শনিবার- ২৯শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৫ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ভাঙ্গুড়ায় চেয়ারম্যানকে লাঞ্ছি করায় শিক্ষককে মারধর থানায় মামলা, আটক ২

ভাঙ্গুড়ায় চেয়ারম্যানকে লাঞ্ছি করায় শিক্ষককে মারধর থানায় মামলা, আটক ২

ভাঙ্গুড়া (পাবনা) প্রতিনিধি : পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার খানমরিচ ইউপি চেয়ারম্যন মোঃ মনোয়ার হোসেন খাঁন মিঠুকে লাঞ্ছিত করায় দাচমরিচ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমানকে মারধর করেছে চেয়ারম্যানের সমর্থকরা। শনিবার (২৮ মে) সকাল ১০ টার দিকে উপজেলার খানমরিচ ইউনিয়নের চন্ডিপুর খেলার মাঠে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার দিন রাত ৯ টার দিকে শিক্ষক হাবিবুর রহমান বাদী হয়ে ভাঙ্গুড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন । পুলিশ রাতেই মাসুদ রানা ছোটন ও শাহাদাত হোসেনকে আটক করেন তারা ইউনিয়নের মাদারবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শনিবার (২৮ মে) উপজেলার খানমরিচ ইউনিয়নের চন্ডিপুর বাজার খেলার মাঠে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আন্তঃবার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে ঐ ইউনিয়ন চেয়ারম্যনকে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে সকাল ৯ ঘটিকায় অনুষ্ঠান উদ্বোধন করার আমন্তণ জানান শিক্ষকরা। কিন্তু চেয়ারম্যান আসার পূবেই অনুষ্ঠান উদ্বোধন করে ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা শুরু করেন। ৯.১০ মিনিটে চেয়ারম্যান মাঠে উপস্থিত হলে মঞ্চে থাকা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের ছেলে সুলতানপুর প্রথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ সপন, ভাতিজি মোছাঃ রাবেয়াসহ উপস্থিত শিক্ষকরা চেয়ারম্যানকে বসতেনা দেওয়াই কিছুক্ষ দাড়িয়ে থাকেন চেয়ারম্যান। পরে তাকে মঞ্চের এক কোনে বসতেদেন কিন্তু তার সাথে থাকা চন্ডিপুর গ্রামের প্রধানকে বসতে দেননা পরে মঞ্চ থেকে অপমান হয়ে চলেযায়। পরে চেয়ারম্যন মিঠু উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও ভাঙ্গুড়া পৌর সভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্পাদককে বিষয়টি অবগত করেন। কিছু সময় পর শিক্ষকরা চেয়ারম্যানকে পুনরায় মাঠে আসার আমন্তণ করেন। এসময় চেয়ারম্যানের পাশে থাকা তার সমর্থকরা খিপ্ত হয়ে ওঠে। অবস্থা বেগতি দেখে শিক্ষকরা চেয়ারম্যানের কাছথেকে চলে আসে এসময় চেয়ারম্যানের সমর্থকদের মধ্য একজন কাঠের বাটাম দিয়ে দাচমরিচ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমানের পিঠে আঘাত করে।

এবং তার সমর্থকরা মঞ্চেথাকা শিক্ষকদের কাছে চেয়ারম্যানের অপমানের বিষয় যানতেচাই। এসময় উভয় পক্ষ উত্তেজিত হওয়ায় আন্তঃবার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগি ছাত্র ছাত্রীরা চলেযায়। পরে কতৃপক্ষ ২৯ মে অনুষ্ঠান স্থকিত করেন। পরে রাত ৮ টার দিকে ঘটনার বিচার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন ও থানায় একটি মামলা দায়ের করেন শিক্ষকরা।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, খানমরিচ ইউনিয়নের ২৮টি বিদ্যালয়কে দুটি ভাগে ভাগ করে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ উপলক্ষে শনিবার ইউনিয়নের চন্ডিপুর খেলার মাঠে ১৪টি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলছিল হঠাৎ সকাল সারে নয় টারদিকে ইউপি চেয়ারম্যান উপস্থিত হলে তাকে যথাযত সম্মান না দেওয়ায় তিনি চলেজান পরে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার নির্দেশে তাকে পুনরায় আনতে গেলে তার সমর্থকরা শিক্ষকদের সাথে খারাপ আচরণ করে। পরে তারা চলে আসে এসময় একজন কাঠের বাটাম দিয়ে প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমানের পিঠে আঘাত করে ও মঞ্চ ভাঙচুর করে।

এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেন খাঁন মিঠু বলেন, আমাকে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে অনুষ্ঠান উদ্বোধন করার আমন্তণ করে মিক্ষকরা। আমি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হলে আমাকে কিছু সময় পর মঞ্চের এক কোনে বসতে দেয় এই অপমান ও হেয় করার ঘটনা ধামাচাপা দিতে এই মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। সেখানে হামলা, ভাঙচুর বা মারধরের ঘটনা ঘটেনি।

এবিষয়ে ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুঃ ফয়সাল বিন আহসান বলেন, এ ঘটনায় দাচমরিচ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমান বাদীহয়ে শনিবার রাতে একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলার আসামিদের মধ্য দুই জনকে আটক করে রবিবার সকালে আদালতের মাধ্যমে পাবনা জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

৩৪ বার ভিউ হয়েছে
0Shares