শনিবার- ২৯শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৫ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ফুলবাড়ীতে সরকারি ভূমি দখলকারী আখ্যা দিয়ে প্রতিপক্ষের মানবন্ধনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

ফুলবাড়ীতে সরকারি ভূমি দখলকারী আখ্যা দিয়ে প্রতিপক্ষের মানবন্ধনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

মোঃ আফজাল হোসেন, ফুলবাড়ী, দিনাজপুর প্রতিনিধি: ফুলবাড়ীতে সরকারি জমি দখলকারী আখ্যা দিয়ে ফুলবাড়ী পৌরসভার ০২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এর বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষের মানবন্ধনের প্রতিবাদে ফুলবাড়ী প্রেসক্লাবে পৌর কাউন্সিলর মোঃ মাজেদুর রহমানের সংবাদ সম্মেলন করেন। গতকাল শনিবার সকাল ১১টায় ফুলবাড়ী প্রেসক্লাবে সরকারি জমি দখলকারী আখ্যা দিয়ে ফুলবাড়ী পৌরসভার ০২নং ওয়ার্ডের পৌর কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষের মানববন্ধনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলনে পৌর কাউন্সিলর মোঃ মাজেদুর রহমান প্রকৃত তথ্য তুলে ধরেন।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি জমির কাগজপত্রের তথ্য তুলে ধরে বলেন, গত ২৫/০৫/২০২২ইং তারিখে উপজেলা পরিষদ চত্তরে আমার বিরুদ্ধে সরকারি জমির মাঠ দখলের মিথ্যা অভিযোগে প্রতিপক্ষরা মানববন্ধন করেছে, গ্রামবাসীর একাংশকে ভূল তথ্য দিয়ে সামাজিকভাবে আমাকে হেয় করার ষড়যন্ত্রে প্রতিপক্ষরা উঠে পড়ে লেগেছে। আমি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

তিনি প্রকৃত তথ্য তুলে ধরে বলেন, বিনিময় দলিল মূলে সুজাপুর মৌজার ১৯২ সি,এস, এস.এ ২৬২ ও ২৬৬ খতিয়ানে ১৮১৬ দাগে মোট ২.৭৮একর জমি প্রাপ্ত হই। ১৯৬৪ সাল থেকে ওই জমি ভোগ দখল করে আসছি। চলতি বাংলা ১৪২৯ সন পর্যন্ত সরকারি খাজনাও পরিশোধ করেছি। নিজ নামে মাঠ পর্চাও হয়েছে। যাহার খতিয়ান নং- ৯৫০৫, বর্তমান দাগ-৯৫১৮,৯৫১৯,৯৫২০ এই মোট জমি ২.৭৮ শতক। কিন্তু গ্রামের একাংশ লোকজনকে প্রতিপক্ষরা একতরফা ভাবে ভূল বুঝিয়ে একটি কুচক্রি মহলের প্রবঞ্চনায় খাস জমি বলে প্রচার চালিয়ে এই মানববন্ধন করেন।

গত মার্চ মাসে ১৮১৫ দাগের জায়গাটি শ্মশান কমিটিকে ব্যবহারের জন্য মৌখিক অনুমতি দেয় উপজেলা প্রশাসন। তখন শ্মশান কমিটি উক্ত জমি বাঁশের বেড়া ঘেরা দিয়ে তার ১৮১৬ দাগের কিছু অংশ জমি তারা ঘেরার ভেতরে ঢুকিয়ে নেয়। তিনি বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবগত করেন। সেই প্রেক্ষিতে গত ০২/০৪/২০২২ইং তারিখে উপজেলা সার্ভেয়ার, পৌর সার্ভেয়ার, আশে পাশের জমির মালিকগণ ও শ্মশান কমিটির উপস্থিতিতে ১৮১৬ দাগের সীমানা নির্ধারণ ও নকশা করে দেন। একইভাবে ১৮১৫ দাগের জায়গা মাপযোগ করে শ্মশান কমিটিকে বুঝিয়ে দেন। তার জমির সীমানা নির্ধারণ না হওয়ায় কিছু অংশ দীর্ঘদিন পরিত্যাক্ত অবস্থায় ছিল যা অনেকেই ব্যবহার করতো। উপজেলা প্রশাসন কাউন্সিলরের জমির সীমানা নির্ধারণ করে দেওয়ায় ওই জমিতে কাউন্সিলর ধৈঞ্চা চাষ ও গাছ রোপন করেন।

দলিলপত্র ছাড়াই কাউন্সিলরের বৈধ সম্পত্তিকে খাস জমি হিসেবে প্রচার করা প্রতিপক্ষের মোটেই ঠিক হয়নি। তার সুনাম ক্ষুন্ন করতেই কিছু অসৎ লোকজনদেরকে ভূল বুঝিয়ে এবং তার ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য এই মানবন্ধন করেন। তিনি তাদের এই কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে আইনগতব্যাবস্থা নিবেন বলে সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেন।সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, মোঃ মোকলেছার রহমান, সাবেক কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র ফুলবাড়ী পৌরসভা, বীরমুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম, মোঃ মোশারফ হোসেন (সহকারী প্রধান শিক্ষক সুজাপুর সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়), মোঃ শফিউদ্দিন, আলহাজ¦ আব্দুল খালেক মন্ডলসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।

৮৪ বার ভিউ হয়েছে
0Shares