বৃহস্পতিবার- ২৭শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৩ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিদেশি সবজি স্কোয়াস চাষে সফল মনজরুল আহসান নামের এক চাষি

বিদেশি সবজি স্কোয়াস চাষে সফল মনজরুল আহসান নামের এক চাষি

শার্শা (যশোর) সংবাদদাতাঃ বিদেশি সবজি স্কোয়াস চাষ করে সফলতা পেয়েছেন শার্শা উপজেলার মনজরুল আহসান নামের এক চাষি। কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় শীতকালীন সবজির পাশাপাশি ২০ শতক জমিতে স্কোয়াস চাষ করে লাভবান হয়েছেন বলে জানান তিনি। চাষি মনজুরুল আহসান উপজেলার লক্ষণপুর ইউনিয়নের শিকারপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি সরকারি বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ ডিগ্রি কলেজের একজন শিক্ষার্থী। মনজুরুল আহসান জানান, কয়েক বছর ধরে আম, বরুই, টমেটো, বাধাকপি, ফুলকপি সহ বিভিন্ন ধরনের সবজি ও ফল চাষ করে আসছেন তিনি। শার্শা উপজেলার কৃষি বিভাগের পরামর্শ নিয়ে স্কোয়াসের বীজ সংগ্রহ করেন তিনি। এরপর বাড়িতে মিষ্টিকুমড়া বা লাউয়ের মতো বীজ বপন করেন। গাছ অঙ্কুরোধগম হওয়ার পরে মালচিং পদ্ধতি ব্যবহার করে জমিতে রোপণ করেন তিনি। প্রায় দেড় মাস পর ফল আসতে শুরু করে। বিদেশি কুমড়ার মতো পাতা, ডগা, কান্ড দেখে বোঝার উপাই নেই যে, এটি নিষ্টি কুমড়া নাকি স্কোয়াস গাছ। মনজুরল বলেন, প্রায় ২০ শতক জমিতে এই বিদেশি সবজি চাষ করেছি। বীজ রোপণের অল্প দিনের মধ্যেই গাছ বেড়ে ওঠে এবং রোপণের ৩৫-৪০ দিনের মধ্যেই গাছে ফুল আসে। পরাগায়নের ৫-১০ দিনের মধ্যে ফল সংগ্রহ করতে হবে। বীজ লাগানো থেকে ফল তুলতে সময় লাগে দুই থেকে আড়াই মাস। ফুল ও ফল দেখতে অনেকটা মিষ্টি কুমড়ার মতো। ৫৫-৬০ দিনের ভিতর স্কোয়াশ বাজারজাত করা যায়। হেক্টর প্রতি স্কোয়াসের গড় ফলন ৪৫-৫০ মন। জাত ভেদে সময় কম বেশি হতে পারে।’ তিনি আরো বলেন, ১ বিঘা (৩৩ শতাংশ্য জমি থেকে মৌসুমে ২ হাজার ২০০ টি স্কোয়াস গাছ লাগানো যায়। একটি গাছে গড়ে ১২-১৯ কেজি ফল হয়, যা এক বিঘা জমিতে প্রায় ২৪ টন স্কোয়াস উৎপাদন হয়। প্রতি বিঘা জমিতে স্কোয়াশ উৎপাদনের জন্য খরচ হয় ৮-১০ হাজার টাকা। কিন্তু ১ বিঘা জমি থেকে মুনাফা হয় ৬০-৭০ হাজার টাকা। তবে একটি স্কোয়াস বাজারে ৪৫ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হওয়ায় বেশ লাভ হয়েছে। স্বল্প খরচে অধিক লাভ হওয়ায় আগামীতে আমি আরও বেশি জমিতে এই বিদেশি সবজি স্কোয়াস চাষ করবো। এ বিষয়ে স্থানীয় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা পলাশ কিশোর ঘোষ বলেন, প্রথম বারের মতো শার্শার মাটিতে বিদেশি সবজি স্কোয়াস চাষ হয়েছে। বাজারে এর ব্যাপক চাহিদা হয়েছে এবং কম খরচে অধিক লাভ হয়েছে। এটি অনেক পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ সবজি ও ফসলটি লাভবান হওয়ায় আগামীতে এই এলাকায় প্রচুর স্কোয়াস চাষের সম্ভাবনা রয়েছে। এ ব্যপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দীপক কুমার সাহা এক স্বাক্ষাতকারে জানান স্কোয়াস চাষ সহ যেকোন ধরণের সবজিচাষের জন্য আমরা প্রতিটি কৃষককে নিয়মিত পরামর্ষ দিয়ে থাকি। আমরা চাই কোন কৃষক যাতে ক্ষতিগ্রস্থ না হয়।

২৬ বার ভিউ হয়েছে
0Shares