন টাকা নেওয়ার  নিয়ম নেই। এটা নিয়ে থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এব্যাপারে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শ্রী ধীরেন্দ্র নাথ বসাক বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। আগামীকাল বিদ্যালয়ে গিয়ে প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা বলে ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  তাড়াশ উপজেলা ম্যাধমিক শিক্ষা কর্মকর্তা  আব্দুস সালাম বলেন এবিষয়টি আমার জানা নেই। তবে কোন ছাত্র অভিভাবক  লিখিত  অভিযোগ করলে আমি ব্যবস্থা নিবো।
১০ বার ভিউ হয়েছে
0Shares

COMMENTS