সেনবাগে সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে রহস্য জনক চুরি
মোঃ জাহাঙ্গীর আলম শায়েস্তানগরী, নোয়খালী প্রতিনিধি ; সেনবাগ সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে এক রহস্যজনক চুরির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় সংবদ্ধ চোরের দল স্কুল ভবনের ৬ তলার জনালার লোহার গ্রিল কেটে ভিতরে ডুকে ২৪টি সিলিং ফ্যান,১৬টি বৈদ্যুতিক লাইট,৮টি থাই গøাসের ফ্রেম,১৮টি সাদা বোর্ডের ফ্রেম চুরি করে নিয়ে যায়। এ ছাড়াও,৫টি গ্রিল ভাংচুর বেশ কিছু বেঞ্চ ও কয়েকটি বৈদ্যুতিক সুইট বোর্ড ভাংচুর।
বিদ্যালয়য়ে প্রধান শিক্ষক রাহাতে জান্নাত মোসাঃ ফেরদাউন জানান,বুধবার সকাল বিদ্যালয়ের পরিচ্ছন্নতা কর্মী মোঃ আবদুল হক ৬তলা ভবনে পরিস্কার করতে গিয়ে দেখেন শ্রেনি কক্ষগুলো এলোমেলো অবস্থায় রয়েছে এবং রুমগুলোর গ্রিল ভাঙ্গা ও বৈদ্যুতিক ফ্যান, সিলিং, হোয়াটবোর্ড ,থাই গø্ােসর ফ্রেম নেই বলে জানালে তিনি দ্রæত স্কুলে এসে ৪.৫ ও ৬ তলা ভবনের শ্রেনি কক্ষগুলো পরিদর্শন করে সত্যতা পান। এরপর বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার জিসান বিন মাজেদ ও সেনবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মোঃ মিজানুর রহমানকে অবহিত করলে থানা পুলিশ ঘটনাস্থ পরিদর্শন করেন।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করলে ,সেনবাগ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরী মোঃ আবুল হোসেন, তিনি রাতে বিদ্যালয়ে ছিলেন ,কোন ধরণের চুরির ঘটনা তিনি প্রত্যক্ষ করেনী। সকালে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তাকে বিষয়টি জানান, তবে, তিনি আরো বলেন গত কিছু দিন আগে ৬ষ্ঠতলা থেকে কিছু ফ্যান চুরি হয়েছিল বলে তিনি স্বীকার করে জানান, তিনি রাতে ডিউটি করে, ৬ষ্ঠ তলার ক্লাশ রুমের চাবি তিনি ছাড়াও দিনে ডিউটি করা ব্যাক্তিদের নিকটও থাকে। তিনি ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয় বলে দাবী করেন।
এব্যাপারে যোগাযোগ করলে সেনবাগ উপজেলা নির্বাহী অফিসা মোঃ জিসান বিন মাজেদ জানান, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক চুরির ঘটনাটি তাকে অবহিত করেছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়র করা হয়েছে।
এব্যপারে যোগাযোগ করলে সেনবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মিজানুর রহমান জানান,নির্বাহী অফিসারে মাধ্যমে ছুরির ঘটনাটিন জানান পরপরই থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এতে প্রতিয়মান হচ্ছে বন্যা পরবর্তী সময়ে চুরির ঘটনাটি ঘটেছে। তবে, তারা আজ বিষয়টি জানাতে পেরে ঘটনাটি ঘর গতরাতে ঘটেছে বলে প্রচারনা চালায়। এখনো বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ দিলে তদন্ত পূর্বক আইনী ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান।