বুধবার- ২২শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -৮ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
গোবিন্দগঞ্জে প্রথম বরেরমত মসলা জাতীয় ফসল জিরার সফল চাষ\ সম্প্রসারণে আশবাদি স্থানীয় কৃষি বিভাগ

গোবিন্দগঞ্জে প্রথম বরেরমত মসলা জাতীয় ফসল জিরার সফল চাষ\ সম্প্রসারণে আশবাদি স্থানীয় কৃষি বিভাগ

গাইবান্ধা প্রতিনিধি: গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় প্রথম বারের মত মসলা জাতীয় ফসল জিরার চাষ হচ্ছে শুরু হয়েছে। এ জিরা ফসল আবাদে সফলতা পেয়ে খুশী কৃষকরা। মসলার উন্নত জাত ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওয়ায় উপজেলার পৌরসভার খলসী ও ফুলবাড়ী ইউনিয়নের বড় সাতাল বাতাইল গ্রামে প্রদর্শনী প্লট আকারে ১০ শতক জমিতে পরীক্ষামূলক ভাবে মসলা জাতীয় ফসল হিসাবে কৃষক পর্যায়ে জিরা চাষ করা হয়।

জিরা চাষের উপর বিশেষ প্রশিক্ষণ পাওয়া এ সব এলাকার কৃষকরা পরীক্ষামুলক জিরা চাষে বেশ সফলতাও পেয়েছে। কৃষি বিভাগের নানা ধরণের সহযোগিতায় মুগ্ধ হয়ে এবং জিরার ফলনে খুশী চাষীরা। আগামীতে কৃষকরা বানিজ্যিক ভাবে জিরা চাষ সম্প্রসারণ করার ইচ্ছে পোষণ করেছেন তারা।

ফুলবাড়ী ইউনিয়নের বড় সাতাইল-বাতাইল গ্রামের মসল্লা চাষী দিলবর আলী বলেন বগুড়া মসলা গবেষনা ইনষ্টিটিউটে বিশেষ প্রশিক্ষণ নিয়ে স্থানীয় কৃষি বিভাগের তত্ত¦বাবধায়নে জিরা চাষ করি। ১০ শতক জমিতে নিয়ম মেনে সেচ, সার প্রয়োগ ও সঠিক পরিচর্যায় এর আবাদে ভাল সফলতা পেয়েছি। আগে জানলে আরো বেশী জমিতে জিরার চাষ করতাম। তবে আগামী বছর আরো বেশী জমিতে জিরার চাষ করব।জিরার এমন ভালো ফলনে খুশি এলাকার অন্য কৃষকরাও।

গোবিন্দগঞ্জের ফুলবাড়ী ইউনিয়নের সাতাল বাতাইল বøকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকতা ঝর্ণা বালা বলেন প্রথমবারের মত জিরার আবাদে সার্বক্ষণিক পরামর্শ ও প্রযুক্তিগত সহায়াতা দিয়েছি। এই সফলতায় তিনিও খুশী।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৈয়দ রেজা-ই-মাহমুদ বলেন মসলার উন্নত জাত ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওয়ায় মসলা জাতীয় ফসল হিসাবে কৃষক পর্যায়ে পরীক্ষামূলক জিরা চাষ বেশ ভালো হওয়ায় আশাবাদি তারা। এ এলাকার মাটি ও আবহওয়া জিরা চাষের উপযোগি হওয়ায় আগামীতে কৃষক পর্যায়ে বানিজ্যিক ভাবে জিরা চাষ সম্প্রসারণ ঘটানোর উদ্যোগ নেওয়ার হবে। আর বেশী জিরা চাষ করে আমদানি খরচ কমানো সম্ভব।

উন্নত মানের বীজ ও প্রযুক্তির সম্প্রসারণ ঘটিয়ে কৃষক পর্যায়ে মসলা জাতীয় ফসল জিরা চাষ সম্প্রসারণ করা গেলে স্থানীয় ভাবে একদিকে যেমন জিরার উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে, সেই সাথে জিরার আমদানি নির্ভরতা কমানো গেলে দেশের বৈদিশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

২০ বার ভিউ হয়েছে
0Shares

COMMENTS